“‘টোটেমভোজ’ পড়েছিস? ‘সুবর্ণরেখা রানওয়ে’?” আমি দু’দিকে ঘাড়
নাড়াই, না তো। বন্ধুটি মুষড়ে পড়ে,
“কারও কাছে পাচ্ছি না রে, পেলে জেরক্স করতাম... দুর্দান্ত দুটো বই-ই আউট অফ প্রিন্ট”
তুই পড়েছিস?
না।
কি আশ্চর্য! পড়েনি, তবু জানে দুর্দান্ত বই! কীভাবে? আজ ভাবলে হাসি পায়, কিন্তু সেদিন সেটাই সত্যি ছিল। গত তিন দশক ধ’রে অমিতাভ
মৈত্র, রঞ্জন মৈত্র প্রায় ক্রম-প্রবাহের মতো ছড়িয়ে পড়েছেন বাঙলা তরুণ কবিদের মধ্যে। দাদার থেকে ভাই থেকে আরও ছোট ভাই কীভাবে জানি জেনে ফ্যালে এই দুই মৈত্রের কথা।
আমরা স্বাধীনতা সংগ্রাম দেখিনি। তবে ২০০২-এ প্রথম যখন কোনোক্রমে এক-পিস ‘সুবর্ণরেখা...’ জোগাড় করি, সত্যি বলছি, ইংরেজের নিষিদ্ধ বই পাওয়ার মতো উত্তেজনাতে, শিরা ধমনী সব বিপ্লবী হয়ে গেছিল। প্রায় কাছাকাছি সময়েই অনুপম প্রথম পড়ছে, ‘টোটেমভোজ’। পরে যখন দুটো বই-ই
কালেক্ট ক’রে নিজের
লাইব্রেরীতে রাখি, কি অদ্ভুত, এক বছরের মাথাতেই চুরি যায়। প্রথমটায় রাগ হয়েছিল, তারপর মজা লাগে। এ’ এমন বই যাদের কোনও দিনও কোনও লাইব্রেরীতে ধ’রে রাখা যাবে না। সময় থেকে সময়ে, চুরি হতেই যেন এরা এসেছে...
কিন্তু সেই দুই মৈত্র মহাশয় তো এই দুটো বইয়েই থেমে থাকেননি
– এগিয়ে গেছেন। গত তিন দশকে, তাঁদের লেখার মধ্যে দিয়ে ভ’রে দিয়েছেন বাঙলা ভাষাকে। তাঁদের নিয়েই শুরু
করা যাক এবারের বাক...
লাল প্রজাপতি
আমি ইলেক্ট্রিক
গীটারে হাত ঝলসে নিয়েছি
আর গোটা দেশ চিৎকার করেছে তোমার
জন্য
তোমার রক্ত জমাট ক’রে বানানো হয়েছে লাল ট্রামলাইন
আর গোটা দেশ হাহাকার করেছে তোমার
জন্য
তোমার অস্তিত্ব
অগ্রাহ্য ক’রে দরজা
ঠেলে বেরিয়ে গেছে
জল হয়ে উড়তে চাওয়া বরফ
তুমি দেখতে
চেয়েছিলে শুঁয়োপোকা কীভাবে
লাল প্রজাপতি হয়ে যায়
লাল ট্রামলাইন
কীভাবে লাল প্রজাপতি হয়ে যায়
ইলেকট্রিক গীটারে
হাত ঝলসে দেখছি
কীভাবে এই হাত লাল প্রজাপতি হয়ে যায়
অন্তর্বিরোধ
যেখানে জানলা
পর্যন্ত নীরবতা বিছানো
সাদা বাতাস যেখানে
ঈগলকে
ডানা না নেড়ে ভেসে বেড়াতে দেয়
সেখানেই একদিন
তোমার বন্দুক ধিরে ধিরে ঘুম-চোখ খোলে
আর গুলি ভাসিয়ে
দেয় আমার নীল মহাকায়ের দিকে
পায়ের নিচে পিছলে
যায় ডাইনির চুল
পোষাক সামান্য নড়ে
ওঠে
পাউডার রুমের
ভগবান
পাউডার রুমের
ভগবান বলেছেন ট্রেন কারশেডে যাবে
কেউ উঠবেন না
পাউডার রুমের
ভগবান বলেছেন এই রোদ্দুর কারশেডে যাবে
কেউ উঠবেন না
মা ট্রেনে উঠে
পড়েছেন, তাঁকে নামানো যাচ্ছে না
মা রোদ্দুরে উঠে
পড়েছেন, তাঁকে নামানো যাচ্ছে না
পাউডার রুমের
ভগবান বলেছেন
মাকে ট্রেন থেকে নামানো যাবে না
আমি চেষ্টা করছি,
মাকে নামিয়ে আনার অভিনয় করছি
পাউডার রুমের
ভগবান বলেছেন
মাকে নামিয়ে আনার অভিনয় করা যাবে না
দূরত্ব
প্রত্যেক তারার
একটা হাসি আছে
আর সেই হাসি অনেক দূর পর্যন্ত যায়
কিন্তু আগের দিনের
অন্ধ ভিখারি আজ আর তত দূরে নেই
আমার কথা মিলিয়ে
নাও, অস্থির হয়ো না, চোখ পরীক্ষা করো
বাজি ধরছি, আগের
দিনের অন্ধ ভিখারি কিছুতেই আজ তত দূরে নেই
যন্ত্র
বাস থেকে নামার
আগে নরম বেদনার্ত গলায়
ড্রাইভারকে নাম
জিগ্যেস করেছিলাম
- বলতে পারেনি মনে করতে পারেনি
মাঝরাত। একটু আগে
এগিয়ে আসা নক্ষত্রদের
নাম জিগ্যেস করেছি
নরম বেদনার্ত গলায়
তারা যা বলেছে সে
তাদের নাম নয়
যে সংখ্যায় আছো
আকাশেও সংখ্যাগুলি
কখনো পিদ্দিম
আর ডাক কোনও অন্ধকারে
চলতে থাকে
ভাঙা হিম গোটা ছাদফুল
সমুদ্র থেকে নেমে যেই
পাড়া
খুচরোয় ডিজেল গন্ধ
বালুকায় জাফরি ও সদর
গেটবাতি সংখ্যাবাতি
অলখ হাউজিং
আছো শব্দের গায়ে
ধ্বসা পার বোল্ডার
নেহাত বিডিও
মহলা মহল্লা থেকে পোশাকে
বেগানা
গড়ে ওঠা সাথ সংগত
খোয়ানোর পাশে খোয়া
অঝোরে আঙুল নামছে রোলারে
বোতামে
তার পাশে যতদূর সাং-লা
সাং-লা
ইস্কুল
বই দেখছে মুন্নাকে
পরীক্ষা চেয়ে আছে
ক্যালেন্ডারের ওমে ঘুমে ভেনু ও ভেনাস
ক্রিকেট মুখে পাখি উড়ে গেলে
ওহ সে ফুড়ুৎ শব্দটি জানে না
ওহ সে বামুন কায়েত ও তাদের বইগুলি জানে না
তো উড়ে গেলে
শুধু বাইশ গজ মুন্না হাজির
ভেনু ও ভেনাসের মধ্যে এক মাইল কুয়াশা
আধ মাইল পানিট্যাংকি মোড়
পরীক্ষা চেয়ে আছে
ওহ মোরা কখনো দেখিনি
কবির পনছিটিও ভোমবা মেরে আছে
চেয়ে আছে মার্ক বেঞ্চ
আসো তবে গান করি
আসো চিকখইর দেই
ফুটা হোক বুঁদ হোক
বুঁদ বুঁদ
কত প্রশ্ন ধানে ও পালং শাকে
মিলে মিশে আছে
বিস্মৃতি -৩
হাওয়ায় লেখা
গাছগোছের জন্য যে আলো
ফোটে
তরু যে খরাতোড়
মরু মরুৎ -এর জবানী
মনে পড়াকে মনে করো
মনে ধরো
লেখার জীবনী, নার্সিং হোম পার হয়ে
বলা অবলায় পৌঁছে
মোজা খুলে ফেলা গেল
তখন রোদ ঢুকছে
অক্ষর থেকে জ্যাকেট
থেকে
তার পথগুলি
তার মৃদু বুটিং
ওহো তুমি ল্যান পেলে
বনেটে অশ্রুফোঁটা
মানে নেই কোন মানে
নেই
বসন্ত
পথটি যায় যায়
ঘড়িটি যায় যায়
এখন বাসের জন্য পোড়ামন
এখন বাসার জন্য ফাল্গুন
হাতে হাতে এঁকে ওঠা
মুখ
পিচ মোরাম কর্দম
অধুরে গুলাল
কই যাও
পাথর বসেছে আজ
জলঘড়ি সূর্যঘড়ি
হ্রদ হৃদি বিস্ফোট
ভাসতে ভাসতে তুমিই
কাফেলা
বাসের মাথায় সূর্য
বাসের মাথায় গোরাচাঁদ
পাথর বসেছে
অমান্যের আইনগুলি অবরোধগুলি
সুদূর হর্নের দিকে
চেয়ে আছে
গাছে গাছে নতুন টিকিট
মনিটর
যেভাবে হাত বাড়াও
যেভাবে পোট্যাটো চিপস
নিচ দিয়ে সমুদ্রও যায়
চামড়ারা বাড়ি গেলে
আলোয় ফেনায় শালবল্লা
গোলমাল কোরে দেয়
কপাটের গায়ে কোন দূর লেখা
পাঞ্জায় লহরিয়া সরাই
এখানে ভাষার খিদে
পাত সম্পাত সব মনিটরে উঠছে নামছে
রাতের রোমিং সিলভার
নাইলন লিখিত সবেরা
এই নাও এই বেড়া
নিচ দিয়ে সমুদ্রও যায়
কখনও কোনও কবিকে স্বপ্ন দেখেছেন? যাঁকে চেনেন না... শুধুমাত্র
তাঁর কবিতা পড়েছেন, আর রাতে ঘুমোতে গিয়ে দেখলেন সেই কবি সোজা আপনার স্বপ্নে। আমরা
দেখতাম। বেশিদিন নয়, আজ থেকে বছর দশেক আগের কথা, তখনও মোবাইল, ইন্টারনেট এত বেশি
ছিল না জীবনে। তো কবিতা ভালো লাগলে কবির সাথে আলাপ করি কী ক’রে? চিঠি-পত্তর চালাচালি করাই যায়,
কিন্তু সে বড় সময়সাপেক্ষ... তার চেয়ে ভালো উপায় ছিল স্বপ্ন... যাঁর কবিতাই ভালো
লাগতো তাঁকেই রাত্রে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখে ফেলতাম। কবিতা অনুযায়ী চেহারাগুলো হতো,
কেউ খুব গম্ভীর রাশভারী, তো কেউ আবার খোলামেলা দিলদরিয়া... এমনকি কবিতা প’ড়ে আমরা এটাও টের পেতাম কোন কবির গোঁফ
চিকন-পাতলা, আর কার রয়েছে দাড়ি। কী কাণ্ড! আজও যখন কোনও অচেনা পাঠকের ফোন পাই – সেইসব নাদানিগুলো মনে পড়ে – ফোনের এধার থেকে বোঝার চেষ্টা করি,
আমাকে তাঁর স্বপ্নে ঠিক কীর’ম দ্যাখাচ্ছিলো...
এইরকম পাঠকের সাথে কবির পরিচয় করিয়ে দিতে, বাক এবার থেকে
সম্পূর্ণ নতুন এক পন্থা নিলো। এখন থেকে বাকে কবির নামের ওপর ক্লিক করলেই পৌঁছে
যাবেন তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে। তারপর ফ্রেন্ড-রিকো, আলাপ এসব তো রয়েইছে। তো খোলামনে
স্বপ্ন দেখা শুরু করুন, আর ক্লিক ক’রে আমাদের জানান, স্বপ্নের কতটা মিললো।
হ্যালোজেন, হোলোজেন
কিছু কেডসের আলো আসে,
পরম দরাজে নামিয়ে রাখি তামাকের বরজ।
লো মাধবীলতা, এই যে চোখের মাপে তরণী
ঘটে যায়
আমাদের টিপসই আর বদর বদর শব্দে ভ্রূ
অনুবাদ
আমাদের আ-এ-আলজিভের বোধি
টুসটুসে ফিমেলমাস
সমস্ত রোড ধরে পুলিশের ফুল ফুটেছে আজ।
যেন কেউ লিখছে লোকাল জল
আবেগে ম ম করে ওঠে আঙুলের কাজ
এই সব কাজ নাও, খুলি খুঁটে নাও
বোতামের রুথলেস ঘিলু।
পৃথিবীর
উদ্বৃত্ত হরফ/১
বিড়ালটা একদিন সত্যি সত্যি বাক্স ছিঁড়ে পালালো...
বাক্স ছটফট করছে যৌনপ্রতিভায়
প্রভায়
যত না আলো তার চেয়েও বেশী অভ্যাসে
মাথা নীচু করে
আমরা এখন বিড়ালটাকে নিয়ে ভাবছি
তার প্রিয় স্তন, প্রিয় পেয়ালা
স্ট্যামার করার প্রিয়তম স্পট, অ্যাতো প্রিয় কেন?
পৃথিবীর উদ্বৃত্ত হরফগুলি লক্ষ্য করি।
মাটির ভেতর থেকে বেরিয়ে পড়ছে গাছ
জলের মধ্যে ডুবে যাচ্ছে ভারতীয় যুবক
বাক্সটা বিড়াল ছিঁড়ে বেরোতে পারছে না
আসলে একটা বরফে পৌঁছতে চাইছিলাম
সর্বনামকে লেখা কবিতা/১
বহু ব্যবহারে তিনি ক্ষয়ে যাচ্ছেন
নামমাত্র হয়ে উঠছেন।
সংবাদপত্রে, নামানো চশমায় কিংবা ফোনের শব্দে
ফিরে আসছে ক্রমশ ফিচেল নস্ট্যালজিয়া,
এমনকি উৎসর্গপত্রও ধুধু করে গেলে তুমি শান্তভাবে
তাকে চেপে ধরেছো কোমোডের ফ্লাশে,
তার ডুবে যাওয়া থেকে ভেসে উঠেছে মোহ ও টিউলিপ
সিগারেট জ্বালাবার সময় যেসব ফ্যান্টাসি মনে আসে
তারা ক্রো-ম্যাগনান হবে
বানাবে পাথরের টুকরো, অস্ত্র ও নিশানা
তাদের প্রত্যেকের জন্যই তুমি শোক-প্রস্তাব
এনেছিলে সেদিন।
মথলাইট/১
তদ্রূপ।
যন্ত্রাংশগুলি থেকে মায়া ও প্রার্থনা ঝিকিয়ে
ওঠার মত
যতি নেয়। ফৌত
হয়ে ওঠার সামান্য।
তলে তলে গেরিলাযুদ্ধের প্রস্তুতি
ধাতুর আবেগ লেগে আছে নিয়নে
যেন বা অ্যাভিনিউ জুড়ে থ্যাঁতলানো মথ
তোমাকে লেখা - ১০
আমি আর সকাল হওয়ার মধ্যে
বাঁশির পেঁয়াজকলি হু্টোপুটি
আলোর অংশবিনে
তুমি কেবল তুমিই
পৃথিবীর সেই থেকে যাওয়াটুকু
চৌরাসিয়ায় বারেবারে আজো ...
যতদূর সঙ্গত
বাজছে তোমার নীরবতা
কি এক হেঁইয়ো মার
কদমতাল
খনির ভাঁজে যে পাতার ফসিল
সেখানে সমুজ্জ্বল সব ভ্রমণ
বিকেল বিকেল প্রাইজ সেরিমনি
খুব খুব খুব হও
চাইছি আলো পড়ুক রান্নাঘরে
কচুকাটা শাক, মূলো
মাগধী নাইলোটিকা
যত অবশেষ .. ঠুম্রী
চিঠি হচ্ছে স্টেশনরোড, পঞ্চাননতলা ...
বলো শীত মাইকি ...
বলো মুমফলি রোদকি ...
ছায়ার হাস্নুহানা আর কলম মানছে না
অর্থাৎ রিক্সা আনারকলি নিয়ে সরে গেলেন
আর আমার খামোশ স্নায়ু
কিংখাব ক্ষিদে
মৌরি হল চিঠির ভাঁজে
তোমাকে লেখা - ১১
এবার একটু ঘনিষ্ঠ হব
মনে কর চশমার বীন
দূরের বীন ভাঙ্গছে উমা-উমায়
একে কুয়াশা বলি
দেখা উচিত ছিল সবুজের
ঘাম-আঁচিল
টুক-টাক চায়ের দোকান
খবর পড়ছে দোলনা পার্ক
যদিও কোন মানে নেই
শীত পড়লে না-দেখাকে আদর করি
আমরা
তখন খেজুর আর টুপির মত গভীর
সব
বিছানা লাজুক প্লিজ বলছে
বাড়ছে-কমছে ঘরসাজানোর ফলিত
বিদ্যা
কবিতা থেকে কবিতানো কদমবুশি
এই নজরানা থেকে অতর্কিত হই
যেন রঙ চেনা আর হবে না কোনদিন
আমার আলো কবিতাকে নিয়ে গেছে
দূরে
আমি চাকার তেল খুঁজছি
খুঁজছি হাতমোছার কটন
টমেটো চাষ
হারানো চশমায়
মাইল মাইল টমেটো চাষ
এমন গোলগাল সন্ধ্যে
মনে পড়লেই দুঃখ হয়
বিলাস লাগে
আসর ভাসিয়ে ঠাকুরের
নৌকাবিলাস
লেগে থাকো বলেছিলাম নদীকে
ব্যাটা গোধূলীকেই লগি
ঠেলে দিল
সেই থেকে বসন্ত বয়কট
বারান্দা জুড়ে রোদ
পোহাচ্ছে জকিরা
এবার মুখস্থ হবে দৌড়
ভুলবে না
ঠোঁটে প্রেম নিয়ে বাড়ি
ফেরার
পাখিদের দোলাভাই
গান ঐ কানের দুলদুল
বউ ঘুমোচ্ছে মালতীরা
ডাকছে মধুস্বরে
স্প্রিং খাট - ৮
আমার ঘরের যেমন জানলা আছে।
জানলার পরে রঙ্গোলী। রঙ্গোলীরও জানলা থাকে গভীরজানে। চলো মেঘসুমারী করি ... বিপরীত
ডিসকোর্সের আগে আমাদের হুইস্কি,
কাঁচা আমের গুটি ..
মাইরি হাজার ন্যাকামি তার
উফ্ফ বলার ঠোঁট খুঁজছে বেসিন।
বেসিনের উপর আয়না
মনে হল একবার ঝুঁকে দেখি না-এর
গায়ে আমার দিবস-রাত, এরম-সেরম
না..
এই যে আয়না বড় হচ্ছে আর দাঁড়িয়ে
থাকা হাত-পা নাড়ছে ভিতর থেকে।
ছবি কখনও ভ্যানিশিং পয়েন্টে
ভ্যানিশ হইতে সম্মত হয় নাই। তবু ডেমোক্র্যাসির
পাগড়ি চাই!
কে বলবে বল,
এই সেদিনও সনম নদী পাড় বরাবর হেঁটেছিলেন। সবুর
... সবুর.. সুতো কম বলে ঘুড়িকে আমোদ গেঁড়ে বোলো
না।
এখনও পাত্তা শেষ হলে কাছে-পিঠে
বনবাদাড় হয়
আর অরণ্য বলে হিসি করে
আমার সেগুন ভাই,
শিশু ভাই
তুমি বেরাদরী ভাববে
আমি জানি খেয়ালী গাঁথনিতে
কেমন হয় খিস্তির রংমহল।
স্প্রিং খাট - ৯
টোল পড়ে গেলে যেকোনো কালকে
আগামীকাল ভাবি। কেননা নদীর ঘোড়া আছে আর অশ্বত্থ হয়েছে নিদাঘ শাড়িটি। আঁচল বরাবর তার
বেচারা হাওয়া
হামি দেই
হিবিস্কাসি মামলেট
মাথার দিব্যি দিয়ে তো কেউ
বলেনি- আমাদের কথা বল। তবু ছবি আঁকতে গিয়ে হ্যালো কেঁপে যায়। বহুবার শুনেছি সেই ডাক-
হাঁস কই ?
ঘুঘু কই ? ধানগুলো যে পেকে হলুদ হয়ে গ্যালো !
এই কিছুক্ষণেই টি.আই. প্যারেড
সেরে
সানি বোরখা পরবেন
আর সন্ধ্যা হয়ে গেছে বলে সন্ধ্যায়
রোজরোজ
পাউডার লাগবে
যেন গাছেদের সহেলী হওয়া প্লুরাল
হবে একদিন
সব পরিচয় তখন আচম্বিতের ভায়রাভাই
...
হোয়াট আই হ্যাব ট্যু টেল
অ্যাবাউট দ্য হেয়ারআফটার
৮:৩০:০০- ঘুম ফেটে গেল।
তারই দিকে উঠে আসা মানুষ
অথবা মেকআপরুম
অস্ত্রোপচার,তুমিও থাকলে ।
৮:৩০:০১- what I have to tell
about the hereafter!!
৮:৩২:০০ – মানতে চাইব,এই ভয়ংকর মিথ্যের কথা!
ব্লাউজখোলা বুদবুদের কথা!
উদাসীন কেরোসিনে ভিজিয়ে রাখব ফোকলা
কার্তিক!
টেলিগ্রামটার বয়ান সেরকমই
থাকে অথচ আবহাওয়ার গায়ে থাকেনা ওভার কোট
আমাদের দেখেই যাত্রীনিবাস
নেমে আসে,চুলদাড়ি থেমে যায়,
পান খেয়ে পিত্ত মুছে ফুটো
চাকা নিয়ে বাড়ি ফেরে বিষন্ন
ট্রেন ছাড়তেই টুপি নাড়িয়ে
বিদায় জানাল যে,তাকেই তো আবিষ্কার
সে নেমেছে একা মার্কশীটে
তাকে দেওয়া হোক কিছুক্ষনের
পর
আরও একটা কিছুক্ষন …
৮:৩২:০১- what I have to tell
about the hereafter!!
৮:৩৫:০০- এবার আমার সব কটা
দেওয়াল পরিস্কার হবে
বাগান কাটা হবে
অথচ জানলার ওপাশেই
বাগান থাকবে
অথচ দেওয়ালটাই আমার
চোখে পড়বে
যেন সিনেমাটা শুরু হয়ে গেছে,
এই ভেবে,ভেজা হাত ঘড়িদের শেখাচ্ছে,এক হাতে মগ অন্য হাতে সাবান
ডলে ডলে তুলে দাও নবীন
হাড়গোড়,তরুন ছাউনি…
প্রজাতন্ত্রকে বাঁচাবার জন্য
বাতি নিভিয়ে দাও
পায়রা উড়িয়ে দাও এক ঝাঁক ,
পায়রা দিয়ে তৈরী হবে
প্রজাতির হিপনোটিজম …
আর আমরা ওই গল্পের মধ্য দিয়ে
হেঁটে যাব ওই নশ্বর পিঁপড়েদের কামড় খেতে খেতে
৮:৩৫:০১- what I have to tell about the hereafter!!
৮:৩৭:০০- what I have to tell !
৮:৩৭:০১- আমরা ওই গল্পের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাব ওই নশ্বর
পিঁপড়েদের কামড় খেতে খেতে
ওর দু পাশ দিয়ে উঠে গেছে সিঁড়ি
“সবুজ আলো লাল আলো দিয়ে সাজানো সিঁড়ি” …
দরজায় দরজায়
অবশ্য,বহুদিন আগেই দরজাটা খুব ধীরে ধীরে খুলে যায় ।
ভিজে শাড়ি শুকোয় দড়ির ওপর …
শায়া তুলতে কুয়াশা আর ছাদেই
যায় না
তোমাকে গাড়িতে তুলে দেওয়া আর
তোমার গাড়ির দিকে তাকিয়ে থাকা
আড়াল করার মত দু একটা
স্নেহশীল উঠোন ছাড়া
ধরে নিচ্ছি,পোস্টকার্ডে এত উচ্চতা ধরা সম্ভব নয়
তবে,তোমার অবসরের জন্য কাজ আমি দেব
কুয়াশার খামতিটুকু লক্ষ্য কর,ও নিজের চোখেই নগ্ন হতে জানে না ,
একটা নগ্নতার কিছু ওপরে একটা
নগ্নতার কিছু নিচে
তোমার কাজ হবে সেই শোবার
ঘরটা খুলে দেওয়া
যেখানে নাটকের কাজ বন্ধ রাখব
আমরা …
গৃহস্থ
ফিরে গেল সবাই
একটা শব্দ রেখে…ডিম পাড়ার …
লালের ভেতর হলুদ নিয়ে ঘরে
ফিরল সব জায়গার কমলা
দরজা আধখোলা থেকে বাথরুম
আধখোলা
বাকি অর্ধেক ,জানতে চাননি বলে
সেও কিছু বলেনি এতক্ষন ।
এখন ওই উপুড় হয়ে শুয়ে আছে
ভাঙা ইঁটটি,ওর নাম দেওয়াল হতে পারে
ঘরও হতে পারে
কি ঠান্ডা মাথায় মানুষ
মানুষই থেকে যেতে পারে !
হেঁসেলের হাত পুড়িয়ে হাঁ করে
ঘুমায়
যেন,সেইসব আত্মহত্যা
এখুনি আবার বেরুবে
খুঁজতে …
পথ
পালিয়ে যাওয়া পায়ের দাগ
প্লীজ,ওকে ‘তুমি’ সম্বোধনে ডাকুন …
দেখুন,ফিরে আসতে শুরু করলেই আরেকবার আলো
নিভিয়ে যায়নি কেউ ,
চুরি করে চিঠি ঢুকিয়েছে
আবাসনের দরজা
সারা বিকেল নাগাল নিয়ে খেলা
করল ও
হাই তুলল এঁটো রেলিং
ভাড়াবাড়ির ভেতর মাটি অপেক্ষা
শিখল
মহাকাশের অ্যালবাম খুলে …
জানি,সম্পূর্ণ পড়ে শেষ করতে পারেননিতো শনিবারের চিঠি
অথচ রোববারেই পেয়েছেন ,
তবে কি,রোববারই হয়ে গেল লিকলিকে সব শনিবার!
না,সব ঠিক আছে,তালাতে
চাবি আছে একগাল হেসে,প্রতিশ্রুতি আছে ছোট মাপে,
চিঠিদের নিচু গলার হাসি
শুনুন
টূকরো সাবান পথ হারিয়ে ফেলুক
তার শান্ত মৃতদেহ পাওয়া যাক
ফেনার নিচে …
আঁশ
জল ফিরে গেল। মাছ
গেল না।
গয়না বাঁধা দিয়ে ব্যথা হওয়ার
কথা নিল …
মাছেরও একটা শব্দকোষ আছে,
যেকোনো অভিধানে ডেকে আনো
জলেদের
আর জলের ভেতর দিয়ে যদি
গুহাচিত্রে এসে পড়
নিজের হাতে কেবিনের পর্দা
তুলে নাও ,
দেখবে ,বঁটি আর বেড়ালের থেকে বেছে বেছে
ডাক দেবে সুস্বাস্থ্যের আঁশ …
আঁশ মানেই তো অক্সিজেন ট্যাঙ্ক,ডুবুরির মুখোশ
আর সাঁতার কাটার
সরঞ্জামগুলোকে খুলে রাখছি ছোটদের জন্য একটি গল্পে,
হাত জমে সাদা হয়ে যাওয়ার
পরেও আমরা বাড়ি ফিরছি
যেখানে ঠান্ডা জল,ইহকালের ফ্রিজ হয়ে
লুকিয়ে রাখছে বরফের
প্রেক্ষাপট …
তিন-ফসলি বিজ্ঞাপন
১
অ্যাত্তো বড় হয়ে যাচ্ছ
বন্ধু
আর আড্ডাই ডিঙোতে পারছি না
ফাঁকায় পড়ে আছে বি টি রোড,
ঘামের ঝাপটা
রোগা হচ্ছে আমাদের
তেঁতুলপাতার কলোনি
২
কোরাস মেলানোর দলে
কিছু একটা খামতি থেকে
যাচ্ছে
হ্যাঁ,
আলবাত … একটা কিছু ফাঁকা লাগছে তো, লাগছেই
একটু দূরে,
এককোণে দাঁড়ানো ইন্দ্র,
হাসছে অনুপম
৩
ধরা পড়ে যাচ্ছি অথবা চলতি
রাস্তায়
এক ডাকে ফেরো,
ফিরে এই রান্না হওয়া
দরজা,
এতদিনের ডাকাডাকি ভান
হাতে রইল ডাকনাম
৪
নেশা,
গোপন ছাড়াতে গিয়ে
ভর করল তোমাকে
চৈত্রসেলে মলমূত্র ঢুকে
যায়
আমার পারা না পারাকে তুমি
আজ আর ইভ টিজিং বোলো না
৫
দু-এক মেহমান ঝিমিয়ে
নিচ্ছে অ্যাক্সিডেন্ট
আমার রক্তের গ্রুপ চুরি
করবার পর
আমাদের ব্লাডব্যাংক
দু-এক ফোঁটা বিজ্ঞাপনে তিন
ফসলি জমি হাতড়ে যায়
ফগাড়ু
আমার মেয়ে বুধাশয় এনেছে
আতঙ্ক আনে নি
চন্দ্রদেব চতুর্ভুজ খুলছে
পাশে , চতুর্ভুজ বাহু তাড়াচ্ছে
দূরে
জলকানো গিনিয়াপে মিসেস সেন
, কামড় দিচ্ছে সাপ্তাহিক
বিড়াল
প্রায়ন্ধ টকিজ ,
আনন্দীর গানে বোকা বানানোর ছক ,
আনন্দের কবিতা লালামুক্ত
এ অবস্থায় গন্ধর্বদের কিছু
করার নেই , সুনন্দার আছে
আপনারাও আছেন ‘’কী রাগিনী বাজালে হৃদয়ে’’
ট-এর টিকি ,
টান মারেন রেশমী পাড়ার বৌ
বৃষ্টি পড়ুক তোতনের ঘরে
ফগাড়ু শিখুক ভুলবে তাল ,
টকটকে সাদা
কুচকুচে লাল
ধবধবে ?
ওদের মেয়ে আতঙ্ক এনেছে
শুক্রথলি ভরে...
উজ্জ্বল বোল
অনিচ্ছুক তারাও এভাবে ,
অগুন্তি পায়রা
ছাত্র অবস্থায় পেছন দিকের লাল প্রশাসন
স্থির চিত্রে ,
ট্র্যাকিং শটে বকম্ বিকাশের আলো নেই
মোহনলাল কুঞ্জবনে
কুলকুলিয়ে ওঠেন
অঘটন চেয়ার টেবিলে ত্বরণ বসান
হাসেন শব্দ করে
বৃহস্পতি , সোম , মদ , মেয়ে
প্রনাম করো
বিকলাঙ্গ উলঙ্গ হাতে সমাকলন শেখে
তোল্লাই রেখেছে মেষ
আপনার রায়ে মুখোমুখি নাচুন
অন্ধ ছেলের খোঁজে জয়বাংলা
ভাসাও বাংলা ভাসাও জয় ভাসাও
বৃহন্নলা ঘোরাও বার্ষিক
গতিতে
সারা রাত হয় নয় মাখে
মগনলাল
শহরের দিকে ফেরো
জ্বালানির গায়ে উজ্জ্বল
বোল , বলনে
ঘিয়ে
ক্ষরণে
মাখন লাল...
প্রতিবিম্ব
ছেলেটা আয়নার সামনে দাঁড়ায়
, আলোক বর্ষায় আর পাল্টি খায়
ছেলেটা লকলক করে বেড়ে ওঠে
রকম-সকম ছোঁড়ে পাশের বাড়িতে
তখন সন্ধ্যে ৬টা
সমতল দর্পণের চরিত্রে
ভাসছে স্কুল , হাসিন্
পরিবার
মেয়েকে প্রতিবিম্ব ভেবে
চাবি দিচ্ছে জন্মান্ধ
সেলাই-ঠাকূমা উমা ঢালছেন
দুধে
বিষ্ণু গলে নামছে পিঠে
পার্বণে
আপনি দন্তবর্ণে মিলিত হোন
আপনি ল্যাঙ্গট খুলে ল-এর
অভাব বুঝুন
লবে ভগীরথ হরে কৃষ্ণকায়
ভগ্নাংশে রাক্ষস স্নান
যুক্তাক্ষর দিয়ে
অগ্নাশয়ে ভাসে ক ,
ষ
ছেলেটা আলোর স্বভাব বোঝে
আর!
শব্দ ছোঁড়ে আকাশের দিকে...
ট্র্যাজিক-মালা
আসামের খুচরো চা-গাঙ্গুলি
রিড-ওনলি পাইথনে
দেবালয় থেকে
ট্র্যাজিক-মালা
গান্ধারি ও গুণিতকের শেষ
রাতে
বাচ্চাদের সুরে ধৃতরাষ্ট্রের নামতা
নন্দী ও নন্দাই-জালে লসাগু
টলায়
সিনেমার পাশে উধাও
সঞ্জয়
মন্দ আনন্দে শিবের মুখ ,
আবগারী বুড়ি , শিবে সর্বাঙ্গ সাধিকে
সর্বস্ব পাহাড়ে
চরকায় ফুয়েলের দিন
নর ও নরজীবী নমস্তুতে...
শুক্রবারে
উদম দলমা Z-
ব্রা
রোজ দু-লিটার রাক্ষস তুলি
বুকে
জামায় ভেক্টর
প্যান্টে দোলনা কামান
এখন সন্ধ্যে
কচ্ মাথায় স-বর্ণ ,
বংশগতি শেষ কথা বলে
এখন কুকিং এর যুগ
শুক্রবারে ম্যারিনেট করো
রোজ কুয়োতে নামেন অসুরের
মেয়ে
রোজ জঞ্জাল সরান মিসেস দাস
এখন সকাল
ফা-হিয়েন চুমুক মারেন চায়ে
ঘূর্ণিকা সরিয়ে দেবতা হও
বেদ সরিয়ে মানুষ হোন
শুক্রবারে পরিবেশন করো
শরীরের আশেপাশে
শরীরের আশেপাশে
দরজার কাছে
গায়কের ব্যারিটোন ঘুরতে
থাকে
মিহি একটা গন্ধ পাই
কি কোথায় পচছে
তার ভয় আমি বুঝতে পারিনি
কোথায় কার প্রাণে আমার
ত্রিকাল সেদ্ধ হয়
ভয়ের বিবেক আমাকে মন্দ
আলোয় যেতে বলে
বলে, কবে কার স্মৃতি হয়ে
আছো
কতোদিন পৃথিবীতে মানুষের
মতো বেঁচে আছো
দেখি, আমার হাত-পা গুলো ভয়
গ্রুপ ফটোগ্রাফে আমার রঙ
খসে পড়ছে
দেখি, সামান্য হেঁটে আসছি
বিকেলবেলায়
আয়নার সামনে আমি
চোখের দিকে তাকাতে পারছি
না
যা যা ভয়ের কাজে লাগে
যা যা ভয়ের কাজে লাগেঃ
ক।
একটা সময়বাঁধানো ঘড়ি (পেন্ডুলাম অবশ্যই দুলবে)
খ।
সাদা কাগজের মতো অসীম হয়ে থাকা (আর ভয় পাওয়া মুখের উপমা)
গ।
ঐ তো, দরজা ঈষৎ খুলল। দমকা হাওয়া এলো (লক্ষ্যণীয় ‘ঐ’ বলে তর্জনি দেখানো)
ঘ।
আলো না নিভলেও চলবে। আলোয় মানুষও তো লুকোতে পারে না
ঙ।
ফুটফুটে নিজের শরীর। স্নানে তাজা (বিশুদ্ধতা রক্ষা হয় এতে)
চ।
দু’একটা শব্দ মিহিন। (না থাকলে ঘরের আত্মা মানুষের ভিতর-বাহির এক করে দেয়)
ছ।
টানা একটা অবস্থা। যখন ঘরের অংশগুলো জ্যান্ত হয়ে ওঠে। কথার মতন হচ্ছে, কিন্তু, আওয়াজের টের হচ্ছে না।
তার মানে, কখন যেন পর্দা
উঠে গেছে। যার অপেক্ষা সে অনেক আগে এসে, আমার মধ্যে বসে আছে
সবাই পুতুলবৎ
সবাই পুতুলবৎ নড়াচড়া করে
নানা প্রদেশের মেয়েরা
বিভিন্ন ভঙ্গিতে আমাকে
দেখে
তাদের চোখে কোথাও আমি নেই
যেন ভাগ্য স্থির হচ্ছে
আমার
আমি যাকে বিশ্বাস করি না
হাওয়া সরে যায় হঠাৎ হঠাৎ
ঘর বাজারের মধ্যে হঠাৎই
কেউ কেউ স্থির
যেন কেউ দাঁড়িয়ে আছে
দাঁড়িয়ে থাকবে বলে
যেন কেউ শুয়ে আছে শুয়ে
থাকবে বলে
যেন আমি কেউ নই
যেন আমার ভয় থাকার কথা নয়
কেউ আসবে
কেউ আসবে— এরকম মনে হওয়ায়
রোমহর্ষ শব্দটায় নড়াচড়া
করি
ভয় পেতে কিছুটা নাটক হয়
গ্রীষ্মে মাদুর তার ছায়া
লম্বা করে
যে আসবে জেগে থাকলে
ঘুমোলে মাথার কাছে সে-ই কি
দাঁড়াবে?
ঘরের মধ্যে কোনোদিন
আবহাওয়া ছিল?
যে আসবে তার যদি উদ্দেশ্য
না থাকে?
নীলকমল জাগে
একা একা তাস খেলে
ছবিগুলো সাজিয়ে রাখে
সংগ্রহশালায়
ভয়ে যারা অপরাধী, তাদের
চিঁহিও রাখে
আমিও কীভাবে দেখি
মানুষের ছায়া পড়ে দরজায়
আমি ও মানুষ
কত যে রকমভাবে
কত যে রকমভাবে মরে যায় গাছ
আমাকে আর ভাবতে হয় না
ঘন ঘন ঘটনায় থাকি
ঐ তো দেখছি হাত-পাগুলোকে,
চতুর্দিকে ভয় দিয়ে ঘেরা
যেকোনো সময় জড় হয়ে যেতে
পারে
শরীরের মানচিত্রে কতখানি
ঘর আঁকতে পারি
কতখানি রসক্রিয়া টের পাই
বেড়ে উঠি, হলুদ পাতাকে
ত্যাগ করি
ঘরের ভেতর হাওয়া পিন্ড হয়ে
আসে
যেকোনো রকমভাবে ভয় হয়
আমি
ব্যুরো অব ইন্টেলিজেন্স
বোতলের ভাষা জল হয়ে আছে
শক্ত গেলাসে
ঠাণ্ডা
জললল নয়
জলের মন নামছে
আওয়াজের বুদ্ধি নামছে
জলের মন বাড়িয়ে তুলছে
পিয়াসের কথা
বিশেষ কোনো ভাষা থাকছে না
খবরের শেষে এসে খবর থাকছে না
মানুষ
তোর জিভে জিভ ছুঁইয়ে
অবাক
তওবা করছি
সময় পড়ে যাচ্ছে
সময়ের কথা তুলছি , আর
সময় পড়ে যাচ্ছে
বলছি না সময়কে মিলিয়ে দিচ্ছি
বলছি না সময়কে তুলে নিচ্ছি
শেকসপীয়রের সনেট নয়
বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা নয়
এই জীবন
আর এই কঠিন জীবনে
আমি
আমি তো
একটা
হাসি হয়ে ঘুমোতে চাইছি
মির্জা নেই
সাতটা ঘন্টা পরপর
সামনে উড়ে যাচ্ছে একরাস্তা পায়রা
পেছনে পোড়া বিড়ি আর
টাটকা মদের গন্ধ
এই পুরনো শহরে
আসছে না কেউ মির্জা যার নাম
শুধু এখানে ‘সকাল’ লিখলে
হাভেলি উঠে আসছে
সন্ধে লিখলে
ইরশাদ
তুই
সময় থেকে বেঁচে উঠছে সময়
খর্চা হচ্ছিস তুই
এই
জীবন আর জীবনের মাথা খারাপের মাঠ
ছুটতে হাঁটতে খর্চা হচ্ছিস
তুই
তোর সেই এক রোগা আছিস তোর সেই
এক রোগা ছিলি
তোর সেই এক রোগা থাকার
মার আছে ওখানে
মারের পেয়ালা
মোটা হচ্ছে না
খর্চা হচ্ছিস
তুইই
আঃ
তুই
বেথেলহেম
লম্বা-চওড়া হোক না হোক
আলোর জন্যই জায়গাটার
নাম হেমনগর
শুধু কল্পনা আর অরুণ ঘসে ঘসে
ঝকঝকে করা হচ্ছে রঙ
জন্ম দিচ্ছে
জন্ম নিচ্ছে
গোয়াল থেকে ভেসে আসছে
মৃদু বুনো কান্নার সুর
পাগলা গরমে
কষ্টে
আনন্দে
আর খুব একটা
বিচ্ছিরি ঘামে
থেকে যাওয়ার ইচ্ছেটা পুরনো হয়ে উঠছে
তো, এভাবেই ৭১ নম্বর পোস্টও
শেষ হলো। মনে পড়ছে, বাকের শুরুর দিকে, যখন পনেরো জন ফলোয়ার ছিল, অনুপম একবার লিখলো, এই সংখ্যাটা হয়তো একদিন ১৫০ হবে। আজ সেটা চারশোরও বেশি। বাকে কমেন্ট করতে এখন
ফেসবুকও ব্যবহার করা যায়। তবু আমরা যারা প্রথম দিন থেকে এই ব্লগটার
সাথে জড়িয়ে,
এই ব্লগে ঘটে যাওয়া নানারকম আড্ডা আলোচনা
ড্রামা মেলোড্রামা তর্ক ভালোবাসার সাক্ষী, তাদের তো মনেই হয়, ব্লগের কমেন্ট কমে
যাচ্ছে। “ওরে কমছে কী রে? ফেসবুক ভর্তি তো আলোচনা...” যতই বোঝাও, আমাদের বেশি ভালো লাগে, এখানে এসে ধুন্ধুমার করলে... গ্লাস উলটে দিয়ে তারপর চিয়ার্স বললে...
ওহো তুমি ল্যান পেলে
ReplyDeleteবনেটে অশ্রুফোঁটা
মানে নেই কোন মানে নেই....আহা মৈত্র স্যার কোথায় পালাবেন আপ্নি...আপনার পিছু পিছু এখনো আছি আমরা...
কবি অনেক অনেক ভালবাসা এই অসাধারণ লাইন গুলো উপহার দেবার জন্য।
উঃ ! ভোজসভা !!
ReplyDelete৭১ সংখ্যাটি শুনলেই বুকের মধ্যে ছলাৎ করে ওঠে। বাকের ৭১তম পোস্টটিও ছলচ্ছল শব্দে ভেঙে পড়ল ভেতরনদীতে।
ReplyDeleteআপাতত কবিতার পাতায় পড়া শেষ করলাম। অসাধারণ বললে কম বলা হবে। অনুপম, ইন্দ্র দুর্দান্ত সংকলন করেছে, বাক-এর আজ তক সবচেয়ে ভাল। অভিনন্দন, ইন্দ্রনীল, তোর রিমোট কন্ট্রোল দারুণ ভাবে অ্যাকটিভ।
ReplyDeleteফেসবুকে যখন থেকে পড়েছিলাম, অন্যরকম ৭১তম সংখ্যা, আসছে; অপেক্ষায় ছিলাম। সত্যিই খুব ভালো হয়েছে..
ReplyDeleteবাকের এই পোস্টটা মন ভরিয়ে দিল। মুড়িয়ে ফেলা কাগজের উপর লেখা কবিতা, পরিত্যাজ্যতার মধ্যে থেকেই তো কবিতার জন্ম, কারো কারো আবর্জনা কারো কাছে শীতলপাটি।
ReplyDeleteঅনুপম আমার অনেকপঠিত অবুঝ কবি। ওর কবিতা আমাকে বারে বারে ফিরিয়ে দিত, এবারের পোস্টের কবিতাগুলো আমাকে যেন চিনতে পেরেছে। কবিতার রস পেলাম। এটা অনেকটা পাওয়া।
আমি রমিতের যত কবিতা পড়েছি ওর প্রথম কবিতাটা তার থেকে অন্নরকম, কবিতাটাকে আমার বেশ অচেনা মনে হল। পলাশের কবিতাগুলো ওর অনেক কবিতার মতই চিরকূটকবিতা, আর অন্যদুই মৈত্র কবির কবিতা ত খাসা।
তবে নতুন সম্পাদকের কাছে আমার আর্জি আছে। আমার মত যারা অখ্যাত অর্বাচীন কবি তাদেরও বাকে একটু সুযোগ কি দেয়া যায় না? মান না হয় একটু খারাপ হল অভিমান ত কমবে। মানের মাপকাঠিতে পত্রিকাকে এভারেস্টের চূড়ায় নিলে অধিকাংশেরই অক্সিজেন লাগবে, মাঝে মাঝে বাশবনের ঝিরঝিরে হাওয়াও তো দরকার। আর সব ভাল কবিতা নিলে খিস্তি করার ত জায়গাই থাকে না। কখনও পুরুষালী মোক্ষণের আনন্দ পেতে খিস্তি করার সফট টার্গেট হিসেবে আমাদের বেছে নেওয়া যেতে পারে। অনুপম কি সেরকম নতুন কিছু ভাববে?
_ হৃষীকেশ।
Anupam aar Indra naki Indra aar Anupam--- ki korechhis re! akta sankhyay atogulo asadharan kabita!Ami shudhu kabitaguloi ak nishbase porlam apatato, take thik nikhnut path bola jabe kina ami jani na. kintu ei muhurte toderke kibole ashirbad korbo, bhalobasbo, tar uchcharan khnuje pachchhi na. abar arekbar khnutie porhbo hoyto, atota samay jeeban theke pele, kintu ei muhurte boli BAAK-er joy hok. aar ektu binita kritagnata, amar samparke du-char katha bolechhis bole, sankhya shurur prante amar kichhu kabita sthan diechhis bole. bhalo thakis------Ranjan da ( Ranjan Moitra)
ReplyDeletekhub-i jhakjhake smart-looking hoyechhe. lekha gulio fatafati.
ReplyDeleteishita bhaduri
ebare bak poRte khub subidhe hochchhe. font gulo boRo boRo, back drop tao besh ovinobo notun.
ReplyDeleteসাক্ষাৎকার-এ মৃগাঙ্ক একটা নতুন স্টাইল এনেছে -- নিজেকে নিজে -- আর দারুণভাবে প্রকাশ ফেলেছে পুরস্কারের ব্যাকগ্রাউন্ডে। অতনুর গদ্য ইদানীং বেশ ভাল লাগছে। এখানের তার ব্যাতিক্রম হয়নি। এখানে কবিতা বিষয় না, গদ্যের মধ্যে কবিতার রস ঢুকে যাচ্ছে। সার্চ করছেন দেবাঞ্জন হতাশ করল। এই রচনাই বিশাল হাইটে নিয়ে গিয়েছিল আমাদের। সেই আশা নামিয়ে আনা সম্ভব না। পাঠম্যানিয়ার পেরিস্কোপ-এ সমরজিতের কবিতার স্বাদ আর বিশ্লেষন পাবো ভেবেছিলাম। কিন্তু এটা হয়ে উঠছে প্রদীপ চক্রবর্তীর একটি গদ্য। বিষয়ে না গিয়ে সে "বিটিং অ্যারাউন্ড দি বুশ" করছে। রমিতকে ধন্যবাদ, প্রতিবার আমাদের ভুলে থাকা প্রিয়জনের কবিতা তুলে আনার জন্য। প্রণবেন্দু দাশগুপ্তর কবিতা ভাল লাগল।
ReplyDeleteকবিতার পাতা নিয়ে আগেই বলেছি। তবু আবার বলি, অমিতাভ আর রঞ্জনের কবিতা বারেবারে পড়েছি। সাবাস 'বাক'।
osdharon songkhya...Amitava moitra-Ronjan moitra porom prapti!....Ramiter onnyo angike lekhati "what i have to...." bhalo laglo.....porchi...
ReplyDeleteBaak 71 e kichu valo kobita pore ahladito.valo lege jaoa kobita gulor modhye Nabendu dar Prithibir Udhrito Horof/1,Sarbonaam ke lekha kobita Debanjan dar Tomake lekha/11 khub valo legeche.kichu bikkhipto line tule dhorlam jegulo pore stunt hotei hoy.nisandehe egulo kobitar pranvromra
ReplyDelete1.ebar mukhostho hobe dour
2.kuashar khamti tuku lokkhyo koro
3.tobe tomar abosarer jonyo kaaj ami debo baki ardhek jante chaoni bole seo kichu boleni etokkhan
4.oder meye atonko eneche sukro tholi vore
5.sarirer manchitre kotokhani ghar ankte pari kotokhani raskria ter pai bere uthi ,holud pata ke tyg kori
6.samayer katha tulchi,ar samay pore jacche.
Thank you Indra da kichu valo line upohar debar jonyo.
নীলাব্জর উপন্যাস "কোন চরিত্রই কাল্পনিক নয়" এবারের অংশটা পড়লাম। হাসলাম আমার, কমলের, সুবিমলের বইয়ের নাম দেখে। সংলাপের মধ্যেই থাকবে নাকি ঘটনাও গড়াবে ? উপন্যাস তো, তাও মাসিক, প্রতিবার আরো বড় হলে ভাল হয়।
ReplyDeletetarun kabider kabita aro tarunrataro hchche. ujjal ekjhak payra ure berachche baake. debjani
ReplyDeleteapaatoto koyekti kobita r golpona bivag ta porar chesta korlaam.
ReplyDeleteamitava moitrer পাউডার রুমের ভগবান ta besh laglo; nabendu r সর্বনামকে লেখা কবিতা/১,মথলাইট/১ ebong debanjan er স্প্রিং খাট - ৮,স্প্রিং খাট - ৯ vallaglo.
kobitagulo ei sonkhyay bede hoyechhe kintu,maantei hocche.
golpona taay nirikkhamulok byaparta valo..tobe ami r ektu beshi subversion asha korchhilam.
71 r baak besh porinoto dekhachhe.
আজ পড়লামঃ বারীন দার 'কবিতা ভাষান',অতনুর গদ্য,রমিতের ফিরে দেখায় প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত....নিজেকে ধনী মনে হচ্ছে...ইন্দ্র কাজ করেছে lerned king এর মতো.....স্বপন রায়
ReplyDeleteসবার প্রথমে বলতেই হয় এবারের বাকের লুকস নিয়ে ... মোচড়ানো কাগজ ... তার উপর একের পর এক কবিতা। এ তো কাগজের স্তূপ ঘাঁটতে ঘাঁটতে হঠাৎ করে পেয়ে যাওয়া ... কি সব কবিতা ! শুরুতেই কি না দুই মৈত্র মশায় ! ধন্যবাদ টিম বাককে এই উপহারের জন্য। দুজনের কবিতাই আমার ভীষণ প্রিয়। আরও একবার তা উপভোগ করা গেল। তারপর একে একে নবা, সব্যসাচী, রমিত, অনিমিখ, অনুপম।
ReplyDelete“পৃথিবীর উদ্বৃত্ত হরফগুলি লক্ষ্য করি” ... অমলকান্তির সাথে probability-র সম্পর্কটা বেশ ইন্টারেস্টিং , নবা :)
ওয়াহ্ .. রমিত কি লিখেছিস মাইরি ! জিও স্যার...
ভাল লাগল পলাশ, সব্যসাচী আর অনিমিখের লেখাও। সব্যসাচীর লেখা বরাবরই আমার কাছে ভিন্ন মনোযোগ দাবি করে – ওর শব্দচয়ন, বিন্যাস আর ইন্টারটেক্সচুয়ালিটির জন্য। এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হল না।
সবশেষে অনুপম .. বাকের সম্পাদক তার এই অক্লেশ কবিতায় বরাবরই আমাকে ঈর্ষান্বিত করে। অসাধারণ লেখা ... সবটা মিলিয়ে এক দারুণ পাঠ অভিজ্ঞতা। দুরন্ত সম্পাদনা করেছে ইন্দির ... ওই টুকরো ফিলার ... আমার ভীষণ পরিচিত। - Debanjan Das.
Thank U Barin da Debanjan da , ar Baak r sob pathok ke...
Deleteএক নিঃশ্বাসে পড়লাম, ভালো হয়েছে সংখ্যাটা...কবিদের ফেসবুক আইডিতে সরাসরি যাবার চিন্তাটাকে স্বাগত জানাচ্ছি...
ReplyDeleteপ্রিয় সম্পাদক মহাশয়
ReplyDeleteআপনার ‘বাক’ দেখলাম।প্রথম থেকেই পড়ছি। ভাল লাগল।
ভাল থাকবেন।
satyi ebaar anek kichhu paalTe gyachhe. asambhab bhaalo kichhu kabitaa porhlaam... anek jotno niye korechhe Indra ei sankhyaa-Ti... baarbaar fuTe uThchhe...
ReplyDelete--- Nilabja
বাকে এসে কবিতা পড়লাম। কবিতার রাজ্যগুলো এভাবেই জেগে রয়। অনিমিখ পাত্র-এর ‘শরীরের আশেপাশে’ ঘোরাফেরা করে আয়নায় চোখের দিকে না তাকাতে পারা, আমায় আয়নার সামনে দাড় করিয়ে দিয়েছে। আর কি আশ্চর্য্য চোখের দিকে তাকাতে পারছি না।
ReplyDeleteঅনেকগুলো ভিন্ন স্বরের কবিতা আস্বাদন, অনেক ভাব এনে জড়ো করে। তারা লাফায়-লাফায়, মনের চারপাশে চতুর্মত্রিক দৃশ্যাবলী। এগুলো নিয়ে কি করতে হয়? জানি না...
অনুপম মুখোপাধ্যায়-এর সময় পড়ে যাচ্চে... যাচ্ছে না? ভাল লাগল সব মিলিয়ে, ভাল লাগল।
Durdanto 71...ei kabita gulo porte pere... ki je anando hochhe...Amitavo da...Ranjan da...aha...ei barsha ta jadu kore dilen apnara...ar Nabyendu,Ramit,Anupam,Debanjan,Animikh,Sabyasachi,Palash...kudos for all....ar Indranil..thanks...
ReplyDeleteসময় নিয়ে এলেও বাক-এর প্রথম পাতার আয়োজন দেখতে দেখতেই গদ্য, ধারাবাহিক, রমিতের জানালা বা মাসের কবিকথন প্রায়ই পড়ার বাইরে থেকে যায়। ক’দিন আগে এদিক সেদিক ঘুরতে ঘুরতে বাক-এ ধারাবাহিকে রাজর্ষির গদ্যে চোখ আটকে গেছিল। একটানা সব কটি পর্ব পড়ার পর এ সংখ্যায় যখন এ মাসের কবি হিসেবে রাজর্ষি চট্টোপাধ্যায়কে দেখলাম তখন কবিতাগুলো সত্যি আর মিস করা গেল না। “আমার ব্যাধি আমি/ আমার নিরাময় আমি” .. স্পষ্ট এ উচ্চারণের সাথে “ঠিকানা বদল করি/ সাশ্রয় করি আয়ু” অথবা যে সব ময়ূরেরা তীব্র ইচ্ছে লিখছিল তাদের কথাও আসবে, আসবে সবগুলো কবিতার কাছেই আমার ভালো লাগা।
ReplyDeleteআর প্রথম কবিতা.. ওটায় মেঘের থাবা পড়ুক না পড়ুক, ডানা উল্টে যেটুকু পড়ে রইল, অনবদ্য।
valo laglo.tabe phele deoya kagoje lekhaguli keno post holo.avijit
ReplyDelete