বাক্ বাংলা কবিতার প্রথম ব্লগজিন । বাক্ বাংলা কবিতার মুক্ত অবস্থান । ব্যক্তিগত পছন্দের সীমানা এবং বাজারের বাইরে আকাঙ্ক্ষা ও প্রভার সন্ধান
তার ঘোষিত ব্রত । পাঠ্য ও অপাঠ্যর মধ্যবর্তীটি ছাড়া কোনো ভেদরেখাই
মান্য নয় । কথা বলুন 8436419575 , লেখা পাঠান : anupam_gtl@yahoo.co.in এবং konnagar : ghatal : paschim medinipur 721212, west bengal, India । লেখা পাঠান 'অভ্র'-তে টাইপ করে ওয়ার্ড ফাইলে । পি ডি এফ ফাইল আমন্ত্রিত লেখা ছাড়া গ্রাহ্য হবে না । অনুগ্রহ করে ফেসবুক বা আন্তর্জালে প্রকাশিত লেখা পাঠাবেন না ।
prothomei boli besh valo laglo ebarer baak.kobita guli besh sundor pore aro bistarito janabo.kobita bishoyok godyo tir gothon shoili odvut sundor laglo.somoyer sathe hente kobita niye eto sundor godyo rochona ke sotti hats off.drishyoto bivag protibarer theke kom jori laglo.pore bistarito janabo
আহা রাজর্ষি তোমার কবিতা বড় ভালো লাগলো I কাঠখোট্টা অবয়ব সম্বল আধুনিক কবিতার মধ্যে তোমার কবিতা মনে বেশ ফুর্তি এনে দিল I আজকাল বেশিভাগ কবিতার কাছেই ফিরে আসা যায় না I কবিতাই ফিরিয়ে দেয় I
Ashole Amitava ei samoyer etota strong kabi je kina nijashya avijatye likhe jai anuchharita sei kathamala , parimita bodher kache tar pasara , karjakaraner kache tar chute chala ........
সোজাসাপটা ভাবেই বলি। আমার কবিতার রসদ সংগ্রহ করতে আমাকে এখানে আসতেই হয়। কারন এক জায়গায় এতহুলো ভাল লেখা আর কোথাও পাই না, ভাল লেখা পড়লে আমার মনে ভাল লেখার অনুপ্রেরণা আসে, তাই আসি বারবার, অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও, আবার আসব, আবার পড়ব বাক নির্বাক হয়ে ...
অনেক ধন্যবাদ আর্যনীলদা । আপনি এর আগেও 'বাক'-কে ওয়েবজিনের দিকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন । আমাদের প্রতিবার লোভ হয়েছে সেই কথা শোনার । নিজেদের মধ্যে সাগ্রহে কথাও বলেছি । তারপর মনে হয়েছে , 'বাক'-এর পরিচিতি তো ব্লগজিন হিসেবেই । সেটা নষ্ট করে লাভ নেই । অনেকগুলো আন্তর্জাল পত্রিকার একটা হয়ে কী হবে ! বরং চলুক যেটা 'বাক' করেছে , সেটাই আরো কয়েকদিন করুক , একটা ব্লগ , একটা জমজমাট আড্ডা ।
বারীনদার নতুন বিভাগ আর নীলাব্জর উপন্যাস কেমন লাগছে ? শুরুটা কিন্তু দারুণ মোমেন্টাম নিয়ে নেমেছে ...
ইন্দ্রনীলের কবিতা খাসা লাগলো , ভিন্নমুখ পত্রিকায় ওর লেখা একটা কবিতা পড়ছিলাম, অনর্থক জটিলতা সৃষ্টি করে কবিতার মৃত্যু হযেছিল, এখানে ও আমাদের মত অদীক্ষিত পাঠকদের কথা ভেবে লিখেছে মনে হয় , আমার নিজের মনে হয় বিষয়ের ও আবেগের কেন্দ্রে পৌছালে আজ ও কবিতাকে সবার জন্য উন্মুক্ত করা যায় I তবে অনুপম হতাশ করলো , ও ওর কবিতার চেনা ছক ছেড়ে বেরোতে পারছে না , তাই অসম্ভব predictable হযে পড়ছে , বহুমাত্রিকতা আনতে চেয়ে ও কবিতা যেন একমাত্রিক প্রোটোটাইপ হযে যাচ্ছে , আবেগবর্জিত কবিতাগুলো কোলাজ ধর্মী চিত্র ছাড়া আর কিছুই মনে করাচ্ছে না , ও শক্তিশালী কবি , ওকে কবিতায় আরেকটু প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে I
কয়েকটি অনুগত প্রশ্ন ... ১। আপনি কে ? মানে নাম যদি এটাই হয় , আপনি আমাদের সম্পর্কে এমন 'তুমি'-ভাবে কথা বলছেন কি করে ? আমি কি চিনি আপনাকে ? ২। প্রাণ কাকে বলে ? ৩। প্রেডিক্টেবল কাকে বলে ? মানে আপনি কি তৃতীয় লাইনেই বুঝতে পেরেছিলেন শেষ লাইনে নেকলেসটা কে চুরি করেছিল ? ৪। অনর্থক জটিলতা কাকে বলে ? মানে ... ভিন্নমুখের ওই কবিতাটা কোট করে দয়া করে যদি বুঝিয়ে দেন সেটা কী করে সরলীকৃত হতে পারতো , তাকে কিভাবে আইসক্রিম দোকানের দিকে ফুসলানি দেওয়া যেত ... ৫। অদীক্ষিত পাঠকের জন্য ইন্দ্র এই কবিতাটা লিখেছে , এবং আমি তা ছেপেছি এমন সুমহান উক্তি করার গভীরতা আপনি কোথায় পেলেন ? সেটা ঘটলে তো 'বাক' বন্ধ করে দেওয়াই ভাল । ৬। আবেগবর্জন বলতে আপনি কী বোঝেন আমার কবিতাটার সাপেক্ষেই নাহয় বুঝিয়ে দিন । ৭। কোলাজ কাকে বলে ? সেকি মন্তাজের সহিত অভিন্ন ? ৮। আপনাকে এসব আমি জিজ্ঞাসা করছি কেন ? ধুস ... কিছু মনে করবেন না ।
বাক ৬৯ খুলতেই এক গুচ্ছ হলুদ ছড়িয়ে পড়ল। তারপর কবিতা।পরপর পড়ে যেতে কোনো অসুবিধা তো হলই না, বরং রহস্য আর মজা এগিয়ে নিয়ে গেল। আমি প্লুত হতে থাকলাম। পরিচিতরাও কত অন্যরকম লিখেছে।কাউকে নতুন করে পাওয়া যেমন তেমনি কম পড়ে থাকারাও মনের আশ মিটিয়েছে দারুনভাবে। একটা ওয়েব পত্রিকার উদ্দেশ্য এত সুন্দর মিটিয়েছে এই কবিতাসকল যাতে আনন্দ পাওয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। সাবাস। এগিয়ে চলুক অর্জিত সব গরিমা নিয়ে... ভে্তর এখনও পড়া বাকি। পরে লিখব।
আরে অনুপম আমি হৃষিকেশ ,আমাকে তো চেন , তোমার ব্লগে আমি নাম হিসেবে ঢুকতে পারছি না , ইটা আমার কম্পিউটার শিক্ষার অভাব , নাম প্রকাশে কোনো অনিচ্ছা আমার নেই , আমি সুধু নিজের মত প্রকাশ করেছি মাত্র, আমি তো সেটা পারি নাকি ? আমার কখনো মনে হয় অতিরিক্ত পিঠ চাপড়ানি তে কবিতার ক্ষতি হচ্ছে , শুধু ভালোটাই নয় অন্য দিকগুলো যা হয়ত আরেকটু ভালো হতে পারত তার দিকে আমাদের নজর দেওয়া উচিত , তুমি নিশ্চয় বিশ্বাস কর যে কবিতা একটা ভীষণ ব্যক্তিগত পছন্দের জায়গা , সেখানে মত পার্থক্য আসতেই পারে , পাঠকের মতামত কে গুরুত্ব দিতেই হবে সবসময় , যারা কোনো কবিতা facebooke লাইক করছে তারা কবিতার কাছে পৌছেছে কিনা সেটা তো প্রশ্ন কর না , কারো কোনো কিছু অপছন্দ হলে সেটাকে আক্রমন অবশ্যই করবে কিন্তু সেটা কবি হিসেবে তোমার অধিকার কিন্তু তা বলে এত অহমিকা মনে হয় ঠিক নয় , মনতাজ কি বা সেটা সাহিত্যে কিভাবে এসেছে সেটা আমিও কিছু জানি , তোমার কবিতা অনেকদিন ধরে পরে পাঠক হিসেবে আমার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া আমি প্রকাশ করেছি মাত্র, মনে রেখো সংঘ এক দশকেই ভেঙ্গে যায়, প্রায় প্রথম থেকে আমি বাকের পাঠক ও কোনো কালে লেখক , অনেকের আসাযাওয়া দেখলাম , যারা শুধু হাততালি দেয় তাদের নিয়ে চললে হবে না , যারা কখনো বলবে রাজা ন্যাংটো তাদেরকেও গুরুত্ব দিতে হবে , যা হোক ভালো থেক , এটা উষ্মা নয় , বন্ধু হিসেবে প্রতিক্রিয়া I
তুমি নিজের নাম উল্লেখ করলেই এতটা রূঢ় হতাম না । আসলে অজ্ঞাতনামা মন্তব্যকারীদের প্রতি আমি একটু ধৈর্যহীন হয়ে পড়ি । ছদ্মবেশ আমার কাছে বড্ড অস্বস্তিকর । মুখোশ সইতে পারি না । তোমাকেও তাই ভুল বুঝেছি ।
তুমি আমার বন্ধু আমি জানি । কয়েক দিন আগেই একটা চিঠি পেয়েছি । আমার সেটাও খুব ভাল লেগেছে । আজকের দিনে এমন আন্তরিকতা কম পাই । তোমার ফোন নাম্বার পেলে ফোন করব ।
যাই হোক , উপরের মন্তব্যের প্রসঙ্গে বলি ... মন্তব্যটিতে হয়ত তুমি ইন্দ্রর প্রশংসা করতে চেয়েছ । কিন্তু সেটা হয়নি । অদীক্ষিত পাঠকের জন্য ইন্দ্র এই কবিতাটা লিখেছে ... এটা বলা একজন কবির চরম অপমান বলেই মনে হয় । আর , আমার সম্পর্কে যেটা বলেছ সেটাও আমার মনে হয়নি ঠিক । এটা কবিতার সমালোচনার ধরণ হতেই পারে না । যে শ্রম দিয়ে একজন কবি কবিতা লেখে , সমালোচককেও নিজেকে সেই স্তরে নিয়ে গিয়ে মন্তব্য করার দায় থেকে যায় । এটা আমি বলছি , কারণ উপরের মন্তব্যে তুমি একজন আস্বাদক নয় , সমালোচকের ভঙ্গিতেই কথা বলেছ , টেকনিকালি কথা বলতে চেয়েছ , শুধু ভাল লেগেছে বা মন্দ লেগেছে বলে কাজ সারোনি , কিন্তু যে শব্দ ও টার্মগুলো ব্যবহার করেছ সেগুলো তোমাক বহণ করতে পারেনি ।
কেউ 'ভাল লেগেছে' বললে আমি কোনো সাড়া দিই না , কারণ ভাল লাগার কারণ না জানলেও আমার চলে যাবে । বরং তা ভুলতে চেষ্টা করি । 'খারাপ লেগেছে' বলে জানতে তো হবেই কেন খারাপ লাগল । সেটা জানা জরুরি একজন কবির । এটা অহমিকা নয় , আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা সইয়ে নেওয়ার ব্যাপার । নিজেকে যাচাই করার তেষ্টা ।
তুমি আবার 'বাক'-এ ফিরে এসেছ । খুব আনন্দ হচ্ছে । সেই দিনগুলো মনে পড়ছে । সঙ্গে থাকো । ফোন নাম্বার দিও ।
অনুপম আমি খুব আনন্দ পাচ্ছি!কি সব কবিতা!বাহ!!আর বারীনদার ওই অনুবাদ!অনুবাদও যে শিল্পকর্ম হয়ে উঠতে পারে এই লেখা তার প্রমাণ!কবিতার মধ্যে যে ভাবনাসহ আছে সেই পারে অনুবাদের মাধ্যমে কবিতাটির সবচেয়ে কাছে পৌঁছতে!বাংলা কবিতার বাক বদল ঘটে গেছে,বাক তার আকর হয়ে থাকছে,দারুণ!আর সঙ্ঘমিত্রার কবিতা পড়ে ভালোলাগাটাও জানিয়ে দিলাম!স্বপন রায়
তোমার মানবিক প্রতিক্রিয়া দেখে ভালো লাগলো I আমি আরো কঠিন প্রতিক্রিয়া আশা করেছিলাম I যাই হোক আমার তো মনে হয় আন্তর্জালে আমরা অনেকখানি উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে পেরেছি I অদীক্ষিত কথাটা আমি বারীনদার অতিচেতনার কথা বইটা থেকে নিয়েছি I যেখানে উনি প্রস্তুতি ও শিক্ষা ছাড়া কবিতার কাছে আসা পাঠককে অদীক্ষিত বলেছেন I আমার মনে হয় যে কবিতার সাধারণ প্রবেশ্যতা আমার কাছে বন্ধ বলে মনে হয় , মনে হয় আমি যেন কবির সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না , সেই ক্ষেত্রে আমি নিজেকে অদীক্ষিত ভাবি I অদীক্ষিতের জগতই যেখানে বিস্তৃত সেখানে কবির সাথে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর যোগাযোগ বন্ধ হযে যাচ্ছে i আমার সবসময় মনে হয় কবির সাথে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর যোগাযোগ যেভাবে কমে আসছে তাতে কবিতা না খুব শিগগিরই লুপ্ত শিল্পে পরিনত হয় i আমি সাহিত্যের কোনো ধারাকেই জীবন জনসমাজ থেকে বিছিন্ন ভাবতে পারি না i কবিতায় অনর্থক জটিলতা সৃষ্টি আমার কাছে ভনিতা বলে মনে হয়, মনে হয় কবির অক্ষমতা i আমার বিশ্বাস কবিতাকে বেঁচে থাকতে হলে তাকে বৃত্তের পথ ঘুরে আবার আপাত সরলতার কাছে ফিরে আসতে হবে , আবার তাকে কবিতাও হযে উঠতে হবে i আর্যনিলদার কযেকদিন আগে একটা লেখাতে পড়ছিলাম উনি বলছিলেন আবৃত্তির জন্য লেখা কবিতার চল আবার ফিরে আসছে i আর পরিশেষে বলি সমালোচকের মত মন্তব্য করার আগে আমি লক্ষ রাখব আমার মন্তব্য আমাকে বহন করছে কিনা , তোমার উপদেশ মনে রাখব i ভালো থেক i আমি বাকে তো আছি ই i চলে যাই নি i
শুধু কবিতার পাতা ছাড়া অন্য বিভাগগুলো পড়ে ফেললাম। ভাল হয়েছে অনুপম। নীলাব্জর গল্পনা দারুণ। ওর উপন্যাসের শুরুয়াতটা ইন্টারেস্টিং। দৃশ্যত বিভাগ ঠিক আছে। মৃগাঙ্কের সাক্ষাৎকার খুব ভাল হয়েছে। ইন্দ্রনীলের সার্চ করেছেন দেবাঞ্জন বোরিং হয়েছে এবার। আর সংঘমিত্রা-- অতিরেকহীন, নির্মেদ, খামোখা আবেগ বাদ দিয়ে সুন্দর কবিতা লিখেছে। রমিত তুষার রায়কে এনে ভাল করেছে। ৭০ দশকে তুষার আমার প্রিয় কবি ছিল। তুষারের স্বকন্ঠে কবিতা পাঠ যে না শুনেছে সে অনেককিছুই মিস করেছে কবিতার। কবিতার পাতা পরের বার। আর্যনীল অনিমিখের "নতুন চামড়া" কবিতাটির প্রশংসা করেছে, তাই ওই কবিতাটি পড়লাম। আর্যনীল কৃপণ। অনিমিখের কবিতাটি বাঁধিয়ে রাখার মতো, সিম্পলি অসাধারণ একটা কবিতা। বাঃ অনিমিখ।
অনুপম আমাকে না চিনলেও আমি তো চিনি অনুপমকে। কবিতার জন্যই চিনি। বন্ধু ভাবি। তাই 'তুমি' সম্বোধন করে লিখে ফেলেছি কবিতামতো একটি লেখা ফেসবুকে। কবিতা ভালবাসি অনুপমের। 'বাক' ভালবাসি অনুপমের। কাছের ভেবেই তাই...কী লিখেছি মনে নেই।
আজ কবিতাগুলো পড়লাম। বেশ ভাল সংকলন হয়েছে। রাজর্ষির 'ক্যালেন্ডার', হাসান এর 'রোদ' ভাল লাগলো। এই রোদে যে ভিজলো না তার তো খারাপ লাগবেই। পলাশ ভাল লিখেছে। প্রবীর আর প্রশান্ত আমার প্রিয় কবি। তারা আমাকে সন্তুষ্ট করেছে। অনিমিখের কথা আগেই বলেছি। ইন্দ্রনীলের কবিতাও ভাল লাগল। বাকি পরে পড়বো।
কবিতা নির্বাচনে 'বাক' বরাবরই নজর কেড়েছে। এবারতো গত দশ বিশ বছরে লিখতে আসা কবিরা আমাকে কবিতাময় করে দিল। আর মৃগাঙ্কের সাক্ষাতকার , মনে হল যেন আমার সাথে কথা হচ্ছে। মৃগাঙ্ককে আমার ভালবাসা।
একটা সময় ছিল যখন 'বাক'-এ কতগুলো কমেন্ট পড়ছে সেটা নিয়ে আমি সত্যিই ভাবতাম । তখন ফেসবুক ছিল না । এখন দেখি ফেসবুকে একেকটি খাজা কবিতায় ৭৩টি লাইক এবং ৩৪টি কমেন্ট পড়ে । তখন আর ইচ্ছে করে না 'বাক'-এ কমেন্ট নিয়ে ভাবতে । কতজন কমেন্ট করছেন , সেটা আর আমার কাছে ম্যাটার করে না । কে কমেন্ট করছেন , এবং কী বলছেন সেটাই দেখি এবং মনোযোগ দিই ।
উপরে তাকিয়ে দেখুন এবার কতজন নতুন ফলোয়ার হয়েছেন । কিন্তু কেউ মন্তব্য করেননি । রোজ 'বাক'-এর জন্য অন্তত ২ জন কবিতা মেল করেন । তাতে 'বাক' সম্পর্কে একটাও মতপ্রকাশ থাকে না । শুধু নিজের কবিতাটি পাঠিয়ে দেন ।
কবিতা নিয়ে ঠিকঠাক কথা বলতে পারেন , এমন কতজন আছেন বলুন তো আন্তর্জালে ? আমার মনে হয় না সংখ্যাটা ১০ পেরোবে । এবং তাঁরা সকলেই 'বাক' দেখেন , 'বাক'-এ কথা বলেন ।
সেটার জন্য আমার জিন-এফেক্টের দরকার হয় না । ওটা তাঁদের অন্তর্গত রক্তের ব্যাপার ।
অনেকের সঙ্গেই একমত, বাক-র এই সংখ্যা, প্রায় সম্পূর্ণ একটা সংখ্যা, যা কোন ইনহিবিশান ছাড়াই তৈরি হয়েছে। কবিতা যে আর শব্দে নেই, মধ্যবর্তী অঞ্চলে আছে -- আজ সেই তদন্তে সত্যি সত্যি ময়না এসে বসেছে। হাসান আর শুভ্রনীল (সাগর)-র লেখা আমার ভাল লাগছে। ঢাকাতে কবিতা নিয়ে কয়েকপ্রস্থ হয়েছিল। মেঘের লেখাও আমার খুব প্রিয়, ওঁর ছবিও। তবে ছবি বা কবিতা -- কেউ কাউকে ওভারল্যাপ করে না। এটা চমৎকার। প্রবীরদা আর সমীরদাকে দেখি কবিতার স্ফুরণ এঁদের কবিতায় কখনো ফুরোয় না, যা আমার কাছে শিক্ষণীয়। আর প্রশান্ত দা। এই লেখাগুলো, যদি ভুল না করি, যদি স্মৃতি সাথ দেয়, তাহলে নীলাদ্রির বাড়িতে দোলের দিন আবীর মেখে মদ্য পান করতে করতে শোনা। কারে কয় নতুন কবিতা! বললাম লেখাগুলো আমাকে দাও। বললেন, অনুপমকে আগেই দিয়েছি। বাজী হারলাম। রাজীব আর শৌভিক আমার সময়ের, দৌড়ে আর একটু এগিয়ে থাকলে ভাল হত। অরুণ আমাদের প্রথম দিকের মত এখনও ‘নর্ম’ নরম। কিরীটী স্পিক ইসি লেখার চেষ্টা করছে। এখনি কিছু মন্তব্য করা ঠিক হবে না। মেসবার আরও ভালো লেখা আমি পড়েছি। তবে, শিমনের লেখা খুব বিস্তৃত পড়া হয় নি, আমারই অপরাধ। পড়তে হবে। শুভ্রশংকর, সুমিত সমকালীন কবিতাই লিখছেন। ইন্দ্র আর পলাশের কথা আগেই বলেছি। দোলনের এই পর্বের গদ্য-কবিতা অনবদ্য। অমিতাভ-র ট্রান্সটা যেন খুব তাড়াতাড়ি না ফুরোয়। ফুরোলে ও কী লিখবে আমি জানি না। অনুপম অ্যান্টি না নেগেটিভ—কোন পোয়েট্রি লিখেছে, টার্মে না গিয়ে বলি, ওর সচল পরীক্ষা জারি রেখেছে। এই জারী রাখাটাই জরুরী। নতুন কোন সমর্পণে না গিয়ে। যে কেউ। একবিংশ শতাব্দীর প্রথম এক চতুর্থাংশের কবিতা এরকমই হওয়া উচিত। অনিমিখের এই নবপর্বের কবিতা ভাল লাগল না। আর্য অবশ্য বলেছে খুবই উঁচু জাতের। জাতটা না জানলে উঁচুটা বোঝা যায় না। বারীনদা নিশ্চই বুঝতে পেরেছে। অনিমিখ আর অরিত্র-র প্রথম বইদুটো নিয়ে আমার পোস্টপার্টাম সেই অংশত হয়ে পড়েই রইল। এই প্রসঙ্গে সঙ্ঘমিত্রা, ‘ওড়ানো রুকস্যাক’, ওর মত করেই ও ভাল। আর উমাপদ, বদলাচ্ছেন ভাই? আপনার কবিতা কিন্তু তাই বলছে। ভাল রমিত। শুধু ভাল নয়। দুর্দান্ত। রিভিসিটিং তুষার। বারীনদার ধারাবাহিক প্রথমেই বারীন্ময় হয়ে উঠল না। আর নীলাব্জ, ওহে নীলাব্জ, এটা কিন্তু টোয়েন্টি- টোয়েন্টি নয়। পাঁচ দিনের পুরো পাঁচটার সিরিজ। ধরে খেলতে হবে। নাহলে কলেজস্ট্রীটের হিমঘরে ডলারের মায়ার নিচে বসে ও বসিয়ে খিস্তি খেতে ও খাওয়াতে হবে (ক্ল্যাসিফায়েড)। আমি অবশ্য শিক্ষিত হয়েছিলাম।
রাজর্ষিদা , আমার কিন্তু দারুণ লেগেছে অনিমিখের কবিতা । ইন্দ্র আর অনিমিখ ... ২ জনেই কবিতা লেখা নিয়ে কবিতা লিখেছে এই পোস্টে । আমার পক্ষপাতিত্বখয়ত ইন্দ্রের দিকে । ও অ-কবিতা এবং স্বভাবকবিত্বের ঝামেলাটাকে সম্পুর্ণ মুছে কাজটা করেছে । পুরোপুরি নিজের একটা ভাষা ও পেয়ে গেছে দেখাই যাচ্ছে । অনিমিখের কবিতায় কিছু জায়গায় আর্যনীলদার একটা ছাপ যেন খুঁজে পেলাম । সেটা অবশ্য আমার এখনই বলা ঠিক হচ্ছে না । আরো একটু অপেক্ষা করতে হবে । অনিমিখ একটা পর্বের সূচনা করতে চাইছে । কৌতুহল এগিয়ে রাখলাম ।
prothomei boli besh valo laglo ebarer baak.kobita guli besh sundor pore aro bistarito janabo.kobita bishoyok godyo tir gothon shoili odvut sundor laglo.somoyer sathe hente kobita niye eto sundor godyo rochona ke sotti hats off.drishyoto bivag protibarer theke kom jori laglo.pore bistarito janabo
ReplyDeleterajarshidar ayna kabitar 13 no line er jeno Shabdata jeb haye geche
ReplyDeleteRajarshidar pratiti kabitai besh , ektu annyarakom likheche.......
ReplyDeleteAnupamer kbita Anupamiya Dhange lekha.......
ReplyDeleteIndranil khubi hridoysparshi lekha likheche......ami khubi anonda sagore dube achi.....indriyo sangbedanate
ReplyDeleteআহা রাজর্ষি তোমার কবিতা বড় ভালো লাগলো I কাঠখোট্টা অবয়ব সম্বল আধুনিক কবিতার মধ্যে তোমার কবিতা মনে বেশ ফুর্তি এনে দিল I আজকাল বেশিভাগ কবিতার কাছেই ফিরে আসা যায় না I কবিতাই ফিরিয়ে দেয় I
ReplyDeleteAshole Amitava ei samoyer etota strong kabi je kina nijashya avijatye likhe jai anuchharita sei kathamala , parimita bodher kache tar pasara , karjakaraner kache tar chute chala ........
ReplyDeleteসোজাসাপটা ভাবেই বলি। আমার কবিতার রসদ সংগ্রহ করতে আমাকে এখানে আসতেই হয়। কারন এক জায়গায় এতহুলো ভাল লেখা আর কোথাও পাই না, ভাল লেখা পড়লে আমার মনে ভাল লেখার অনুপ্রেরণা আসে, তাই আসি বারবার, অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও, আবার আসব, আবার পড়ব বাক নির্বাক হয়ে ...
ReplyDeleteanekagulo bhaalo kabitaa parhate debaar janya anek dhanyabaad o shubhechchaa roilo. In fact, samasta kabitaai besh bhaalo lekhaa. ekaTi parityaajya kabitaa nei. blogzine theke kabe dot com baa dot org habe ei apekkhaay thaakabo. ei sa`mkhyaar seraa lekhaa ekaTi kabitaa. "natun chaamarhaa" / animikh paatra. khub u`nchujaater kabitaa balate, aami anatata ei rakam lekhaa bujhi.
ReplyDeletearyanil mukhopadhyay
অনেক ধন্যবাদ আর্যনীলদা। প্রাণ পেলাম।
Deleteঅনেক ধন্যবাদ আর্যনীলদা । আপনি এর আগেও 'বাক'-কে ওয়েবজিনের দিকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন । আমাদের প্রতিবার লোভ হয়েছে সেই কথা শোনার । নিজেদের মধ্যে সাগ্রহে কথাও বলেছি । তারপর মনে হয়েছে , 'বাক'-এর পরিচিতি তো ব্লগজিন হিসেবেই । সেটা নষ্ট করে লাভ নেই । অনেকগুলো আন্তর্জাল পত্রিকার একটা হয়ে কী হবে ! বরং চলুক যেটা 'বাক' করেছে , সেটাই আরো কয়েকদিন করুক , একটা ব্লগ , একটা জমজমাট আড্ডা ।
Deleteবারীনদার নতুন বিভাগ আর নীলাব্জর উপন্যাস কেমন লাগছে ? শুরুটা কিন্তু দারুণ মোমেন্টাম নিয়ে নেমেছে ...
ইন্দ্রনীলের কবিতা খাসা লাগলো , ভিন্নমুখ পত্রিকায় ওর লেখা একটা কবিতা পড়ছিলাম, অনর্থক জটিলতা সৃষ্টি করে কবিতার মৃত্যু হযেছিল, এখানে ও আমাদের মত অদীক্ষিত পাঠকদের কথা ভেবে লিখেছে মনে হয় , আমার নিজের মনে হয় বিষয়ের ও আবেগের কেন্দ্রে পৌছালে আজ ও কবিতাকে সবার জন্য উন্মুক্ত করা
ReplyDeleteযায় I
তবে অনুপম হতাশ করলো , ও ওর কবিতার চেনা ছক ছেড়ে বেরোতে পারছে না , তাই অসম্ভব predictable হযে পড়ছে , বহুমাত্রিকতা আনতে চেয়ে ও কবিতা যেন একমাত্রিক প্রোটোটাইপ হযে যাচ্ছে , আবেগবর্জিত কবিতাগুলো কোলাজ ধর্মী চিত্র ছাড়া আর কিছুই মনে করাচ্ছে না , ও শক্তিশালী কবি , ওকে কবিতায় আরেকটু প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে I
কয়েকটি অনুগত প্রশ্ন ...
Delete১। আপনি কে ? মানে নাম যদি এটাই হয় , আপনি আমাদের সম্পর্কে এমন 'তুমি'-ভাবে কথা বলছেন কি করে ? আমি কি চিনি আপনাকে ?
২। প্রাণ কাকে বলে ?
৩। প্রেডিক্টেবল কাকে বলে ? মানে আপনি কি তৃতীয় লাইনেই বুঝতে পেরেছিলেন শেষ লাইনে নেকলেসটা কে চুরি করেছিল ?
৪। অনর্থক জটিলতা কাকে বলে ? মানে ... ভিন্নমুখের ওই কবিতাটা কোট করে দয়া করে যদি বুঝিয়ে দেন সেটা কী করে সরলীকৃত হতে পারতো , তাকে কিভাবে আইসক্রিম দোকানের দিকে ফুসলানি দেওয়া যেত ...
৫। অদীক্ষিত পাঠকের জন্য ইন্দ্র এই কবিতাটা লিখেছে , এবং আমি তা ছেপেছি এমন সুমহান উক্তি করার গভীরতা আপনি কোথায় পেলেন ? সেটা ঘটলে তো 'বাক' বন্ধ করে দেওয়াই ভাল ।
৬। আবেগবর্জন বলতে আপনি কী বোঝেন আমার কবিতাটার সাপেক্ষেই নাহয় বুঝিয়ে দিন ।
৭। কোলাজ কাকে বলে ? সেকি মন্তাজের সহিত অভিন্ন ?
৮। আপনাকে এসব আমি জিজ্ঞাসা করছি কেন ? ধুস ... কিছু মনে করবেন না ।
বাক ৬৯ খুলতেই এক গুচ্ছ হলুদ ছড়িয়ে পড়ল। তারপর কবিতা।পরপর পড়ে যেতে কোনো অসুবিধা তো হলই না, বরং রহস্য আর মজা এগিয়ে নিয়ে গেল। আমি প্লুত হতে থাকলাম। পরিচিতরাও কত অন্যরকম লিখেছে।কাউকে নতুন করে পাওয়া যেমন তেমনি কম পড়ে থাকারাও মনের আশ মিটিয়েছে দারুনভাবে। একটা ওয়েব পত্রিকার উদ্দেশ্য এত সুন্দর মিটিয়েছে এই কবিতাসকল যাতে আনন্দ পাওয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। সাবাস। এগিয়ে চলুক অর্জিত সব গরিমা নিয়ে... ভে্তর এখনও পড়া বাকি। পরে লিখব।
ReplyDeleteউমাপদ কর।
আরে অনুপম আমি হৃষিকেশ ,আমাকে তো চেন , তোমার ব্লগে আমি নাম হিসেবে ঢুকতে পারছি না , ইটা আমার কম্পিউটার শিক্ষার অভাব , নাম প্রকাশে কোনো অনিচ্ছা আমার নেই , আমি সুধু নিজের মত প্রকাশ করেছি মাত্র, আমি তো সেটা পারি নাকি ?
ReplyDeleteআমার কখনো মনে হয় অতিরিক্ত পিঠ চাপড়ানি তে কবিতার ক্ষতি হচ্ছে , শুধু ভালোটাই নয় অন্য দিকগুলো যা হয়ত আরেকটু ভালো হতে পারত তার দিকে আমাদের নজর দেওয়া উচিত , তুমি নিশ্চয় বিশ্বাস কর যে কবিতা একটা ভীষণ ব্যক্তিগত পছন্দের জায়গা , সেখানে মত পার্থক্য আসতেই পারে , পাঠকের মতামত কে গুরুত্ব দিতেই হবে সবসময় , যারা কোনো কবিতা facebooke লাইক করছে তারা কবিতার কাছে পৌছেছে কিনা সেটা তো প্রশ্ন কর না , কারো কোনো কিছু অপছন্দ হলে সেটাকে আক্রমন অবশ্যই করবে কিন্তু সেটা কবি হিসেবে তোমার অধিকার কিন্তু তা বলে এত অহমিকা মনে হয় ঠিক নয় , মনতাজ কি বা সেটা সাহিত্যে কিভাবে এসেছে সেটা আমিও কিছু জানি , তোমার কবিতা অনেকদিন ধরে পরে পাঠক হিসেবে আমার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া আমি প্রকাশ করেছি মাত্র, মনে রেখো সংঘ এক দশকেই ভেঙ্গে যায়, প্রায় প্রথম থেকে আমি বাকের পাঠক ও কোনো কালে লেখক , অনেকের আসাযাওয়া দেখলাম , যারা শুধু হাততালি দেয় তাদের নিয়ে চললে হবে না , যারা কখনো বলবে রাজা ন্যাংটো তাদেরকেও গুরুত্ব দিতে হবে , যা হোক ভালো থেক , এটা উষ্মা নয় , বন্ধু হিসেবে প্রতিক্রিয়া I
প্রিয় হৃষিকেশ ,
Deleteতুমি নিজের নাম উল্লেখ করলেই এতটা রূঢ় হতাম না । আসলে অজ্ঞাতনামা মন্তব্যকারীদের প্রতি আমি একটু ধৈর্যহীন হয়ে পড়ি । ছদ্মবেশ আমার কাছে বড্ড অস্বস্তিকর । মুখোশ সইতে পারি না । তোমাকেও তাই ভুল বুঝেছি ।
তুমি আমার বন্ধু আমি জানি । কয়েক দিন আগেই একটা চিঠি পেয়েছি । আমার সেটাও খুব ভাল লেগেছে । আজকের দিনে এমন আন্তরিকতা কম পাই । তোমার ফোন নাম্বার পেলে ফোন করব ।
যাই হোক , উপরের মন্তব্যের প্রসঙ্গে বলি ... মন্তব্যটিতে হয়ত তুমি ইন্দ্রর প্রশংসা করতে চেয়েছ । কিন্তু সেটা হয়নি । অদীক্ষিত পাঠকের জন্য ইন্দ্র এই কবিতাটা লিখেছে ... এটা বলা একজন কবির চরম অপমান বলেই মনে হয় । আর , আমার সম্পর্কে যেটা বলেছ সেটাও আমার মনে হয়নি ঠিক । এটা কবিতার সমালোচনার ধরণ হতেই পারে না । যে শ্রম দিয়ে একজন কবি কবিতা লেখে , সমালোচককেও নিজেকে সেই স্তরে নিয়ে গিয়ে মন্তব্য করার দায় থেকে যায় । এটা আমি বলছি , কারণ উপরের মন্তব্যে তুমি একজন আস্বাদক নয় , সমালোচকের ভঙ্গিতেই কথা বলেছ , টেকনিকালি কথা বলতে চেয়েছ , শুধু ভাল লেগেছে বা মন্দ লেগেছে বলে কাজ সারোনি , কিন্তু যে শব্দ ও টার্মগুলো ব্যবহার করেছ সেগুলো তোমাক বহণ করতে পারেনি ।
কেউ 'ভাল লেগেছে' বললে আমি কোনো সাড়া দিই না , কারণ ভাল লাগার কারণ না জানলেও আমার চলে যাবে । বরং তা ভুলতে চেষ্টা করি । 'খারাপ লেগেছে' বলে জানতে তো হবেই কেন খারাপ লাগল । সেটা জানা জরুরি একজন কবির । এটা অহমিকা নয় , আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা সইয়ে নেওয়ার ব্যাপার । নিজেকে যাচাই করার তেষ্টা ।
তুমি আবার 'বাক'-এ ফিরে এসেছ । খুব আনন্দ হচ্ছে । সেই দিনগুলো মনে পড়ছে ।
সঙ্গে থাকো । ফোন নাম্বার দিও ।
অনুপম আমি খুব আনন্দ পাচ্ছি!কি সব কবিতা!বাহ!!আর বারীনদার ওই অনুবাদ!অনুবাদও যে শিল্পকর্ম হয়ে উঠতে পারে এই লেখা তার প্রমাণ!কবিতার মধ্যে যে ভাবনাসহ আছে সেই পারে অনুবাদের মাধ্যমে কবিতাটির সবচেয়ে কাছে পৌঁছতে!বাংলা কবিতার বাক বদল ঘটে গেছে,বাক তার আকর হয়ে থাকছে,দারুণ!আর সঙ্ঘমিত্রার কবিতা পড়ে ভালোলাগাটাও জানিয়ে দিলাম!স্বপন রায়
ReplyDeleteএইমাত্র নীলাব্জ'র ধারাবাহিক পড়লাম....শুরুর শুভেচ্ছা ওকে...স্বপন রায়
ReplyDeleteতোমার মানবিক প্রতিক্রিয়া দেখে ভালো লাগলো I আমি আরো কঠিন প্রতিক্রিয়া আশা করেছিলাম I যাই হোক আমার তো মনে হয় আন্তর্জালে আমরা অনেকখানি উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে পেরেছি I
ReplyDeleteঅদীক্ষিত কথাটা আমি বারীনদার অতিচেতনার কথা বইটা থেকে নিয়েছি I যেখানে উনি প্রস্তুতি ও শিক্ষা ছাড়া কবিতার কাছে আসা পাঠককে অদীক্ষিত বলেছেন I আমার মনে হয় যে কবিতার সাধারণ প্রবেশ্যতা আমার কাছে বন্ধ বলে মনে হয় , মনে হয় আমি যেন কবির সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না , সেই ক্ষেত্রে আমি নিজেকে অদীক্ষিত ভাবি I অদীক্ষিতের জগতই যেখানে বিস্তৃত সেখানে কবির সাথে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর যোগাযোগ বন্ধ হযে যাচ্ছে i আমার সবসময় মনে হয় কবির সাথে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর যোগাযোগ যেভাবে কমে আসছে তাতে কবিতা না খুব শিগগিরই লুপ্ত শিল্পে পরিনত হয় i আমি সাহিত্যের কোনো ধারাকেই জীবন জনসমাজ থেকে বিছিন্ন ভাবতে পারি না i
কবিতায় অনর্থক জটিলতা সৃষ্টি আমার কাছে ভনিতা বলে মনে হয়, মনে হয় কবির অক্ষমতা i আমার বিশ্বাস কবিতাকে বেঁচে থাকতে হলে তাকে বৃত্তের পথ ঘুরে আবার আপাত সরলতার কাছে ফিরে আসতে হবে , আবার তাকে কবিতাও হযে উঠতে হবে i আর্যনিলদার কযেকদিন আগে একটা লেখাতে পড়ছিলাম উনি বলছিলেন আবৃত্তির জন্য লেখা কবিতার চল আবার ফিরে আসছে i
আর পরিশেষে বলি সমালোচকের মত মন্তব্য করার আগে আমি লক্ষ রাখব আমার মন্তব্য আমাকে বহন করছে কিনা , তোমার উপদেশ মনে রাখব i ভালো থেক i আমি বাকে তো আছি ই i চলে যাই নি i
ভালো লাগল কবিতাগুলো। খাপছাড়া একটা লেখা মানে ইয়ে ওটা আমারই, ওটা ছাড়া বাকি সবগুলোই ভালো।
ReplyDeleteশুধু কবিতার পাতা ছাড়া অন্য বিভাগগুলো পড়ে ফেললাম। ভাল হয়েছে অনুপম। নীলাব্জর গল্পনা দারুণ। ওর উপন্যাসের শুরুয়াতটা ইন্টারেস্টিং। দৃশ্যত বিভাগ ঠিক আছে। মৃগাঙ্কের সাক্ষাৎকার খুব ভাল হয়েছে। ইন্দ্রনীলের সার্চ করেছেন দেবাঞ্জন বোরিং হয়েছে এবার। আর সংঘমিত্রা-- অতিরেকহীন, নির্মেদ, খামোখা আবেগ বাদ দিয়ে সুন্দর কবিতা লিখেছে। রমিত তুষার রায়কে এনে ভাল করেছে। ৭০ দশকে তুষার আমার প্রিয় কবি ছিল। তুষারের স্বকন্ঠে কবিতা পাঠ যে না শুনেছে সে অনেককিছুই মিস করেছে কবিতার। কবিতার পাতা পরের বার। আর্যনীল অনিমিখের "নতুন চামড়া" কবিতাটির প্রশংসা করেছে, তাই ওই কবিতাটি পড়লাম। আর্যনীল কৃপণ। অনিমিখের কবিতাটি বাঁধিয়ে রাখার মতো, সিম্পলি অসাধারণ একটা কবিতা। বাঃ অনিমিখ।
ReplyDeleteধন্যবাদ বারীনদা। খোঁজ আর অসন্তুষ্টি জারি আছে , থাকবে ।
Deleteঅনুপম আমাকে না চিনলেও আমি তো চিনি অনুপমকে। কবিতার জন্যই চিনি। বন্ধু ভাবি। তাই 'তুমি' সম্বোধন করে লিখে ফেলেছি কবিতামতো একটি লেখা ফেসবুকে। কবিতা ভালবাসি অনুপমের। 'বাক' ভালবাসি অনুপমের। কাছের ভেবেই তাই...কী লিখেছি মনে নেই।
ReplyDeleteরাজর্ষি, ইন্দ্রনীল, অনিমিখ, সংঘমিত্রা, অনুপম পড়া হয়েছে। মন ভরেছে। রমিতের বিভাগটি প্রিয়। পড়ে আনন্দ পাই। বাকিদের লেখা পড়া হবে।--আলতাফ হোসেন
পরিচয়ের জায়গায় নাম কীভাবে দেওয়া হয়? অ্যানোনিমাস দিতে হচ্ছে, তাই এখানে নাম দিলাম।
Khub valo hoeche Baak 69...kabitagulo darun....Nilabjor lekhati valo legeche...ar kabita bhashan...apekhhae roilum Barinda..
ReplyDeleteআজ কবিতাগুলো পড়লাম। বেশ ভাল সংকলন হয়েছে। রাজর্ষির 'ক্যালেন্ডার', হাসান এর 'রোদ' ভাল লাগলো। এই রোদে যে ভিজলো না তার তো খারাপ লাগবেই। পলাশ ভাল লিখেছে। প্রবীর আর প্রশান্ত আমার প্রিয় কবি। তারা আমাকে সন্তুষ্ট করেছে। অনিমিখের কথা আগেই বলেছি। ইন্দ্রনীলের কবিতাও ভাল লাগল। বাকি পরে পড়বো।
ReplyDeleteকবিতা নির্বাচনে 'বাক' বরাবরই নজর কেড়েছে। এবারতো গত দশ বিশ বছরে লিখতে আসা কবিরা আমাকে কবিতাময় করে দিল। আর মৃগাঙ্কের সাক্ষাতকার , মনে হল যেন আমার সাথে কথা হচ্ছে। মৃগাঙ্ককে আমার ভালবাসা।
ReplyDeleteঅনুপম, তোর জিন এফেক্ট আর কাজ করছে না। ১ সপ্তাহ ধরে সেই ২৫ পেরচ্ছে না। এটা কি একটা টেম্পোরারি ক্রাইসিস ?
ReplyDeleteবারীনদা ,
Deleteএকটা সময় ছিল যখন 'বাক'-এ কতগুলো কমেন্ট পড়ছে সেটা নিয়ে আমি সত্যিই ভাবতাম । তখন ফেসবুক ছিল না । এখন দেখি ফেসবুকে একেকটি খাজা কবিতায় ৭৩টি লাইক এবং ৩৪টি কমেন্ট পড়ে । তখন আর ইচ্ছে করে না 'বাক'-এ কমেন্ট নিয়ে ভাবতে । কতজন কমেন্ট করছেন , সেটা আর আমার কাছে ম্যাটার করে না । কে কমেন্ট করছেন , এবং কী বলছেন সেটাই দেখি এবং মনোযোগ দিই ।
উপরে তাকিয়ে দেখুন এবার কতজন নতুন ফলোয়ার হয়েছেন । কিন্তু কেউ মন্তব্য করেননি । রোজ 'বাক'-এর জন্য অন্তত ২ জন কবিতা মেল করেন । তাতে 'বাক' সম্পর্কে একটাও মতপ্রকাশ থাকে না । শুধু নিজের কবিতাটি পাঠিয়ে দেন ।
কবিতা নিয়ে ঠিকঠাক কথা বলতে পারেন , এমন কতজন আছেন বলুন তো আন্তর্জালে ? আমার মনে হয় না সংখ্যাটা ১০ পেরোবে । এবং তাঁরা সকলেই 'বাক' দেখেন , 'বাক'-এ কথা বলেন ।
সেটার জন্য আমার জিন-এফেক্টের দরকার হয় না । ওটা তাঁদের অন্তর্গত রক্তের ব্যাপার ।
জিন এফেক্ট ওয়েবজিন বা ব্লগজিন থেকে নেয়া। জিন এফেক্ট স্লোলি ডিসঅ্যাপিয়ার করছে। বলেছি।
Deleteঅনেকের সঙ্গেই একমত, বাক-র এই সংখ্যা, প্রায় সম্পূর্ণ একটা সংখ্যা, যা কোন ইনহিবিশান ছাড়াই তৈরি হয়েছে। কবিতা যে আর শব্দে নেই, মধ্যবর্তী অঞ্চলে আছে -- আজ সেই তদন্তে সত্যি সত্যি ময়না এসে বসেছে।
ReplyDeleteহাসান আর শুভ্রনীল (সাগর)-র লেখা আমার ভাল লাগছে। ঢাকাতে কবিতা নিয়ে কয়েকপ্রস্থ হয়েছিল।
মেঘের লেখাও আমার খুব প্রিয়, ওঁর ছবিও। তবে ছবি বা কবিতা -- কেউ কাউকে ওভারল্যাপ করে না। এটা চমৎকার।
প্রবীরদা আর সমীরদাকে দেখি কবিতার স্ফুরণ এঁদের কবিতায় কখনো ফুরোয় না, যা আমার কাছে শিক্ষণীয়। আর প্রশান্ত দা। এই লেখাগুলো, যদি ভুল না করি, যদি স্মৃতি সাথ দেয়, তাহলে নীলাদ্রির বাড়িতে দোলের দিন আবীর মেখে মদ্য পান করতে করতে শোনা। কারে কয় নতুন কবিতা! বললাম লেখাগুলো আমাকে দাও। বললেন, অনুপমকে আগেই দিয়েছি। বাজী হারলাম।
রাজীব আর শৌভিক আমার সময়ের, দৌড়ে আর একটু এগিয়ে থাকলে ভাল হত। অরুণ আমাদের প্রথম দিকের মত এখনও ‘নর্ম’ নরম। কিরীটী স্পিক ইসি লেখার চেষ্টা করছে। এখনি কিছু মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
মেসবার আরও ভালো লেখা আমি পড়েছি। তবে, শিমনের লেখা খুব বিস্তৃত পড়া হয় নি, আমারই অপরাধ। পড়তে হবে। শুভ্রশংকর, সুমিত সমকালীন কবিতাই লিখছেন।
ইন্দ্র আর পলাশের কথা আগেই বলেছি। দোলনের এই পর্বের গদ্য-কবিতা অনবদ্য। অমিতাভ-র ট্রান্সটা যেন খুব তাড়াতাড়ি না ফুরোয়। ফুরোলে ও কী লিখবে আমি জানি না। অনুপম অ্যান্টি না নেগেটিভ—কোন পোয়েট্রি লিখেছে, টার্মে না গিয়ে বলি, ওর সচল পরীক্ষা জারি রেখেছে। এই জারী রাখাটাই জরুরী। নতুন কোন সমর্পণে না গিয়ে। যে কেউ।
একবিংশ শতাব্দীর প্রথম এক চতুর্থাংশের কবিতা এরকমই হওয়া উচিত।
অনিমিখের এই নবপর্বের কবিতা ভাল লাগল না। আর্য অবশ্য বলেছে খুবই উঁচু জাতের। জাতটা না জানলে উঁচুটা বোঝা যায় না। বারীনদা নিশ্চই বুঝতে পেরেছে। অনিমিখ আর অরিত্র-র প্রথম বইদুটো নিয়ে আমার পোস্টপার্টাম সেই অংশত হয়ে পড়েই রইল। এই প্রসঙ্গে সঙ্ঘমিত্রা, ‘ওড়ানো রুকস্যাক’, ওর মত করেই ও ভাল।
আর উমাপদ, বদলাচ্ছেন ভাই? আপনার কবিতা কিন্তু তাই বলছে।
ভাল রমিত। শুধু ভাল নয়। দুর্দান্ত। রিভিসিটিং তুষার। বারীনদার ধারাবাহিক প্রথমেই বারীন্ময় হয়ে উঠল না।
আর নীলাব্জ, ওহে নীলাব্জ, এটা কিন্তু টোয়েন্টি- টোয়েন্টি নয়। পাঁচ দিনের পুরো পাঁচটার সিরিজ। ধরে খেলতে হবে।
নাহলে কলেজস্ট্রীটের হিমঘরে ডলারের মায়ার নিচে বসে ও বসিয়ে খিস্তি খেতে ও খাওয়াতে হবে (ক্ল্যাসিফায়েড)।
আমি অবশ্য শিক্ষিত হয়েছিলাম।
যাক অনুপম, পঁচিশ পার করে দিলাম...
রাজর্ষি চট্টোপাধ্যায়
রাজর্ষিদা , আমার কিন্তু দারুণ লেগেছে অনিমিখের কবিতা । ইন্দ্র আর অনিমিখ ... ২ জনেই কবিতা লেখা নিয়ে কবিতা লিখেছে এই পোস্টে । আমার পক্ষপাতিত্বখয়ত ইন্দ্রের দিকে । ও অ-কবিতা এবং স্বভাবকবিত্বের ঝামেলাটাকে সম্পুর্ণ মুছে কাজটা করেছে । পুরোপুরি নিজের একটা ভাষা ও পেয়ে গেছে দেখাই যাচ্ছে । অনিমিখের কবিতায় কিছু জায়গায় আর্যনীলদার একটা ছাপ যেন খুঁজে পেলাম । সেটা অবশ্য আমার এখনই বলা ঠিক হচ্ছে না । আরো একটু অপেক্ষা করতে হবে । অনিমিখ একটা পর্বের সূচনা করতে চাইছে । কৌতুহল এগিয়ে রাখলাম ।
ReplyDelete