‘বাক্ ৭২’-এ আপনাকে স্বাগত । আপাতত 'বাক্'-এ একজন কবির গুচ্ছর উপর জোর দেওয়া
হচ্ছে । এবং ... অবশ্যই তাঁর সেরা গুচ্ছ । এই মুহূর্তে তাঁর সর্বোত্তম প্রয়াসটা ।
'এই মাসের কবি' হচ্ছেন
প্রশান্ত গুহ মজুমদার । 'কাহাদের কথা' পড়েছেন কি ? 'রম্যরচনা' ? যদি না পড়ে থাকেন
, এই কবিকে চিনে নেওয়ার একটা সুযোগ আপনাকে দেওয়া হচ্ছে 'বাক্ ৭২'-এ । সাধুভাষায় কবিতা লেখার সাহস রাখেন এই কবি । সাহস রাখেন অকপটে কমলকুমার
মজুমদারের বাক্যবিধিকে বাংলা কবিতায় স্থান দেওয়ার । আজ তিনি কী কাজ করছেন ? জানতে
হলে ক্লিক করুন ‘এই মাসের কবি’-র উপর ।
কবিতার কি অনুবাদ হয় ?
এই প্রশ্নের জবাব চাইতেই সাহস কুলোয় না । বন্ধু , কবিতার
লিপিকরণ কি স্বয়ং এক অনুবাদ নয় ? সে যাক । 'বাক্' এবার অন্য ভাষা থেকে বাংলায় কবিতার অনুবাদের ব্যাপারে জোর দিচ্ছে
। বারীন ঘোষালের 'কবিতা ভাষান' বিভাগ তো দুরন্ত
চলছেই । 'বাক্ ৭২'-এ তিনি এবার রেখেছেন বিপ্লবী কবি চেরাবান্দা রাজুর কবিতা । এছাড়া এবার থেকেই শুরু হতে চলেছে এক নতুন বিভাগ ... 'অন্য
ভাষার কবিতা' । দায়িত্বে থাকছেন অর্জুন বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি নিজেই এই বিভাগ
শুরু করতে চেয়েছেন । আমরা লুফে নিয়েছি । এবার থাকলেন এক জাপানি কবি ,
সমসাময়িক । কেউ কেউ আমাদের সাবধান করেছেন অর্জুন নাকি কোনো লক্ষ্যেই স্থির থাকেন
না । কিন্তু আমরা এই বিভাগে তাঁর গান্ডীবের ধ্বনি শুনতে পাব অনবচ্ছিন্নভাবে , এই
ভরসা আমাদের আছে ।
এবার ‘গল্পনা’ লিখলেন উদয়ন ঘোষ চৌধুরী । সঙ্গে জাঁ
লুক গোদারের একটি ফ্রেম আমাদের উপহার ।
এবারে 'কবিতা বিষয়ক
গদ্য' লিখছেন অনিমিখ পাত্র । দুটি অন্তরঙ্গ ছবি , পাপারাৎজিদের সাহায্য লাগেনি সেই জন্য ।
রমিতের হারানো কবিতার জানালা খুলে ‘বাক ৭২’-এ থাকলেন ষাটের শ্রুতিবিখ্যাত
কবি পুষ্কর দাশগুপ্ত । পুষ্কর
দাশগুপ্তর নাম কি শোনা আছে ? সকলকে
এই প্রশ্ন নয় । সকলকে এটাই জানানোর যে 'বাক্ ৭২'-এ
রমিতের হারানো জানালা বিভাগে থাকছে তাঁর একগুচ্ছ কবিতা । পুষ্করের কবিতা না পড়ে কি
২০১৩-এ বাংলা কবিতা চর্চা করার অধিকার থাকে ? এই প্রশ্ন
করার ধৃষ্টতা 'বাক্ ৭২' দেখাতে
চায় না । শুধু তাঁর কবিতাগুলো স্পর্ধাসহ পড়িয়ে নিতে চায় ।
‘দৃশ্যত’ বিভাগে একঝাঁক ছবি ।
এছাড়া অন্যান্য নিয়মিত
বিভাগ । যেমন , এবারেও তাঁদের ধারাবাহিক উপন্যাসে মাতিয়ে দিয়েছেন শূন্যের দুই কবি
।
অর্জুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৪টি কবিতা
বাবা, জন্মদিন, বেড়াল,
কাঁচপোকা… এইসব আর কি
১.
আঁশের নথ ছিল যার
তে
পা ন্ত
রে
বাবা তাকে ৎ ব’লে
ডাকতো
প্রথমবারের জুতো
তার মনে আছে পায়ের জন্মদিন?
২.
গন্ধের উপুড় হয়ে থাকা
পশ্চিমে—
উদ্বাস্তু
আজ
ধাতুবিক্কিরির সাবান
তার ফেনায় বানানো দূরবীন
তার ষড়যন্ত্র ঝরছে তিলের বঁধুয়ায়
৩.
স্মৃতি বলতে পণ্ডস্
সারা ঘরে পাউডারের হাঁস
আরেকটু পিছিয়ে গেলে
পড়ে আছে
নিভিয়ার কৌটো
বেড়ালের টেরাকোটা
সেলাই বমি করেছে টবের গলিতে
৪.
স্মৃতিতে কাঁচপোকা
বাংলাদেশ লেগে আছে তার
সন্ধি সমাসে
গাছেদের নখ নেই
তাদের স্মৃতিতে পাওয়া গেছে
আচার্য জগদীশ
বৃষ্টির সুতো দিয়ে লেখা একটা
শিরোনাম
জানলায় যিনি
আদরে ধ্রুব
পাতাগুলো যিনি প্যাডেলে রাখেন
অরণ্যে উৎসব
ছাদে শুকোতে দেওয়া
সূচাগ্র মেদিনী
বারীন ঘোষালের ৫টি কবিতা
ডিরেল
নতুন পাখির ক্যালেন্ডারে বসেছে হিম বুলবুল
আঁকা ধা নি শিষ আর ডাকবাক্স জল শুকোচ্ছে
অবন্যার দেশে এত জলকুনো আগে দেখিনি
গাইছো দুলছো চেয়ারে বসে রক করছো
নাক্স ভোমিকার
ট্যাপ যেন
তার বাম স্তনটি লাইটহাউসের দিকে মুচকে তোলা সজল
দৃশটিও আর খিলোনা দৃষ্টিতে
কবিতার শেষ লাইনটা ডিরেল হল এভাবে
ভালই হল
রামধনুটির অছিলা ফিরে এল
হাতে কিছু নেই
হাতে তো কিছুই নেই
এত বারিষের দেশ
তবুও
কী হিম
হে হিম
হিমোওরে
নাকবিতা
ফটোগুলো পথে ঘাটে ফেলে দেয়াল সরে পড়েছে
সেখানে আর দেয়াল আঁকা নেই
সবাই কুড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে অচেনা লোকাল পাখির ছবি
স্বপ্নচোর
হুরপরী
কঙ্কালের মেয়েও চলে
গেল
সূর্যপাত রূপক হয়ে ঝরেছিল সেদিনের লিঙ্গল্পে
না রে না না দুটি কলি দুই কলি সেটি গাও দুই মাত্রা মোছ
সেই গানানের ইকুয়াল মিউজিকে গাইতে রহো দিন-দাহারের টপ্পা
রুকস্যাকে রাত্রি ভরে হাঁটতে গেল তাই আমাদের নৈশ ট্রেন
ট্রেন ভরা বাড়ির
কথা কারা কয়
নিশাচর কথামালার সার্কাস পেরিয়ে
হিম ঝিম
পার হয়ে দুটি রমিত লাইন
চুপ করে শুনি
পাহাড়ে একায়েক পায়ের শব্দ ফিরে আসছে কী করে
অনেকের একা
একায় অনেকে
পিঠের পিছনে তা’লে নাকবিতা কি নাই
কী করি আমি
গতকালই
সন্ধ্যা দিয়া মাঠ
ভাসিয়া রসিতে
রসিতে কার মন
মৌ
তাতে আদিবাসিনীর ঢং
এত রস কষ ট্রাম্পেট চেহারা
তবু কুঁচকে যাচ্ছেন কোঁচানো চামড়া পরা লোকটা
চলো ফ্রি চাঁদ
যত লাইট তত লাইট
বেহালার কঙ্কালখানায় একদিন আসল বৃষ্টি
জুনিত মাস
বীজ
নব নব
কবিতার নন-মুভি শুক্ররা পজ করেছে বিষ্যুতে
বিদ্যুতের ছবি কে ছিঁড়লো আকাশে
খাপ
খোলা এতটা বাঁকা চোরা শালা
পথের পথরা শহরে এসে সোজা হল
টান টান হল জরায়ু
আর শীৎকার গলা দিয়েই বেরোল বলে
সুলতার ঘুম ভেঙ্গে
গেল
আমি কী করি
এখন কী করি আমি
লোকটা
মেশিনের সাথে কথা বলছে লোকটা
অবরে কবরে কারখানায় তার হাতের গোল টান
রচনায় এলো
নাচের স্কুলে
বিন্দু ছেড়ে গেল বিন্দু
নায়ে দোলা দিনের নদে তখন মন মুভিতের জল
বাসটা ছাড়বে
রজনীগন্ধা শোয়া
শোকে অশোকে কে
যেন কবর কলোনিতে
মেশিনের সাথে কথা বলছে লোকটা
টাকায়
ট্রম্বোলিনে
লীন কাকে
ত্রিভুজ
মেলা কোণে
ট্রেনিং শেষের নিতম্বে নিস্তন হয়ে যায়
পথগুলো রাস্তা হবো হবো
রাস্তা হাঁটছে
আর তার ওপর লোকটার আশ্চর্য গসাগু
মেশিনের সাথে কথা বলছে লোকটা
কবর কলোনির সন্ধ্যায় নাইট জ্বালাতে এনেছে ভিডিও
পদ্য
ইনিয়ে বিনিয়ে ফুরনো কাঠের গাছ সেই গাছ হল
পুরনো ধুলো
চিতা
বিছানার কবি
ফানুস ফানুস এত ফানুস কেন শহরে
মনে হয় পৃথিবী চড়েছি
মনে হয় পৃথিবীর গতিই আমার গতি
সীমানা মানা হয়ে আছে
লুকনো ম্যাপের কথা আমি কাউকে বলিনি
এখন ফস্কা রোদ
রোদের ওপর রোদ
তা থৈয়া
কারখানা বিদায়ের গান এসব
অন্তত পদ্য
রাজনীতি
বেড়ে গান
পাহাড়ের মাথা থেকে হারিয়ে গেল ওই কে
আমার বয়সকে বায়াস দিয়েছো তুমি কে গো
অংশুমান দের ৪টি কবিতা
জেগে থাকি
বুক স্বর্গের অতল কোনো বিন্দুর চারপাশে
উৎসারিত ঘন দুধ জমা হয় চুঁইয়ে যেমন
সাদা গভীরতার মত জন্ম হয়েছে আমার
মুহুর্তে ও প্রত্যেক পরবর্তী মুহুর্তে অমোঘ
বহু মেঘ উড়ে এসে বসেছে প্রতি শিহরণে
অলীক সিঁড়ি বেয়ে ঈশানী
সাপ ঢুকেছে
কোষে কণিকায় ভিড় করেছে গ্রহ-তারারা
অচানক লমহায় ঠোঁটে জেগেছে অতিস্পর্শ
সব জন্ম আমায় জানিয়েছে
সব অতিক্রান্ত মুহুর্তের পর
চিৎকৃত জীবনের আলোয়
ছড়ানো আত্মার রিনিঝিনি বোধ বলেছে
আমি অন্য কোথাও জেগে আছি... আমরা
...আমরা অন্য কোথাও জেগে আছি
ঋত মায়াজাল থেকে বহুদুর স্নায়ু ছায়াপথে
...আমরা...
...অন্য কোথাও
জেগে থাকি।
অতিগণিত
পাপের আকার যেমন, প্রায়শ্চিত্তের আকার কি তার কমপ্লিমেন্টারি?
জানালার বিধুরতা শতাব্দী পুরোনো আকাশের সাথেও পরকীয়ায় থাকে।
দোলন বুক দেখিয়েছে বলে সাদ্দাম কচলে দিয়েছে
নাকি সাদ্দামের হাতের আত্মা নিশপিশ করছিল?
প্যারাডক্স থেকে গেল। কারণ, টাইম মেশিন এখনো অনাবিষ্কৃত।
মানুষের চরিত্রগত সংজ্ঞা দিতে পারছিনা? নিজেকে বুঝে উঠছিনা।
তাই নিজেকে দুঃশ্চরিত্র বলা ছাড়া উপায় থাকছেনা। আপেক্ষিক ভাবেই।
শরীরে শিল্পায়ণ বলতে কী বোঝাতে পারে? কোন সে অঙ্গভঙ্গী? লিঙ্গ
দিয়ে জীবন সৃষ্টিই কী চরম প্রাকৃতিক কামনা? কামনা কি বাধ্যতার পরিপূরক?
চিহ্ণিতকরণ
রোহিণীর সাথে দেখা হতেই বললাম,
তোকে দেখতে, বেশ্যার মতো লাগছে...
ওইখান থেকে কয়েকটা
আলো-আঁধারি
রাস্তা খুলে গেল
রোহিণী আমায় হাত ধরে টেনে
নিয়ে যেতে থাকলো।
আমার এ কী মিথ্যে চোখ!
মানুষের এ কী বিষাক্ত বিবর্তন!
যা এমনি পাও না তা কিনে কিনে খাও। আরো খাও। আরো আরো আরো খাও
হুড়মুড় করে ঢুকে যাও প্রবৃত্তির ব্ল্যাকহোলে
কোনো এক রাস্তার প্রান্তে রোহিণী বললো,
আমার অতিরঞ্জিত লিবিডো বেচেইন ক্যামোফ্লাজ্ড্
হৃদয়ের পাঁয়তাড়া ছাঁটছি আমি উৎসমুখী প্রত্যাবর্তনের লালসা আটকে।
আমরা ভুল বললাম একে অপর কে, সবাই কে... সবাই, সবাই কে...
রোহিনীকে বেশ্যার মতো নয়, ভোরের আলোর মত দেখতে লাগছে
বেশ্যার মতো কাউকে দেখতে হয় না।
বেশ্যার মতো করে কাউকে দেখতে হয়না...
পশুরাও জানে...
ছিনতাই
আশি-নব্বই স্তন্যদায়িনীর সাথে মৈথুন করেছ হে পুরুষ
আরো কত নারীর অঙ্গে অঙ্গে মেরেছ কালচে ফুঁক
দাওনি ভাত
দাওনি হাড়ে হাড়ে শান্তি
দাওনি শাঁখার বেড়, ঘরের গন্ধ
দাওনি আত্মার শিহরণ, মানুষের ঘ্রাণ
আর পেতে পারোনি
ঠান্ডা হাত
মাথা থেকে ক্লান্তি খুলে যাওয়া
পাওনি নিম্নতম বিভবের কোল
পরাবাস্তবের বিদ্যুৎ ছোঁয়া, সংসারের শীত সকাল
ভাবনা কোথায় তোমার? কোথায় তোমার আয়না?
সব বাদ দিলাম তোমার... তোমার চোখের যত নীল বাষ্প..
একবার শেষ চেষ্টা করো তো, বল, মাওবাদী কাকে বলে...
প্রবীর রায়ের ৩টি কবিতা
চোখের বন্ধ দিক
একটি বেলায় বালুকা বেলা সবার সেখানে ঝিনুক কুড়ানো ছিল
অপর বেলাটি অবেলার মতো উঠোনভর্তি
ঘোড়ানিম গাছ গজিয়ে উঠেছে
যেভাবেই হোক সম্প্রসারণে চেপে বসেছে বিরুদ্ধভাব
আলগাভাবকে চেপে ধরছে ছায়া আর ছায়ার ভঙ্গীগুলো
অতএব কাকভাষা ব্যবহার সহজ হয়েছে অমায়িকভাবেও তা বলা যায়
কী যেন অস্ত যাবে বলে সরিয়ে দিচ্ছে যা ইচ্ছে তাই লুকিয়ে নিচ্ছে
কী করিতে হইবে
কালো মাটির গুঁড়ো হাতে নিলে বোঝা যায় বীজঅভিলাষ
ভিজেরকমের গন্ধে আসন্ন সবুজ হাওয়ায় দুলতে থাকে
প্রতিদিন জন্মসম্ভাবনার টানে কাছে এসে ছুঁয়ে থাকে
ভালোবাসা
তার কৃষককাহিনি এইভাবে শুরু হয়
কিন্তু এরপর কোনোদিন নিড়ানি নিয়ে বিশেষতঃ গাছের গোড়ায়
দোষীদের সনাক্ত করে তার মায়া শুধু পালিত গাছটির প্রতি
সমাজবিজ্ঞান
জলঢোড়া সাপটির দিকে ছোট্ট পুষি এগিয়ে যেতে থাকে
মাথা কিছুটা ওপরে তুলে কপট ফনাও কাজে লাগছে না
চার পা গুটিয়ে এনে নিজেকে তীক্ষ্ণ করে তুলল সাহস
ঘাসের ওপরে এই খেলা কোথাও দেখেছি মনে হয়
জলঢোড়া সাপটির পালিয়ে যাওয়া অতিদ্রুত পুকুরের দিকে
ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়ার ছবি দেখতে চেয়েছি তাই দেখা হল
জয়শীলা গুহ বাগচীর ৪টি কবিতা
আঁচড়
আমার আজকাল হয়েছে মুরগী
ঘুম । পালকগুলো নোংরা , কিছু
উড়ে যাওয়া ডিম যা ফিরবে না । তারপর সব লোকাল । বিনে পয়সার ডাকাডাকি আর ইঁদুরমারা
বিজ্ঞাপন । যত ঝাড়ি তত খসে পড়ে
কালো নীল অথবা হলদেটে বিরক্তির ডাক। সাজানো সঙ্গমে হয়ত দুপুরের বাঁশি , ব্লাইণ্ডলেন
। এই আটকানোর ফাঁকে চাঁদ তারার জড় , আঁচড়ের আমিষ ,
আলো জ্বালতে জ্বালতে মাছ । এই হল কথকতা , ঝিমুনির ঝুঁটি নেড়ে হাঁক , যার বিরতির আমরণ আর
লালিত আবহবিকার ।
ফেরা ১
চোখ জুড়ে আসে মায়োপিয়া
আবছা পা থেকে মৃতের হলুদ
থেমে যায়
বড় যত্নে ঢেকে নিই শুকনো
কালো
যদিও ছিঁড়ে ছিঁড়ে ওড়ে
বাদুরের পুরনো পর্দা
স্তব্ধ হা হা
দুলতে দুলতে হিম
পাক পাক অবশেষ
এই দেহ
ফেরা ২
মৃত এসে মুছে নেয় কাগজের
ঢেউ
যা শুধুই সম্পর্কের
টেক্সট
এবার মুঠি খুলে শেকড়ের
স্পর্শকাতর
হাওয়ার রূপ দেখে জলজ
উচ্ছাস
ধরা দেয় নিজস্ব
বাকি আলো প্রতিবেশী
বাকি সব তুমি খুলে খুলে
অবিশ্বাসী আয়না ধূসর
দিন
জেগে ওঠে জানালার ধার
যারা রেলিং খোঁজেনি কখনো
এধার ওধারের মানুষী কৌশল
ভুয়ো গড়িয়ে যায় এভাবে
বলমুখি সেইসব আবছায়া
ছুটে চলা বারান্দার
চোখের মাপ
এই সরু
শর্তের রোশনচৌকি
ফুরনো গন্ধ
যদি ফেটে যায়
আমাদের আতশবাজি
ধাঁধান রং , চকমকি
সুরাহা
আরও আরও
ভয়ের পোশাকি নাম
মায়াতরু
অঙ্কুরের
কবিতা
পেট যেন হয় সেলাইবিহীন
ক
খ
গ
ঘ
অঙ্ক শিখেছি , সংখ্যা ভুলে !
১
২
৩
৪
ভাষা বলেছি , বর্ণ গুলে !
বাংলা-ইংরেজি-হিন্দী লকারে রেখে
পি.এইচ্.ডি-র খোঁজে নতুন ল্যাঙ্গুয়েজেস্
৩৮ ২৬ ৩৮ – বডি ল্যাঙ্গুয়েজ্
চিঠির মুখে জুতো মেরে এস্.এম্.এস্
ল্যাঙ্গুয়েজ !
মধ্যমা দাঁড়িয়ে
বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠি স্পট আইডেন্টিফিকেশনে ব্যস্ত
শরীর সব সন্ত্রস্ত
অনিচ্ছা সত্ত্বেও যদি জন্ম দেয়
ক
খ
গ
ঘ
অঙ্ক শিখেছি , সংখ্যা ভুলে !
১
২
৩
৪
ভাষা বলেছি , বর্ণ গুলে !
বিপ্লব
গঙ্গোপাধ্যায়ের ৩টি কবিতা
টেন plus টিফিনবক্স
কাটাকুটি চকদাগ
আশ্চর্য মোচন
রেশমি চুম্বকের টানে অন স্ক্রীন
কোকিলের গান
লুচি ও চাউমিন
এখনও জ্বলন্ত আছে ঠোঁটের কামড়ে
বেসামাল বার্তা ও আঁচড়ছবি দশ জিবি
ঢুকে পড়ে ঘুমকাঁথা নিয়ে
তেলচিত্র গড়িয়ে পড়ছে অন্য বাক্সে
ফুটন্ত খাবার
ফরসা পিঠে...
তিন খানা তিল
(ব্রাকেটের মধ্যে রাখা ছিল)
নখলিপি স্খলিত অ্যান্টেনা
ডেল্টা স্রোতে ভেসে যাচ্ছে ঘাম
জল উপাখ্যান
ঘুমন্ত পায়ের ছাপ
পেরিয়ে
খুঁজে নিচ্ছি সর্বনাম- লাইন
হোটেল
আসলে পাপোশ নয়
পড়ে আছে
...তেলচিট
স্মৃতি
হাইজাম্প দিতে দিতে
স্ফীতমেঘ
নেমে আসছে
বোতলবন্দী দৈত্যের কাছে ।
অ্যানালজেসিক
অধীত শরীর থেকে ধুলো ঝরে
দরোজা খোলার শব্দে গত রাত
দুষ্প্রাপ্য আঁধার
নির্বিকার পাকস্থলী
ছেঁড়া বাঁধনের দাগ
অ্যান্টাসিড
প্রবণ
সামিয়ানা টাঙানো
অবোধ প্রশ্ন চিহ্নের ভেতর
বেজে ওঠে গ্রামোফোন
উল্কার ৫টি কবিতা
১
আপামর চুড়েল হাঁটু
তন্হা তন্হা
ঠেকিয়ে বসছে লিভইললিগ্যাল কপাটটি!
আউশ বুকে দুধভাত
পিঁপড়ে
যুগ
টিফিন পরব
মন্তর
আপনি মায়ের চোখ চেখে চমকালেই
চু রেল যাত্রা বিপ্ বিপ্...
২
মৃত্যুর মুখোমুখি
সৌজন্য পত্রিকায় নেট খারাপ
বাস্তুতন্ত্র সফর
উদ্ভিদ থেকে উদ্ভ্রান্ত পকেট
কাটা হচ্ছে বেড কেক
না জন্ম বাড়ছে-
ছিটকে যাওয়ার আগে ফর্মালিন
খুঁজছে পুংকেশর।
৩
শিসগুলো উঠে যাচ্ছে সিঁড়ি
পোল এক্সচেঞ্জড
মাথার উপর ভুল ওড়াচ্ছে চুড়েল
গলা মোমে চুমু গুনিত
গুনাহ্
মিশনারি মোজা খুলে
পায়ে পড়ছে প্রিকাম- প্রেমিক!
৪
বার খাচ্ছে মেষপালক
অ্যান্টিক্লক ওয়াইজ
কিন্তু ধ্বনি নেই
জ্ঞ্যানজ উঞ্ছ-বৃত্ত
টো-টাল চুড়েল গোঁড়ামি
আজ কোন মতেই যিশু মরবেন না...
৫
মোচ্ছবে ঝুলন্ত আশীর্বাদ
সিজোফ্রেনিক চুড়েল
সোফার তুলোয় মিশলো ভাওয়েল
প্রচেষ্টা ফ্লাইং মোড
চু কিৎ কিৎ ফক্কা
হা রাম
আ রাম
বল রাম
বল আ হা...!
রামদের কমন রুমে নেবেন...
নীলাব্জ চক্রবর্তীর ৫টি কবিতা
এটা কখনোই
একটা দীর্ঘ কবিতা নয়
এইসব
শীতকালীন মাপজোখ
আপনার ডিম
ফ্যাটানোর বাটিতে
দুলাইন
লেন্স ফেলে যাওয়ার কথা
কীভাবে
ফেনার ভেতর দিয়ে শহরের রামধনু
আর পুরনো কাসুন্দির দাগ নিয়ে এলো
পেন্টহাউস
প্রসঙ্গে একবার গাছবাড়ির কথাও
আর চলমান এই
ছায়া ছায়া উড়ে যাওয়া বোঝাতে
হ্যালো, আমি
এখন ঠিক কী রঙের ইমোশন আঁকবো
কবিতার
লোকাল শরীরে ঠিক কোন কোন অলঙ্কার
দানা বাঁধবে জল ছুঁড়বে
>>>> বুনে দিয়ে যাবে
উপেক্ষার
যেসব কথা আমরা মনে রাখতে চাইনি
অথচ বিদ্যুৎ
বানাবার স্কেচখাতায়
বৃক্ষরোপণ প্রণালীও লেখা হয়ে থাক
গাঢ়
হাইফেনের পাশেপাশেই কমিক রিলিফের মনোলগ
আর চাকার
পুনরাবিষ্কারের কথায়
পার্কিং
লটের সমস্ত মরা ঘাসের কথা
--- ।। --- ।। ---
প্রতিদিন
লেখার টেবিলে ফিরে আসা
নোনতা জলছাপের কথা
ভাবতে ভাবতে
বরং দুচারটে
অজ্ঞানশাখার কথা ভাবা যাক
falling into the darkness
যে অন্ধকারের ভেতর
বন্ধ হয়ে যাওয়া একেকটা দীর্ঘ কবিতার
জানলা দরজাগুলো
বরং বাতিল
কুয়াশালিপির ওপর দিয়ে চলে যাওয়া
পাইলের রিগ
বিষয়ক সতর্কতা নিয়ে কোনো কথা
চেয়ার উপচে
মাংসরাশি ও নিকোটিন
হেলানো
হাইহিল নিয়ে কোনো কথা...
ক্ষয়
একটা
ওপেন-এন্ডেড গল্পরেখা
এখানে নীলু
নামের কেউ
কোনোদিন ছিলোই না কখনো
জানলার ভেতর
আর জানলার বাইরে
একইরকম
স্বপ্নদৃশ্য
এখানে
নীলু নামের কেউ
রোদের অনুবাদ করে না
ফেনা আঁকে না
জেব্রাঘড়ির
ছায়ায় বসে বসে...
লোকাস
লোকাস ছিঁড়ে
ফেলছেন একজন রাগী মানুষ
লুকিং
গ্লাসের পেছনে
যতটা সরলরেখা
দূরের শহর
ফেলে গ্যাছে
মৃদু আকরিক
ও গলে যাওয়া হিট লোডের গণনায়
পুরনো
বারান্দা
ওইখানে কবির পালক নেমে আসে
আর
সারারাত বোতামের বুক থেকে
খসে পড়ে
দুচার লাইন শেখানো উপত্যকা
অনুবাদ করার
মতো কোন স্মৃতি রাখতে নেই
বাদামি লেফাফা রাখতে নেই
এমনি এমনিই
একটা নীল সাইরেন
পেরিয়ে
যাচ্ছে খুলে রাখা ঝাপসা অক্ষরমালা ...
ফুঁ দিচ্ছি
আর গুঁড়ো
গুঁড়ো বসন্ত
খসে যাচ্ছে
চাকায় জড়ানো অক্ষরেখার
মিহি হাইফেন
কীভাবে নীল হয়ে
যায়
নীলের
বানান হয়ে যায় কেউ
যেকোনো ভেজা আয়নার পারদে
কিছু ব্যক্তিগত হাফনোট
উঠে আসছে
প্রিয় ব্যারিটোন
থেকে দূরে
টাউনহাউস শব্দটার গায়ে
একেকটা জুবেইদা নামের আলো
নাজনীন ইত্যাদির মায়া লেগে আছে দেখি ...
তারিখ
জন্মদিনের হাতল থেকে গড়িয়ে আসছে এক
একটা স্বাদু দস্তানা ও খসে যাওয়া আলোর সিরিঞ্জে এইভাবে উত্তাপ ও শীতলতা ধীরে
বিনিময়যোগ্য হয়... স্থায়ী মুদ্রায় অবশ হয়ে আসে ধাতুরঙ আর
পথরেখায়
সংযুক্তা নামের বালুঘড়ির ভেতর দিয়ে ফিরে ফিরে আঁকা হোলো স্তনের ডাকটিকিট...
দূতাবাসের পাতায় পাতায় একটিই প্রত্যন্ত তারিখ... তার ভ্রান্তি ও নিরাময়ের আদলে
ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে নীলের ভেতর নীল... অলৌকিক মনে হচ্ছে পেরিয়ে যাওয়া ঘ্রাণ শব্দটায়
যে যে অক্ষরগুলো ক্রমে বর্ণান্ধ হয়ে যাওয়ার কথা...
অনুপম মুখোপাধ্যায়ের লেখা
ঘুমপুং
বিছানার ধারে ঝুলে থাকছে
হাত
ঘুম নয়
ডগা থেকে
ফোঁটা
ফোঁ
টা
ঘুউম ঝরে পড়ছে
শুভ্র
শ্বেত নয়
শান্তি নয়
ঠকে যাওয়া দেহের ইমেজ নয়
কেউ কি এখানে মুচড়ে দেবে লিঙ্গের চয়েস
ঘামের পরিচয়
ঘুমের মধ্যে সেক্স ওঠে
বিগ্রহ যে
ওঠে
হরিণকে সেই জেগে ওঠার শাস্তি দেওয়া হচ্ছে
স্বপ্ন দেওয়া হচ্ছে
ঘুমে আর সেক্সে থেকে যাওয়ার ফারাক
হচ্ছে
বিছানায়
আর লোকটা শুধুই বদলে যাচ্ছে
যতবার পাশ ফিরছে লিঙ্গ ফিরে যাচ্ছে
কোনোবার , এমনকি
হাতটাও শাদা হয়ে ঝুলে থাকছে না
অরূপরতন
ঘোষের কবিতা
ঘাতক
তটে কোনো শিকারী ছিল না
তবু গুলির শব্দে , আলোচনা হয়
এই অঞ্চলে পাখিদের অস্তিত্ব বিষয়ে
সমুদ্রতীরে আজ তারা কতটা নিভৃতে আছে ...
আদৌ নিরাপদে কিনা – এই প্রশ্ন জাগে
তটে কোনো শিকারী ছিল না ,
তবু গুলির শব্দে , আচম্বিতে
আমরা জাপ্টে ধরেছিলাম হাত !
সম্পাদক
বলছি । এখানেই শেষ হল মূল কবিতার পাতা । এবার যাওয়া যাক অন্য বিভাগগুলিতে ? সেখানে
আরো কিছু সৃষ্টিমুখর মানুষের শ্রম লেগে আছে বন্ধু । স্বপ্ন লেগে আছে আপনার খালি চোখ অথবা চশমার কাচদুটির আশায় । অনুপম
মুখোপাধ্যায় ।।
বেশ গোছানো (বিভাগটি)।
ReplyDeleteঅর্জুন, জয়শিলা, উল্কা,অনুপমের কবিতা ভাল লাগল।
উল্কা তরুণী এবং প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বারীন দা বরাবরের মত অনবদ্য।এছাড়াও বিপ্লব দা, নীলাব্জ দা, অংশুমান দে ইত্যাদিদের কবিতা উপভোগ করলাম।
আরে! দাঁড়ান! অন্যান্য বিভাগগুলো দেখি...
কবিতা পড়তে আসা মানে ভালোলাগাটাকে ঝাপটে-সাপটে সঙ্গে করে আসা। এখানে অংশুমান দে মোর ভাললাগা’কে –তাড়িয়ে-বাড়িয়ে অনেকখানি ঘায়েল করার চেষ্টায় ব্যাপৃত। কবিতা কর্তৃক, অথবা জেগে থাকায়, অতিগণিতে, আর চিহ্নিতকরণে আমি দিশেহারা, কবিতার কবিতাংকে। খুবই ভাল লাগল কবিতাগুলি।
ReplyDeleteসব, সব কবিতার জন্যই তা বেশকম সত্যি....। ধন্যবাদ সম্পাদককে কবিতায় চোখ জ্বালিয়ে দেয়ার জন্য।
KHUB BHALO LAGLO NATUN ANGIK E BAAK.....KABITA CHHARAO ANIMIKH, RAMIT, PRASHANTA DA, UDAYAN,ANUBAD....PORE FELECHHI SARADINE....ARO ANEKBAR PORAR MATO SAB I....BAKI BIBHAG GULO PORCHHI ......SATYI "ANUPAM"..
ReplyDeleteSHUBHECHHA.....
Arjun-er lekha-guli chamotkaar laglo... Minimalistic, o beje uThchhe...
ReplyDeletedekhte dekhte 75. khub valo laglo. Ramit amar khub riyo kobi baki sabai bes valo.Arjuner kalom bes dharalo. Anupom anek suvechchha
ReplyDeleteখুব সুন্দর প্রয়াস। খুব ভালো লাগলো। আন্তরিক শুভেচ্ছা রইলো।
ReplyDeleteঅংশুমান দে, উল্কা,অরূপদা,অনুপমদা,জয়শীলাদির লেখা খুব ভালো লাগলো।.
ReplyDeleteআমার প্রিয় লাইনগুলিঃ.
"আমার আজকাল হয়েছে মুরগী ঘুম । পালকগুলো নোংরা , কিছু উড়ে যাওয়া ডিম যা ফিরবে না । "(জয়শীলাদি).
"তটে কোনো শিকারী ছিল না ,
তবু গুলির শব্দে , আচম্বিতে.
আমরা জাপ্টে ধরেছিলাম হাত!"(অরূপরতনদা).
"আর লোকটা শুধুই বদলে যাচ্ছে.
যতবার পাশ ফিরছে লিঙ্গ ফিরে যাচ্ছে.
কোনোবার , এমনকি.
হাতটাও শাদা হয়ে ঝুলে থাকছে না"(অনুপমদা).
"রামদের কমন রুমে নেবেন..."(উল্কা).
"বাকি সব তুমি খুলে খুলে.
অবিশ্বাসী আয়না ধূসর"(জয়শীলাদি).
"ঋত মায়াজাল থেকে বহুদুর স্নায়ু ছায়াপথে...আমরা......অন্য কোথাও.
জেগে থাকি। "(অংশুমান দে ).
নীলাব্জ,অর্জুনবাবুর লেখাও বেশ ভালো।বারীনদার লেখা ,প্রবীরদার লেখা নিয়ে আমি কে বলার?
বিদ্রঃবিপ্লব ও অঙ্কুরের লেখাগুলোও পড়লাম।চালিয়ে যাও বন্ধুরা...বেশ লেখা।.
বাক বেশ ভালো হয়েচে।বাকে এসে মূলত আমি কবিতাই পড়ি।গদ্য-র অংশগুলো এইবার দেখলাম...বেশ মেধা ও পরিশ্রমের ছাপ...বেশ ভালো লেগেছে...আমি হলে এইরকম কাজ করতে পারতাম না তাই সমালোচনার কথা কখনোই ভাবিনি।কারণ বাকে আমার ভালোবাসা ও ভালো লাগা এবং বন্ধুত্বের আঁতীয়তা বা তার উল্টোটাও আছে...এবং ছিলো ও থাকবে।দারুন হচ্ছে অনুপমদা।দারুণ...
E ki lekha poRLAM , Pushkar Dasgupta-r... oh! bha ba ba ha a ami am i borong chup kore jai! Thanks Ramit da ke...
ReplyDeletethanks sabya---- :)
Deleteharano diner kobita amader sabar--
আজ নির্বাচিত বাক্ হাতে পেলাম।কবি সব্যসাচী হাজরা পাঠালো...এই একটা স্বপ্নের কথা আমি নিজেই অনুপমের সাথে share করেছিলাম একদিন...বলেছিলাম অনুপম এতো ভাল কবিতার কাজ হচ্ছে এর একটা সংকলনের কথা আমাদের ভাবা উচিত।এটা লিপিবদ্ধ হয়ে থাকা দরকার।অনুপম আমার সাথে সহমত পোষন করেছিল।আজ তার লিপিত নির্বাচিত সন্তান কে হাতে পেয়ে ভীষণ আনন্দ হচ্ছে এই ভেবে যে আমিও একটা স্বপ্নের শরিক হয়ে থাকলাম। শুধু ভালবাসা অনুপম, সব্যসাচী আর নীলাব্জ'র জন্য আর ভালবাসা ‘’ নির্বাচিত বাক্ ‘’এর সকল লেখকদের জন্য যারা আমার বন্ধু,ভাই,বোন,দিদি আর দাদা র রূপে সেই আপনজন হয়ে আছেন গত দুই দশকেরও বেশী সময় ধরে।
ReplyDelete