বাক্ বাংলা কবিতার প্রথম ব্লগজিন । বাক্ বাংলা কবিতার মুক্ত অবস্থান । ব্যক্তিগত পছন্দের সীমানা এবং বাজারের বাইরে আকাঙ্ক্ষা ও প্রভার সন্ধান
তার ঘোষিত ব্রত । পাঠ্য ও অপাঠ্যর মধ্যবর্তীটি ছাড়া কোনো ভেদরেখাই
মান্য নয় । কথা বলুন 8436419575 , লেখা পাঠান : anupam_gtl@yahoo.co.in এবং konnagar : ghatal : paschim medinipur 721212, west bengal, India । লেখা পাঠান 'অভ্র'-তে টাইপ করে ওয়ার্ড ফাইলে । পি ডি এফ ফাইল আমন্ত্রিত লেখা ছাড়া গ্রাহ্য হবে না । অনুগ্রহ করে ফেসবুক বা আন্তর্জালে প্রকাশিত লেখা পাঠাবেন না ।
বাকে শুরু করা হল ‘এই মাসের কবি’ বিভাগ । অনেক ওয়েব্জিন এটা সাফল্যের সঙ্গে করছেন । দেখাদেখি আমরাও করতে চাই । সম্পাদনা করবেন নীলাব্জ চক্রবর্তী । এই প্রথম পোস্টটিতে রাখা হল আর্যনীল মুখোপাধ্যায়কে ... তাঁর ‘স্মৃতিলেখা’-র একটি অংশ ।
এছাড়া এবার থাকছে উপরের কবিতাগুলি । কিছু নতুন মুখ এবারও দেখা দিয়েছেন । মেসবা আলম অর্ঘ্য এই প্রথম বাকে লিখলেন ।
মলয় রায়চৌধুরী অনুবাদ করলেন হীরা বানসোডে ( মারাঠি ভাষার দলিত মহিলা কবি - জন্ম ১৯৩৯ )। রমিত দে এবার তুলে এনেছেন প্রয়াত কবি মঞ্জুষ দাশগুপ্ত-র একগুচ্ছ কবিতা । প্রশান্ত গুহ মজুমদার লিখেছেন একটি অসাধারণ কবিতা বিষয়ক গদ্য । অর্ক চট্টোপাধ্যায় গল্পনা বিভাগে অনুবাদ করেছে হ্যারল্ড পিন্টারের একটি অপঠিত গল্প ।পাঠম্যানিয়ার পেরিস্কোপে এবার সব্যসাচী হাজরা আলোচনা করেছেন নীলাব্জ চক্রবর্তীর কাব্যগ্রন্থ ‘পীত কোলাজের নীলাব্জ’ নিয়ে । কালিমাটির প্রাণপুরুষ কাজল সেনের সাক্ষাতকার থাকল । দৃশ্যত বিভাগের সম্পাদক অমিত বিশ্বাস বেছে নিয়েছেন কয়েকজন শিল্পীর দুরন্ত প্রয়াস । এই ছবিগুলো অনেক কবিতার জন্ম দেবে আশা রাখি ।
প্রতিটি বিভাগ এবার দুরন্ত হয়েছে ... সম্পাদক হিসেবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বলতে পারি ।
প্রধান পাতার কবিতাগুলি কম্পোজ করার বেশ কিছুটা ভার নিয়েছিলেন সব্যসাচী হাজরা । এবং বেশ কিছু যান্ত্রিক সমস্যা সামলে দিয়েছেন ইন্দ্রনীল ঘোষ । এঁরা না থাকলে এবারের বাক নিয়ে মুশকিলে পড়তে হত , মানে বাকের যতটুকু আমার নিজের হাতে আছে সেটা করে উঠতে ।
অতনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের প্রচ্ছদশিল্পী । বাকের প্রচ্ছদগুলো যাতে হারিয়ে না যায় , তা নিয়ে ভাবার সময় এসে পড়ছে ধীরে ধীরে ।
আবার বলছি ... বাকের ঘোষিত কবিতা-সংকলনের কাজ এগিয়ে চলেছে । সানন্দে ভার নিয়েছেন নীলাব্জ চক্রবর্তী এবং সব্যসাচী হাজরা । ৬০তম পোস্ট অবধি প্রকাশিত কবিতাগুলির মধ্যে ওঁরা বেছে নেবেন । আমার কাজ হিসেবে আমি শুধু ভূমিকা লেখাটুকুই রেখেছি । এমনকি আমারও একটা কবিতা ওঁরা বেছে নেবেন কিনা ... সময় বলবে । বলতে চাইছি : এই সংকলনের কবিতা নির্বাচনে আমার কোনো হাত নেই । কেউ যোগাযোগ করতে চাইলে নীলাব্জ ও সব্যসাচীর সংগে করবেন ।
স্বপনদা , গত কয়েক বছরে আমি নিজে একাধিক গদ্যে বিভিন্ন প্রসঙ্গে নিজের মতো এলোমেলো করেই বারবার বলতে চেয়েছি এই সময়ের কবিতায় সিনেমা এবং যে কোনো দৃশ্যশিল্পের সঙ্গে কবিতার অবশ্যম্ভাবী আত্মীয়তার এবং অবিচ্ছেদ্যতার কথা । তাই ... যখন দেখছি আমাদের প্রিয় কবি স্বপন রায় আজ সরাসরি ‘সিনেমা সিনেমা’ সিরিজ লিখছেন , আনন্দ হচ্ছে , এবং মনে হচ্ছে আমরা এই প্রবণতাকে সঠিকভাবেই চিহ্নিত করতে চলেছি । আপনাদের ‘নতুন কবিতা’ পত্রিকা সিনেমা-কবিতা নিয়ে আশু সংখ্যা করছে ... আমি তো ৩ মাস আগেই আপনাকে লেখা পাঠিয়ে বসে আছি ... কিন্তু বাকের পাতায় এবার কিছু কথা হোক ... বাক কেন ওই রসে বঞ্চিত থাকে !
সিনেমার সঙ্গে আপনার একটা পুরনো সম্পর্ক আছে আমরা জানিই অনেকে । কিন্তু এই বিশেষ সংখ্যার উদ্যোগ আপনার মাথায় কী করে এল ? কেন হঠাৎ শুরু করলেন ‘সিনেমা সিনেমা’ সিরিজ লেখা ? আগ্রহ গোপন করছি না ... কথা শুরু করুন ।
অনুপম , কবিতা সিনেমা নয়,সিনেমা কবিতা নয়।কিন্তু সচেতন অনেক কবির কবিতায় সিনেমার চোরাস্রোত দেখতে পাই।কবি বারীন ঘোষালের 'গিনিপিগ একটি তথ্যচিত্র' বাংলা কবিতায় প্রথম সিনেমাকে ব্যবহার করলো কাব্যিক উপাদান হিসেবে।আরো কিছু কবির কবিতায় সিনেমার প্রভাব আছে,যেমন ধীমান চক্রবর্তী বা তোমার কবিতা কিন্তু গিনিপিগ একটি তথ্যচিত্র পড়লে বোঝা যায় প্রভাব নয় এ একটি নতুন আঙ্গিকের কবিতা যা আগে বাংলা কবিতায় ছিলোনা।আমি নিজের কবিতা নিয়ে কখনো নিজের লেখায় বলিনা বা আমার কবিতায় সিনেমার প্রভাব এ সব নিয়ে কোন project বানানো আমার উদ্দিষ্ট নয়!আমার মনে হচ্ছিলো কবিতা ধারার একটি নতুন form এ ভাবে পাওয়া যেতে পারে।নতুন কবিতা এর ফলে আর একটি অভিযানে বেরিয়ে পড়তে পারবে এমনই ভেবেছিলাম আমি!তাই কবিদের বলেছিলাম আমি জানিনা কি ভাবে সিনেমা এবং কবিতাকে তাঁরা মেলাবেন,আমি তাঁদের বলেছিলাম বন্ধু রুকস্যাক তুলে নাও,পা রাখো জুতোর বাইরে!আর আনন্দের সঙ্গে জানাই যে কবিদের এই স্বাধীনতা থাকায় তাঁরা কত অনাস্বাদিত লেখাই না দিচ্ছেন!কত বিচিত্র সে সব লেখা এবং অবশ্যই নীরস একাডেমিক্সের বাইরে গিয়ে কবিরা লিখেছেন,এই আনন্দ সবাই উপভোগ করবেন বলেই আমার মনে হচ্ছে! স্বপন রায়।
স্বপনদা, এই প্র্যাকটিসটা খুব জরুরী ছিল আমাদের কাছে। নতুন কবিতা লিখিয়ে নেয়াতে খুব সুবিধা হল। জুতোর বাইরে পা রাখায় একটা তাতাথৈ থাকে যেটা কবিতা ও কবিকে বাঁচিয়ে রাখবে।
Anupam, amar mone hoy kobitar kobita hoye otha-tai sesh kotha. Se kobitay kono chora srot thakle kobitar sree-briddhi hoy. Natun Kobita r agami sonkhyar jonyo Swapan jokhon likhte bolechilo ebong or oi cinematography r kotha-ta amar mathay dhokeni. Tai barbar proshno kore ja bujhlam ta holo chora shrot noy, kobitar ekta notun aangik er khoj, bichitrotar khoj chaiche Swapan jekhane kobita-tai sesh kotha, aar srot-tuku Kobir swadhinota. BarinDa r Guinea Pig ami porechi. Amar mone hoy asombhob dokkhota na thakle oi lekha sombhob noy. Thought process ke oi jaygay niye jaoar khomota sokoler thake na. Tobe eta mantei hobe je Swapan-er ei bhabna ta oneker lekhay onek boichitro eneche. Kichudin aage Jamshedpur a BarinDa r barite bose Swapan er lekha ta shunlam. Ek kothay - ami mugdho. Asha korbo sonkhya-ti bhalo hobe.
সিনেমা এবং কবিতার সম্পর্ক নিয়ে আমি তো প্রবল উৎসাহ দেখিয়ে আসছি সেই ২০০৬ থেকে যখন ‘যার নাম অপরাজিতা , সেও কিন্তু নামকরণে হেরে যায়’ (২০০৭ , কলকাতা বইমেলা , কবিতা ক্যাম্পাস প্রকাশনা এবং ক্রোড়পত্র ) লিখতে শুরু করেছিলাম । ওই বইয়ে আমি সরাসরি সিনেমা দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছিলাম নিজেকে । লিডর চিহ্নের ওই বহুল ব্যবহার ঐ জন্যেই করেছিলাম । গোদারের জাম্পকাট ... আমাকে ওই চিহ্ন দিয়েছিল । বিভিন্ন সিনেমার allusion-ও রেখেছিলাম সরাসরি ... যেমন সোনার কেল্লা । সমীর রায়চৌধুরী বইটির দীর্ঘ আলোচনা করেছিলেন ‘কবিসম্মেলন’ পত্রিকায় । তাতে তিনি ওই গুণ বিশেষভাবে উল্লেখ করেছিলেন । বইটির প্রচ্ছদশিল্পী হিসেবে বুদ্ধ্বদেব দাশগুপ্তর উপস্থিতি সমীরদার কাছে বেশ বাঙময় মনে হয়েছিল । আর্যনীল মুখোপাধ্যায়-ও ওই বইয়ে চলচ্চিত্রের reference-গুলোকে সনাক্ত করেছিলেন । সম্প্রতি ‘কবিসম্মেলন’-এ ওঁর চমৎকার একটি গদ্য পড়লাম ‘সিনেকবিতা বনাম কবিতাচিত্র ১’ নামে ।
আমি আরো কয়েকজনকে এই আলোচনায় আমন্ত্রণ জানাতে চাইছি ... বারীন ঘোষাল , রাজর্ষি চট্টোপাধ্যায় , ইন্দ্রনীল ঘোষ , নীলাব্জ চক্রবর্তী , নবেন্দু বিকাশ রায় , অর্ক চট্টোপাধ্যায় , সব্যসাচী হাজরা , এবং ... আর্যনীল মুখোপাধ্যায় ।
এবং অবশ্যই অন্য কেউ যদি কথা বলতে চান ... প্লিজ আসুন ...
কবিতা ও চলচ্চিত্রঃ এই নিয়ে খুব বিশেষ জানা আমার নেই , চলচ্চিত্র বলতে আমি বুঝি কতগুলো স্থির চিত্রকে পরপর সাজানো। সময়ের ট্র্যাকে তাদের ফেলে দেওয়া ও রেলগাড়ির কামরার মতো হাতে হাত ধরে চলা। গতিশীল চিত্রমালা , নাম চলচ্চিত্র। এখন পাঠক মনে কবিতার উপকরণ থেকে ফ্রেম তৈরী করার অবস্থা কি রকম? এর বহু রূপভেদ ধরা পড়ে। বাহ্যিক দৃষ্টি্র স্থায়িত্বের সাথে কবিতা পাঠকের অনুভবের চোখ কি সামঞ্জস্য রাখে? মনে সদ্য তৈরী হওয়া দৃশ্যগুলো পরপর একই ভাবে এক পরিমান রেশ রেখে যায়?(ছবিকে আলাদা ভাবে অনুভব করতে মিনিমাম সময় গ্যাপ)নাকি পাঠকের ক্ষমতায় সেই বিরতি একতি দৃশ্যে থমকে থাকতে পারে অনেকক্ষণ পরের উৎসকে সরিয়ে রেখে?
e prosonge duto cinema mone porche. tatkhanikvabe. 1. knife in the water; 2. electra. tomader alochona porte porte abeg-e likhe fellam, ar bodh hoy interrupt korlam. sorry!-prashanta guhamajumder
knife in the water ... Roman Polanski ... An attractive young woman, Christine, takes the wheel of a car belonging to her partner Andrzej, a sports columnist. While he criticizes her driving skills, a reckless student leaps out in front of the car. Andrzej gives the student a ride and invites him to accompany them on their yacht trip. Attracted to Christine, the student becomes increasingly clumsy. He spends his time jabbing the point of a pocket knife rapidly between the fingers of his other hand. Andrzek argues with the student, who topples overboard, vanishing into the lake. Andrzej dives in to save him, though he fails to find the student and swims ashore. Despite an earlier claim that he couldn't swim, the student manages to hide behind the nearest buoy...
সিনেমার সাথে কবিতার যোগসূত্র কোনো স্থূল কোণ থেকে ধরতে চাইলে ব্যাপারটা একটা ভ্রান্ত দিকে চলে যাবার ঝোঁক থেকে যাবে। সিনেমা-শিল্পের উপকরণ, শৈলী ও তার নিজস্ব ভাষা-ভঙ্গী আছে। সেই সবের খুব মেধাবী adoption কবিতার শরীরে করার বিষয়ে চিন্তাভাবনার ক্ষেত্র সদাই প্রস্তুত। আবার উঁচু মানের প্রায় সব শিল্পেরই কিছু কমন ল্যাঙ্গুয়েজ আছে। মাধ্যম নিবির্শেষে। যা সাহিত্য (কবিতা,উপন্যাস,গল্প যাই হোক), সিনেমা, নাচ, গান ইত্যাদিকে শেষ অবধি ‘শিল্পে’ পরিণত করে। যে কোনো মাধ্যমের ‘উপযুক্ত’ টেকনিক যে কোনো মাধ্যম সঠিক ভাবে গ্রহণ করতে পারলেই তা পাতে দেওয়ার মতো হতে পারে। অভিনব, অসচরাচর হতে পারে। ব্যক্তি শিল্পীর ক্ষমতা অনেক কিছু বদলে দিতে পারে। দল বেঁধে যা হয় তার একটা সীমা আছে। ‘দলের’ গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু ব্যক্তিশিল্পী কে একক ভাবে, তার পরও বহুদূর এগিয়ে যেতে হয়। তা হলেই সব ‘পরীক্ষার’ ‘ফল’গুলো সামনে আসে। সেই ফল মিষ্টিও হতে পারে, তেতোও হতে পারে।
সঞ্জীব নিয়োগীর কথাটা দারুণ। এই adoption খুব জরুরী একটা বিষয় হয়ে পড়ছে দিন কে দিন। সারা বিশ্বেই কবিতার সাথে গান, ছবি, মুভী ও অন্যান্য আঙ্গিকের ফিউশন করা হচ্ছে এইসময়। কবিতাকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে এটা করতেই হবে। cinemaর একটা সুবিধা আছে, সে প্রথমেই চোখ আর কানের কাছে আবেদন করে। তাই তার penetration ও acceptability অনেক বেশী। কবিতার পুরোটাই মেধার বাতানুকুল ঘুঙুর। সুতরাং কবিতায় cinematic element আনাটা আসলে কল্পদৃশ্য বা কল্পশ্রুতিকেই refer করবে। এর উল্টোদিকে একটা কাজ করা যেতে পারে। cinematic elementগুলোকে কবিতার ভাষায় অনুবাদ বা Trans-creation. ধরুন, জাম্পকাটকে আমরা ব্যবহার করতে পারি শব্দের পারমুটেশন দিয়ে। বা movement কে লেখার জ্যামিতি দিয়ে দেখা যেতেই পারে। এবার এগুলোর তো কোন ফরমুলা নেই। তাই এভাবে বলাটা হয়তো ঠিক হচ্ছে না। যেটা মূলত বলতে চাইছি তা হল, কবিতার খোপে সিনেমা আর সিনেমার খোপে কবিতা বসালে কি রকম দেখতে হবে? তাদের মাধ্যমের বৈশিষ্ট্যের জন্য অনেক element পরিবর্তিত হবে, হতেই হবে। আমরা একটা নতুন ধরণের লেখা পাবো। তবে নির্বাচন এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে। মানে কোনটাকে কতটুকু কিভাবে কেন দেখবো আমরা। এই বিচারের দায় কবির।
অনুপম গিনিপিগ একটি তথ্যচিত্র নিয়ে আমি রিমি দের কাগজ পদ্যতে আলোচনা করেছি।যাঁরা বইটা পড়তে চান তাঁরা কৌরব দপ্তরে খোঁজ করুন,পায়ে যাবেন।বইটির ইংরেজি অনুবাদও আছে।আমার নিজের কাছে বইটির গুরুত্ত্ব এ কারণেও যে কবি স্বদেশ সেন অতিক্রম করার কথা(তাঁর প্রভাব থেকে বেরোন অর্থে)আমরা ভেবেছিলাম সে সময়ে যে যার মতো।গিনিপিগ সেটি করেছিলো।সবাই বইটি পড়ুন।এ রকম নিরীক্ষা বাংলা কবিতায় আগে হয়নি।পরেও হয়নি। স্বপন রায়।
Ei alochona choluk ,prochur bolar ache. tobe sobar age jodi ei post niye kichu bola jay. Anek sundor upokorone sajano ak osadharon jogot. Baak sotti proti muhurte bodle nichhe tar chehara. Aschi anek kothay.
অসম্ভব সুন্দর প্রয়াস । বড়ো ভালো লাগল সমীর রায়চৌধুরী , অমিতাভ মৈত্র , অলোক বিশ্বাস , স্বপন রায় , মেসবা আলম অর্ঘ্য , এবং পত্রিকার সম্পাদকটির কবিতা । মনে পড়ে গেল কলেজ জীবনের স্মৃতি । বন্ধুরা কত হইচই করতাম গোদার , ত্রুফো , পাসোলিনিদের নিয়ে । সেইসব দিন আজ বড়ো দূরে চলে গেছে । এই সুদূর কানাডায় বসে মনে হচ্ছে আপনাদের পত্রিকাটি আমার যৌবন ফিরিয়ে দিল । ধন্যবাদ ।
ABARO ASADHARAN EKTI SANKHYA.....BAAKRUDDHHO KORE DEBAR MATOI BAAK EBARO.....PRATITI KABITAI VALO LEGECHHE.....SAMPURNA SANKHYA TI VALO KORE PORAR JONYO ARO SAMAY NICHHI....ANUPAM O BAAK ER SATHE JUKTO SAKALKE AVIBADAN...KURNISH....
সমীর রায়চৌধুরী একেবারে অন্যরকম লেখা দিয়েছেন এই পোস্টে । এই লোকটি আমাকে অবাক করে দেন । এতগুলো দশক পেরিয়েও উনি নিজেকে কোনো নির্ধারিত অবস্থানে দেখতে চান না । এই লেখা যথারীতি ভাষাকে explore করা হয়েছে । সেই সঙ্গে আশ্চর্য একটা বিদ্রূপ ছুঁইয়ে আছে । এবং ... মানবিকতার বিষন্নতম তলটিও উদ্ভাসিত হল । আমার দারুন লেগেছে ।
ভাষা থেকে পরিভাষা-দৃশ্যের যেহুতু একটা এক্সপ্রেসিভ উপাদান রয়েছে যেখানে দর্শনেন্দ্রিয়ের একটা সাহজিক ধারনক্ষমতা রয়েছে যা অনেক বেশী স্বননশীল অনেক বেশী দর্শক ওরিয়েন্টেড কিন্তু সাথে সাথেই তার একটা আরব্রিটারি দিকও আছে বা একটা তন্ময় পরীক্ষন, ঠিক যেখানে দাঁড়িয়েই অর্ন্তনিহিত আধার অন্বেষনের কাজ শুরু হয়। সিনে ল্যাঙুয়েজ বলতে যা বোঝানো হয় আসলে তা একটা বৈপরীত্যের জোড়, যেখানে দৃশ্যের আভিধানিক, ক্রমিক দৃশ্যরুপের সাথে সাথে কোথাও অঘোষিত স্নায়ব অনুনাদেরও সংযোগ থাকে।সময়ের সাথে সাথে সিনেমা যেন তার নিজের মধ্যেই ভাষাগত এই ফ্লুয়েন্সিটা রপ্ত করে নেয়............. To treat film as an absolutely non-verbal art is impossible.
্কবিতাগুলো অসামান্য মনে হল। এত ভালো সব কবিতা পড়ে পুলকিত হলাম। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে কৃষ্ণেন্দুর কবিতা -- জীবন। আহা! এত মিনিংফুল কবিতা চট করে চোখে পড়ে না।
ইন্দ্রনীলের গদ্যটা আমার আগেই পড়া।বড় ভালো লিখেছে ইন্দ্র।আনি তো রপ্ত করে ফেলেছিঃ "বোকাচোদা--অশিক্ষিত--গান্ডু"।
সিনেমা যখন নাবালক ছিল তখন স্টিল ছবি(চিত্র), জুড়ে সব্যসাচীর কথামত, চলচিত্র বানানো হতো। সাবালক হবার পর সিনেমা নিজের ভাষা তৈরি করলো। তাতে মেশানো হল কবিতা, সঙ্গীত, পেইন্টিং, ভাস্কর্য, নাচ, কোরিওগ্রাফ, আর্কিটেকচার, কোয়ান্টাম মেকানিক্স, পয়েন্টিলিজম, ড্রিম, ইনস্য্যানিটি, বিষয় বা গল্পকে ঘেঁটে দিয়ে তৈরি হল সিনেমা। কবিতা তার নাবালক পদ্যভূমি থেকে কবিতায় উত্তীর্ণ হবার পর কালে কালে সেই সব এলিমেন্টগুলো, যা ওপরে সিনেমা নিয়ে বলেছি, গ্রহণ করেছে। এখন সিনেমা আর কবিতার মধ্যে তাই কোন তারতম্য হয়না ভাষাগত দিক ছাড়া। তাই নয় কি?
বন্ধুরা বাকে একটি নতুন ধরনের যোগাযোগে আগ্রহী ...যেটি আগে ছাপা ক্ষুদ্র পত্রিকায় বহুবার করা হয়েছে...কবি বন্ধুদের কাছে আবেদন আপনারা শিল্পী বন্ধুদের ছটি কবিতা দিন ...আমরা তার মূল আবেগের দৃশ্যরূপ দিতে চাই (অলংকরণ নয়)... প্রমাণ করি আবেগ একই ভাষাটি কেবল আলাদা...
Bah chomotkar byapar , eta besh onyo kaaj hobe. Painting aar kobita niye amra akta boRo kaj kori borong. Amader alochona hok akta , ei niye kichu kaj egok,
কে বেশ একজন বলেছিলেন, যে কোনও শিল্পচর্চার জন্যই কবিতা সম্পর্কে একটা প্রাথমিক ধারণা থাকা উচিত-- তাহলে বাকি সব শিল্পের ক্ষেত্রেই উপকার হয়। ইদানীং ঠিক এক কথা আমার সিনেমা নিয়ে মনে হয়, কবিতা লেখার আগে অন্তত যে সিনেমাই দেখছি খুব মন দিয়ে observe করা প্রয়োজন, এটা সামগ্রীক একটা development ঘটায় শিল্পবোধের। তাহলে কে কার আগে এলো, সিনেমা না কবিতা? কবিতায় সিনেমা আর সিনেমায় কবিতা আজকের নয়। মিথ্যে কথা বইটা মনে পড়ছে। কি চূড়ান্ত ড্রামা ব্যবহার... সেই ড্রামা কিন্তু যাত্রাপালার নয়, একেবারেই সিনেমার... খুনী ফিরে আসছে, সিগ্রেটের ধোঁয়া জমাট ঘর... গাছে গাছে লাশের মতোই রিসিভার ঝুলছে। আবার পাশাপাশি গিনিপিগ একটি তথ্যচিত্র। Cinematic approach... কিন্তু এবার আসছে documentary-র ঠান্ডা নিস্পৃহ যুক্তিবোধ। যা তৈরি ক'রে দিচ্ছে এক নতুন মাত্রার polemics...
ঠান্ডা নিস্পৃহ যুক্তিবোধ ... শুধু কবিতা আর সিনেমার সম্পর্ক কেন ... সামগ্রিক বাংলা কবিতায় তার প্রসার ঘটছে ... কিন্তু এটা কি পরিসরের দাবি , নাকি বিদেশি প্রভাব ?
আর্যনীলের কবিতা পড়লাম। এটি সাধারণ কবিতা নয়। একে পরিবিষয়ী কবিতা বলা যাবে। দুঃখের কথা, আর্যনীল নিজে বাক-এর পাতায় কবিতাটি পড়তে পারেনি। নীলাব্জ, তুমি ওকে হেলপ কর। প্রশান্ত কবিতার ওপর কবন্ধ(কবিতা+প্রবন্ধ) লিখেছে যার ভাষাটাও কাব্যিক লাগলো।
বিদেশের কথায় মনে পড়ল ... অর্কর অনুবাদ করা হ্যারল্ড পিন্টারকে একটু তাকিয়ে দেখুন । কবিতা এবং গল্পের সীমানা ভেঙ্গে গেছে ... আর ... অনুবাদ বলেই মনে হচ্ছে না ... যেন পিন্টারই অর্ককে অনুবাদ করেছেন কোথাও ...
krishnendu r lekhata bhalo laglo-- mone porlo corso r "BOMB" lekhatar katha jodio corso r kobita sankolone je BOMB lekhata peyechi seta dirgha kobita ar Net e BOMB namer kobitata oi sunno space deoa...
ha souvik da, atai afsosh er print media ekhono a jatio kobitake accept korte parlo na...
খুব ভাল বলেছ রমিত । গ্রেগরি করসোর BOMB আমি অমৃতলোকে অনুবাদ করেছিলাম । সম্পাদক সমীরণ মজুমদার একটা পুরো কবিতার স্পেস ফাঁকা রেখেছিলেন । প্রায় একটি পুরো পাতা ।
একটু interrupt করছি। বিষয়টা আসলে কিছু বুঝতে পারছি না। এই শূন্যস্থানের কবিতাটা কোথায় পাওয়া যায়? যে কবিতাটা পড়েছি সেটা তো শূন্যস্থান নয়, বরং রমিত যে দীর্ঘ লেখাটার কথা বললো, সেটাই। একটা বোম ফাটার ধোঁয়ার shape-এ সাজানো। কোনও টেকনিকাল গন্ডোগোলের জন্য এই শূন্যস্থান নয় তো? জানি না। একটু আলোকপাত করুক কেউ। http://www.litkicks.com/Texts/Bomb.html "... "Bomb" (a "concrete poem" formatted in typed paper slips of verse, arranged in the shape of a mushroom cloud..." [http://en.wikipedia.org/wiki/Gregory_Corso]
r indranil jeta bollo ata niye ami bistar khonjakhunji korechilam aksomay in fact corso r pray somosto kobitai amar kache ache abong duto bhinno boi e BOMB kobitata oi dirgha kobita hisebei ache-- thik jemon indranil bollo BOMB er dhoyar anurupe tar form ta script kora.... abong ota dirgha kabita
ai kebol space deoa BOMB kobitata poemhunter i sudhu peyechi-- onar kabita sangroho ba onno kothao ota payni
সমীরণদাকে জানিয়ে দিলাম । অটা সংশোধন করতে হবে । তবে একটা ব্যাপার হল ... ওটা এবার আমার কবিতা । :P আমি 'বম্ব' নামে কোনো কবিতা লিখলে ওই অকথ্য শূন্যতাই দেব ...
Simahin akashe akta uRonto kichu k express korte , drishyo porisorer end e tar obosthan bujhte bishal chart paper majhe pencil diye '.' dile jamon hobe Krishnendu r lekhata serokomi jibon k akta character e tule dhora. Besh.
কিন্তু এবার তোমার পালা । খুব তো সাউন্ডস্কেপ নিয়ে মেতে আছ ... ধ্বনিগুণ নিয়ে ... একটা কবিতা এখানে পোস্ট করো তো দেখি , যার নাম হবে 'বোমা' ... অপেক্ষায় রইলাম ...
Krishnendu babur 'jibon' kotha tar uttore '!' chinho ti besh chomokito korlo...sundor sanketik representation.. ete naki jibon niye lekha pata pata kobita dhope tiklo na.. amar kache prosno toiri holo, tahole kobita ki kichu ekta baro jinis ke sanketik bhabe prokash kora? 'times of india' paper er supplementary te roj erakam ekta kore okkhor thake ba chinho thake ityadi, tar pashe lekha thake decipher the meaning... tar answer o dewa thake o tar byakhya hoy... tahole ki ogulo ekta kore kobita dewa thake roj? Biliti lokera likhe kiss dite X chinho ti byabohar kore... kiss er hazar ta broader view achhe amader jibone.. onek mane niye biraj kore.. jodi erakam likhi..
এই অংশটা পড়ে রাজর্ষির পাঠবস্তুটার জঁর স্পষ্ট হল। এতকাল বিভিন্ন জঁর তাদের মধ্যেকার জাতিপ্রথা বজায় রেখেছিল । রাজর্ষি সাহিত্য থেকে সেটা একেবারে বিদায় করে দিচ্ছেন। সম্পূর্ণ রচনাটা প্রকাশিত হলে জলবিভাজকটাকে টের পাবো ।
hello Sabyasachi, ei sankhyaTaa aamaar kaachhe eto special kore deoaar janya anek dhanyabaad. 'Peet collage-e nilabja' niye eto sundar aalochanaar janya... ---Nilabja
ঋতবীণা পড়লাম। বেশ ঝরঝরে লাগলো। চরিত্রদের বিজড়ণ ছাড়া উপন্যাস কি করে এগোয়, সেটাই দেখার। অর্ক'র গল্পনা ভালো লাগলো। মঞ্জুষ দাশগুপ্ত'র কবিতা আমার স্মৃতির ওপর দিয়ে বয়ে গেল, রমিতকে ধন্যবাদ। তোমার নেয়া কাজল সেনের সাক্ষাতকার খুব ম্যাড়মেড়ে হয়েছে অনুপম। বাক চলুক। আমার শুভেচ্ছা।
"Ritabinaa" 3 Te part ese gelo... ebaar Rajarshi daar kaachh theke ei sambandhe kichhu jaante ichchhe korchhe... kabir pratham uponyas... se nije jodi ekTu kichhu bole...
অনুপম, তোমার বাক-৬০ দেখলাম। পরিসরে অনেকটা ছড়িয়ে দিতে পেরেছো দেখে ভালো লাগছে। তোমার প্রচেষ্টা ও শ্রম তুমি রেখেছ যথাস্থানে। ‘বাক’-এ কবিতায় ছবি ও সিনেমার প্রভাব নিয়ে ইদানীং আলোচনা দেখছি, এটা উৎসাহ নিয়ে পড়লাম। কৌরবেরও আগামী কোনও সংখ্যায় এই নিয়ে পরিকল্পনা করা আছে, আর্যনীল জানিয়েছিল। কৌরবে ক্যাম্পের দিনগুলোয় আমরা এইসব বিষয় নিয়ে খুব মনোযোগ দিয়ে কাজ করেছিলাম, ৮০-র দশকের শুরুতে। পেন্টিং, ফটোগ্রাফি এবং সিনেমা, -তিনটে বিষয়েই। ইন্টারনেটহীন সেই যুগে খুব সময় ও শ্রম দিতে হয়েছিলো। এর তথ্যগুলো নিয়ে কখনো আমি বিস্তারিত লিখবো। আমার কিছু কিছু লেখায় যেমন, বন্ধু রুমাল বইয়ে ‘বরাহ’ নামে কবিতার মূল সুত্রে ছিলো একজন বিখ্যাত পেন্টারের আঁকা একটা ইঙ্ক স্কেচ, -সম্ভবত উইলিয়াম হগার্থ। ওই ছবি ছাড়া ওই কবিতাটা আমি লিখতে পারতাম না। ছবিটা খুঁজে পেলে কবিতার পাশাপাশি একসঙ্গে ব্লগে দেব। আর সিনেমার ভাষা নিয়ে, তার জাম্প কাট ও মন্তাজ নিয়েও কাজ আছে কিছু। তখন আইজেনস্টাইন ও আর্থার নাইট প’ড়ে আর ব্যাটলশিপ পটেমকিন দেখে সিনেমায় আমার হাতেখড়ি। - আমার ‘জলের শব্দ ও ধাবমান টাট্টু’ নামের দীর্ঘ কবিতায় (কৌরব-৩৮, ১৯৮৩) সিনেমার কিছুটা সচেতন প্রয়োগ আছে। তিরিশ বছর আগে লেখা ওই কবিতাটা অনেকেই আগে পড়েনি। কমল চক্রবর্তীর দীর্ঘ কবিতাতেও সিনেম্যাটিক কিছুটা আছে। তবে এগুলো গলা বাড়িয়ে বলার কথা নয়, কারণ এগুলো কবিতার ব্যাকগ্রাউন্ডের ব্যাপার; -ইন্সপিরেশান এবং টেকনিক সম্বন্ধীয়। আসল বিচার কবিতাটা। অনেকে মনে করে কবিতায় কোনও অ্যানিমেটেড ছবি থাকলেই সেটা সিনেমার প্রভাব, তা ঠিক নয়। কবিতায় সিনেমাটোগ্রাফির ভাষার প্রয়োগটাই আমি লক্ষ করতে চেয়েছি। -কৌরবের সেই স্বর্ণযুগে অনেক কাজেরই নি:শব্দে সূচনা হয়েছিলো যার প্রভাব ক্রমে ছড়িয়েছে, কিন্তু এখনকার মতো প্রচারের মাধ্যমগুলো তখন ছিলো না। এগুলো তাই তোমার মতো উৎসাহী তরুণ গবেষকদের জন্য লিখলাম।
আমার তো মনে পড়ে যাচ্ছে Musee Des Beaux Arts (W.H. Auden) । ১৯৩৮-এ লেখা হয় যতদূর মনে পড়ছে । অডেন গিয়েছিলেন ব্রুসেলসে । সেখানকার চিত্রশালা ঘুরে দেখেন , এবং BRUGHELS-এর আঁকা ছবি দেখেন । উনি বেঁচে ছিলেন ১৫২০ থেকে ১৫৬৯ অবধি । BRUGHELS-এর আঁকা ছবি Icarus থেকে জন্ম নিল এই কবিতা ...
About suffering they were never wrong, The Old Masters: how well they understood Its human position; how it takes place While someone else is eating or opening a window or just walking dully along; How, when the aged are reverently, passionately waiting For the miraculous birth, there always must be Children who did not specially want it to happen, skating On a pond at the edge of the wood: They never forgot That even the dreadful martyrdom must run its course Anyhow in a corner, some untidy spot Where the dogs go on with their doggy life and the torturer's horse Scratches its innocent behind on a tree.
In Brueghel's Icarus for instance: how everything turns away Quite leisurely from the disaster; the ploughman may Have heard the splash, the forsaken cry, But for him it was not an important failure; the sun shone As it had to on the white legs disappearing into the green Water; and the expensive delicate ship that must have seen Something amazing, a boy falling out of the sky, Had somewhere to get to and sailed calmly on.
আমার মন্তব্যের পরেই মলয়দা-র যে মন্তব্য ... বাংলা এবং english-এ ... সেটাও যে দৃশ্যগুণ উপস্থিত করছে , যে ভ্রমাত্মক অবকাশ রাখছে ... তা-ও কি একরকম চলচ্ছবি নয় ?
Akta kobita pathok moneo tar jr continuous drishyo uposthapona toiri kore amar mote seta mul duto bishoye nirbhorsil 1. Sei kobita kotota drishyo gune utsarito 2. Pathok mon sekhan theke kotota jarito kore nay. Dutotei kom besi tartomyo thake. Akhon akroikhik uposthaponar khetre se boRoi nirdishto , kobir chalika bhongite pathok chalito(sudhu drishyer kothai bolchi) , bodhe ba orthe sekhane parthokyo aste pare . Kintu je kobita kono porisfuto chitrer jonmo dichhe na sekhane onubhob ki hobe? Ei niye prochur kotha bola jay.
Anek khetre nirdishto bhabe na holeo amar biswas protyek kobir lekhay anek somoy ei sob bishoye swabhabik bhabe ese poRe , eta khub boRo bishoy kichu noy. Prochur lekha sudhu painting kano , sudhu cinema kano , sthapotyo theke suru akta che(n)Ra kagoje lekha shobdo thekeo spark pay , prokriti ke sthir ebong cholo duto reference frame e(n)ke kobita toiri kora , sob kobiri swabhabik kormer modhey poRe.
Anek somoy bhije deoale sa(n)t sate daag manush ke bhabay , othoba marble mejhe te joler daag , ebong illusion o anek chitrer jonmo day. je manush je bhabe take dhore.
Akhon prokritir modhey , akashe sobsomoy ja hoye choleche akjon kobi take khatay dhorun ,ami take bolbo? Prokritir modhey ghote jaoa cholochhitro theke akta kobita likhlam , ja jantrik movie noy , prakritik movie. Ei diktao amar kache khub boRo mone hoy.
cholochhitro manei je take somoyer nirikhe cinema hote hobe se songya jothartho noy , ami biswas kori aspase ghote jaoa sokol cholochhitroi lekhar utso prerona.
অনুপম, 'Bruegel' হয়তো কারেক্ট স্পেলিং (Landscape with the Fall of Icarus by Pieter Bruegel)। মলয়দার কথাও বুঝলাম। একই জিনিষ (সিনেমা, কবিতা, আর যা যা কিছু) ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে মাধ্যমে ও প্রেক্ষিতে,আলাদা আলাদা আবেদন নিয়ে আসতেই পারে। একটা কবিতা ব্রেলে লিখে একজন অন্ধ মানুষকে পড়ালে তার কি একই অনুভব হবে ? -ভাবা যায় না। তবে রবীন্দ্রগানে বঙ্গ আর স্যাক্সফোন বাজিয়ে আলাদা একটা ভিন্নতা হয়তো কেউ আনতেও পারেন। আমি গদারের ছবির অ্যানালিটিকাল ভার্শানও দেখেছি, তাতে পুরো ছবিটার সাথে সাথে একটা আলাদা ট্র্যাকে তার অ্যানালিটিক কমেন্ট্রি শুনতে পেয়েছি। সেও এক ধরনের অনুভব। তবে 'ভিশ্যুয়াল পোয়েট্রি'র টাইপ সেট দিয়ে বানানো জিনিষটা আমার পছন্দের নয়। ওগুলো পশ্চিমের গিমিক,বহু পুরনো,আজও কেউ কেউ করছে! কেন করছে জানিনা। না জেনেই করছে ? ভিয়েতনামের জঙ্গলে এখনও কোনও আমেরিকান সৈন্য থাকতেই পারে যে জানেনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেমে গেছে। এরকম কবিতাতেও হয়। তবে টু-ডির পরে থ্রি-ডি, এবং তার পরে হলোগ্রাফিকাল এফেক্ট নিয়েও কবিতার ইন্টারেস্টিং ভিশ্যুয়াল কাজ করা যেতে পারে,আমি জানি। এমন তুবড়ি বানানো যেতে পারে যেটা আকাশে শব্দ করে অক্ষরের রঙিন আলোকমালায় কবিতাকে শূন্যে অঙ্কিত করে দেবে কয়েকটা ফ্লীটিং মূহুর্তের জন্যে। সেও একটা ব্যাপার হবে তাহলে। কিন্তু অক্ষরে লেখা আর বাক্য দিয়ে ধরা কবিতার স্বাদই অন্য। - আমি শুরুতে যে কথাটা বলেছিলাম,সেটা কবিতার নির্মাণে সিনেমাটোগ্রাফির ও পেন্টিং-এর প্রভাবের কথা। ডিলান টমাসের 'আন্ডার মিল্কউড' সিনেমা দেখেছিলাম, সেটা ছিলো কবিতা নিয়ে সিনেমা। কবিতা নিয়ে সিনেমা বানানো খুব শক্ত কাজ। বরং কবিতায় সিনেমাভাষার ব্যাপারটা কাজে লাগান যায়,-তবে খুব সতর্কভাবে,জবরদস্তি না করে।
খুব সহজ একটা উদাহরণ ... বেশ অতিব্যবহৃত ... চ্যাপলিনের 'city lights' সিনেমার সেই শেষ ফ্রেম ... সেই হাসি ... মুখে হাত চাপা দিয়ে এবং না দিয়ে ... পাশে একটা ফুলকে রেখে ...
ওটা ব্যঞ্জনার নিরিখে কবিতা ... চ্যাপলিন নিজেও জানতেন কি ওটা অভিনব নয় ... শুধুমাত্র শাশ্বত ...
আর গদার যখন every man for himself সিনেমায় ... যার অন্য নাম slow motion ... নায়িকার বাইসাইকেল চালিয়ে নিসর্গকে পেরিয়ে যেতে থাকাকে slow motion-এ ধরেন ...
আচ্ছা তোমাদের কি মনে হয়? আজ থেকে একশ বছর পরে মানুষ আর শাদা পাতায় কবিতা লিখবে বা পড়বে? আমার তো মনে হয় সে ইলেকট্রনিক স্ক্রিনেই তার যাবত পড়াশোনা চালাবে। প্রিন্টেড ফর্মে এখন যা লেখা হচ্ছে তা সব চলে যাবে মিউজিয়ামে। সিনেমা বলতে তখন 3Dই বুঝবে সবাই। তখন একটা ডিজিটাল স্ক্রিনে লেখা, ছবি, ভিডিও সব মিলেমিশে অন্য এক শিল্প-ধারার জন্ম হতেই পারে। আমার তো মনে হয়, সেটা হওয়াটাই খুব স্বাভাবিক আর লজিক্যাল। এটা কি খুব naive ভাবনা হয়ে যাচ্ছে? আমি এরকমটা ভাবতে কিন্তু বেশ পছন্দ করি। শঙ্করদার কথাটা দারুণ, "কবিতা নিয়ে সিনেমা বানানো খুব শক্ত কাজ। বরং কবিতায় সিনেমাভাষার ব্যাপারটা কাজে লাগান যায়,-তবে খুব সতর্কভাবে,জবরদস্তি না করে।"সিনেমায় কবিতা ঢুকে পড়ছে এরকমটা আমরা দেখেছি, সেটা নতুন কিছু নয়। কিন্তু একটা কবিতাকে যদি আমরা সিনেমা ফর্মে ভাবতে চাই তাহলে কাজটা খুব শক্ত। ভিডিও নয় কিন্তু, সিনেমা। যেখানে দর্শককে অন্তত দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রাখতেই হবে। কাজেই কাহিনী চাই। ন্যারেটিভের কায়দা বদলায় কিন্তু তাকে পরিহার করা যায় না সম্ভবত এইই কারণে। কবিতায় গল্প বলার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। তাই এখনকার কবিতাকে সিনেমায় আনাটা বেশ কঠিন। এক যদি কোন গাথা হয়, যেমন ফাউস্ট বা রামায়ণ বা ত্রিস্তান-জারা। তবে শঙ্করদা কেন ভিসুয়াল পোয়েট্রিকে পশ্চিমের গিমিক বললেন সেটা বুঝতে পারলাম না। এটা নিয়ে শকরদা আরও কিছু বলুন না? আমরা শুনতে চাই।
নবেন্দু, ভিশুয়াল পোয়েট্রির ইতিহাস সভ্যতার সেই গুহাচিত্রের সময় থেকেই বলা হয়। বহু শতাব্দী ধরে এর বিবর্তন হয়ে এসেছে। শিলালিপি, উডকাট, ক্যানভাস প্রিন্টিং, পেপার প্রিন্টিং, -সব মাধ্যমের মধ্যে দিয়েই সভ্যতার নানান প্রযুক্তি ও ব্যবস্থার সুত্র ধরে তার ক্রমবিকাশের কথা শোনা যায়। মূলত:পশ্চিম ইউরোপের ইটালী, ফ্রান্স,এবং আলাদা ভাবে রাশিয়ায় তার মাতামাতির নমুনা রয়েছে বিংশ শতাব্দীতে। চীন জাপান এবং প্রাচীন ভারতেও সাহিত্য ও চিত্রকলার মিশ্রণে ভিশুয়াল পোয়েট্রির অজস্র উদাহরণ রয়েছে। আছে গত শতাব্দীতে মালার্মে ও আপোলিনীয়ারের ভিশ্যুয়াল কাজের কথা । তবে আমি 'টাইপসেট' ভিত্তিক কাজের কথাই বলেছি। যেটা নিয়ে এক সময় এদেশেও অনেক খেলাধুলো হয়েছে,যেগুলো শেষে চমক হারিয়ে অনাবশ্যক ও মুল্যহীন হয়ে পড়ে। আমার মনে হয় হলোগ্রাফিক্স সহজতর হলে,আবার হয়তো একটা নতুন চেষ্টা হবে। এই বিষয়ের ইতিহাস নিয়ে অনেক লেখা পাবে,তার মধ্যে সংক্ষেপে কার্ল কেম্পটনের ভালো আলোচনা আছে।
আসলে কবিতা আর সিনেমার মধ্যে যে সুক্ষতর অর্ন্তবর্তীতা রয়েছে তা একটা অন্বেষন একটা সম্বনয় একটা ট্রান্সিটরি প্রসিড। সিস্টেম অফ গেসচেরাল সাইন বা ওরাল কম্যুউনিকেশনের ওপর জোর দিয়েছিলেন পাসোলিনি। যেখানে , একই শব্দ বা একই lin-sign ভিন্ন ফেসিয়াল এক্সপ্রেশনে ভিন্ন বোধের জন্ম দেয়, ভিন্ন দৃশ্যনান্দনিকতার, এবং ফিল্ম সিকোয়েন্সে এই সিকোয়েন্স অফ লিন-সাইন বা ল্যাংগুয়েজ সাইনের রিকন্সস্ট্রাকশনই লক্ষ্য করা যায়। আলো-ছায়া-ইমেজ বিভিন্ন ফ্লিমিক ক্রুড এলিমেন্ট বা কোডের মাধ্যমে যে ভিজ্যুয়াল কম্যুইনিকেশন গড়ে ওঠে সিনেমার মধ্যে দিয়ে তার মূলে আসলে পোয়েটিক কেওস, কাব্যিক ইন্টেলেকচ্যুয়ালিজম। ছবি নির্মাতার কাছে কোন অভিধান নেই , কেবল সম্ভাবনা আছে , পসিবিলিটিস আছে। যেখানে একজন কবির কাছে একজন সাহিত্যিকের কাছে বিষয়ের অভিধানস্বরুপ রয়েছে তার স্বপ্ন তার স্মৃতি তার পরিবেশ তার গেচচারসের মত একাধিক মরফোলজিকাল সাইন । চলচ্চিত্রকারের গন্তব্য যেন এসমস্ত লিংগ্যুইস্টিক ইনভেনশন থেকে ক্রমাগত আরও এক এ্যাসথেটিক্স ইনভেনশনে যাওয়া। আর ঠিক এ জায়গা থেকেই ইকেনবাম বা মেটসের মত ত্বাত্তিকরা একবাক্যে বলতে পারেন 'film viewing is accompanied by a continual process of internal speech.... To treat film as an absolutely non-verbal art is impossible.তাই কবিতার মধ্যে যে ফ্রি-ইনডাইরেক্ট-পয়েন্ট-অফ-ভিউ থট থাকে তাকে কেন্দ্র করেই বোধহয় সম্পূর্ন গল্প বলা সম্ভবা বলেই মনে হয়, অবশ্যই সেখানে ন্যারেটোলজি থেকে বেরিয়ে এসে অ্যাবস্ট্রাকটিজমই বিন্যাসের আকারগত দ্যোতক হিসেবে প্রাধান্য পায়। তাই পথের পাঁচালীর থেকেও কোথাও বুনুয়েল এর An Andalusian Dog এ চেতনার এই কাব্যিক সিগনিফিকেশানগুলো বেশী করে প্রকট হয়। আমার নিজের মনে হয় চলচ্চিত্রের সম্পূর্ন imaginary signifier ই আদতে একটা পরিপূর্ণ কবিতা....
“ফিল্মে কে উদ্দিষ্ট চরিত্র, কোথায় সে যাচ্ছে, কাকে ভালোবাসছে অথবা কার কাছে সে বিশ্বাসঘাতক এসব কেবলমাত্র ধ্বনি ও চিত্রকল্পেই আভাসিত হচ্ছে তা নয়, প্লটের দিক থেকেও আলো এসে পড়ছে। আর এভাবেই চলচ্চিত্রে ছড়িয়ে পড়ে কবিতার সৌরভ। চিত্রভাষা আলোচনায় যার জন্য ফিল্মতাত্ত্বিক পিটার ওলেন ও বলেন ‘to uncover the codes exploited in films in producing the sort of poetry that films can produce’…”
১। কল্পনা যে কোনো সর্জনের সারবস্তু । এখানে কোনো হেরফের চলে না । চালাকি চলে না । যার কল্পনা নেই , সে পাথর । তবে কল্পনা পাথরকেও রেহাই দেয় না । by the way ... উদয়শংকরের 'কল্পনা' নামক সিনেমাটি আজ কজন দেখেছেন জানতে সাধ হয় । ২। কসমস বলি আর কেওস বলি ... কল্পনা ছাড়া এদের কোনোটিই নেই । ৩। কবিতায় intellectualism চলে না । ধোপে টেকে না । তবে কবিতার বাইরে ... বাহির কি কিছু আছে আদৌ ... ৪। কবিকে আমি সাহিত্যিক মনে করি না । শিল্পী মনে করি না । সমাজের বাইরে উপযোগিতার বাইরে শিল্প সাহিত্য থাকে না । কবিতার কোনো কেজো উপযোগিতা নেই । কবিতা কাজে লাগে না । আনন্দে লাগে । being and becoming-এ লাগে । doing-এ লাগে না । কবিতা ফাটিয়ে মানুষ মারা যায় না । কবিতা ফুটিয়ে মানুষ বাঁচানো যায় না । কবিতা যখন সমাজের দ্বারা ব্যবহৃত হতে থাকে , গণিকালয় স্ফীত হয় । ৫। স্মৃতি ... বড়ো বেশি করে সিনেমায় বাঁচতে চায় । সিনেমাকে গড়ে তোলাই হয় স্মৃতিবস্তু হিসেবে । এটাও আমার মত । তাত্ত্বিকরা কী বলবেন জানি না । কবিতায় কাজ করে প্রত্নস্মৃতি । সিনেমা ব্যক্তিস্মৃতিকে প্রাধান্য দেয় । পরিচালকের স্মৃতি ... The Mirror অথবা Nostalghia ... Tarkovosky ... (Nostalghia নিয়ে আমি একটা কবিতা লিখেছিলাম । নামও ওটাই ছিল ... ) ৬। ভাষা একটা বাড়ি , যার মধ্যে আমরা বাস করি ... “language is the house we live in;” ... Godard বলেছিলেন ... বড্ড সাহেবি মনে হয় কথাটা ... :P ... আমার তো মনে হয় একজন লোক তার ভাষাটা ছাড়া আর কেউ নয় কিছু নয় ... ৭। আমি কে ? আমি আমার ভাষা । আমার ভাষা দিয়ে আমি আমাকে কল্পনা করি । তুমি তোমার ভাষা দিয়ে আমাকে গড়ো । সেটা আমার আমি নই । সমীর রায়চৌধুরীর কবিতাটি যেমন এই পোস্টে ...
রমিতের মন্তব্য খুব ভাল লাগল । এতগুলো কথা পরপর এসে পড়ল তাই মনে । কল্পনা করলাম কি ? may be ...
তবে কবিতার উপযোগিতার প্রশ্নে কেউ যদি ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে নজরুল ইসলামে বা নকশাল মুভমেন্টে সুকান্ত ভট্টাচার্যর কবিতার প্রসঙ্গ তোলেন , তাহলে ভিন্ন আলোচনার অবতারণা করতে হবে ...
অনুপম, তোমার ও রমিতের কথাগুলো সুন্দর; তবে তাদের তাত্ত্বিক জটিলতাগুলোর পাশ কাটিয়ে আমার মনে যেটা বেজে উঠলো, সেটা একটা আফসোস। আফসোস এই যে, বুনুয়েলের 'আন্দালুসিয়ান ডগ' ছবিটাতো আজও দেখা হয়নি, রমিত যার উল্লেখ করেছে। এবং 'কল্পনা' ছবিটাও অনেক বছর আগে দেখেছি যা এখন স্মৃতিতে অস্পষ্ট। আর তোমাকে বলি,-এমনিতে আমি পন্ডিতদের থেকে দূরে থাকি,তাতে চিন্তার স্বচ্ছতা বজায় থাকে দেখেছি,এবং তুমিও হয়তো দেখবে অনেক দার্শনিকের বিস্তর আলোচনার পরে যে নিচোড় বেরিয়ে আসে তা দেখে মনে হতেই পারে,ওমা,এটাতো আমি কবেই জেনেছি। জীবনে ফর্মাল শিক্ষার শুধু ওইটুকুই উপযোগী, যা আমাদের নিজে নিজে শেখার ভাবনার উপযোগী করে তোলে। সেভাবে সাহিত্য শিল্প কবিতা সবকিছুরই উপযোগীতা আছে,এবং পাথরেরও আছে । দেখলে আছে,আবার না দেখলে নেই। গদারের 'ভাষা' নিয়ে ওই কথাটা আমারও ভালো লেগেছিল,আমার ব্লগে ওই ছবিটার ক্লিপ আছে । তবে ওটা একটা সরলীকরণ। 'আই থিঙ্ক,সো আই অ্যাম'-না বলে, বলা যেতে পারে 'আই ইম্যাজিন,সো আই অ্যাম'। এবং এই কল্পনার কথাই তো বলছ তুমি। গদারের ওই কথাটা একটা সরলীকরণ, -এইজন্যে যে ভাষা নামক ঘরটায় থাকার জায়গা খুব কম,আমাদের তাতে কুলায় না। আমাদের কল্পনাকে তা আড়াল করে, বিপথে চালিত করে,বেড়ে উঠতে দেয়না । ভাষার উপযোগিতার মধ্যেই নিহিত আছে তার অগাধ লিমিটেশান। এক্সপ্রেশানের চিহ্নভিত্তিক ভাষা দিয়ে চিন্তার বা ইমাজিনেশানের কাজ কত অসহায়ভাবে অসম্পূর্ণ থেকে যায়। -এই বিষয় নিয়েও অনেক কাজ হয়েছে, অনেক বিজ্ঞান-গবেষণা আর অনেক পন্ডিত।
দেখো সৌভিক , রাখালিয়া বাঁশি একপ্রকার সঙ্গীত , আবার রণদামামা-ও একপ্রকারের , আবার পুজোর ঢাক আরেকপ্রকার বাদ্যি । সুভাষ , হোসে মার্তি , পাবলো নেরুদা , লোরকাও কবিতা লিখেছেন । তা মানুষের প্রাণকে উদ্দীপিত করে । কিন্তু ব্যবহৃত হয় না । সমবেদনার জন্য হ্যাংলামো করে না । তারা নিজেদের এমন একটা বিশুদ্ধ অবস্থানে রেখে মানুষের দিকে তাকায় , যে মনে হয় তারা মানুষকে নির্বিকার আমন্ত্রন জানাচ্ছে ঠিকই , কিন্তু মানুষকে বাধ্য করছে না বিশেষ একটি অনুভুতিতে আসার জন্য ।
'দ্যাখো আমি কাঁদতে পারি ...আমার বুকে কত দরদ জমে আছে !' এটা হল ব্যাবহার করে নেওয়া । ধরো আমি লিখলাম ঃ
ওই দেখো ভিখিরী বালক তাকিয়ে আছে বহুতলের দিকে কেউ কি ছুঁড়ে দেবে একটা বাসি টুকরো ?
তার পাশে বসি এসো , তার হাত ধরি আমরা
এসি বা নন এসি রুমে বসে এটাই লিখে কবি ভাবলেন যথেষ্ট সামাজিক কর্তব্য পালন করা হল । কবি হিসেবে তাঁর নির্ঘাত অক্ষয় স্বর্গবাস হবে । অহো ... কী সমাজসচেতন এবং মানবদরদী প্রাণ !
এরকম লেখা বাকের জন্য অনেক আসে । আমি বলছি না অনুভুতিটা বানিয়ে তোলা । সেটা হতে পারে । না-ও পারে । কিন্তু নিজের করুনাকে অনুভুতি হিসেবে ব্যবহার করে একটি টেক্সট লিখতে বসে কবি কি শেষ অবধি কবিতাকেই ব্যবহার করতে চাইলেন না ? যেমন লোকে ঢাকঢোল পিটিয়ে দানধর্ম পালন করে ...
কবিতার কোনো প্রভাব যদি সমাজে পড়তো ... রবীন্দ্রনাথের দেশের মানুষ এই রাজনীতির এবং দুর্নীতির ডাকাতিয়া পরিসরটাকে সহ্য করত কি ? এই দেশে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন , সমাজের দিকে আওুল দেখিয়ে প্রমাণ করতে পারবে ?
মাত্র সত্তর বছর আগে রবীন্দ্রনাথ বেঁচেছেন আমাদের মধ্যে ...
Ami ebyapare tomar sathe ekmot ami chirokali mone korechi je kobir kono day nei... kobitar kono bishoy hoyna...cinemar kintu sedik theke day theke jay.. ekta na ekta jaygay... ei je amra bake kobita likhchi tate amader ki soho monoskota chara r kichu sotyi paoar ache... kobi commerce r lok non..e chara ami mone kori cinemar ekta technical dik ache...sotyi kotha bolte ki kobitar technical dik to neyi uporontu kobita lekhar kono technique ache boleo ami mone korina.. hyan ami sikar korchi je kobitar onek class tlass hoy kintu tate ki sotyi kichu sekha jay.. kobitar ki kono institute ache.. kobita ki sekhar byapar?...
হ্যাঁ । তবে স্ব-শিক্ষার একটা খেলা তো চলতেই থাকে , তাই না ? বাংলা কবিতা এবং আন্তর্জাতিক কবিতায় কী হয়েছে কী হচ্ছে সেটাও মনের ভিতর ক্রমাগত ফিসফাস কি দেবে না ? বিধিবদ্ধ্ব ছন্দ -অলংকার ... প্রয়োগ করি না করি , জেনে রাখতে হয় । অবশ্য সেটা আমার মত । তুমি আলাদা কিছু ভাবতেই পারো ।
শিক্ষা ... আমার কাছে lesson নয় । শিক্ষা = অধ্যয়ন , আক্কেল , দন্ড , অভিজ্ঞতা । ক্লাসরুমের বাইরে । মাস্টারের ছড়ির আওতার বাইরে । কবির তো মাস্টারমষাই থাকে না , রুটিন থাকে না , মানে বইও থাকে না , ব্ল্যাকবোর্ড বা ছাত্রবন্ধুও না ... তবে কবির গুরু থাকে । সেটা একলব্যের ব্যাপার ।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত 'কবি' ... হে হে ... মিডিয়ায় তো তাঁরাই করে খাচ্ছেন ভাই ...
Ki bhabe deleted holo bujhlam na . jai hok amar proshno ta chilo , swosikhha chaRa keu prokrito sikhhito hote pare na , otai sikhhar ostro. Kintu kobir ki prothagoto prosikhhon sombhob , ei niye brihot orthe alochona , ki bolo Anupam da? Krishnendur proshno ta ekhetre besh alochyo.
Amio tai biswas kori kono purbosurir srishti anek somoy uttorsurir lekhar modhey be(n)che thake. Jug jug dhore anek khetre ta dakhao gache. Sekhane akolobyo r kotha sotyo. Alochona choluk.
একটা কথা বলি ? একটা সিনেমা আমাদের কবিতা লিখতে ট্রিগার করতে পারে । কিন্তু সেই কবিতাটা কবিতাই হবে । তাতে সেই সিনেমার সংকেত থাকতে পারে । কোড থাকতে পারে । কিন্তু কারিগরি কোনো সাদৃশ্য আদৌ সম্ভব বলে তো মনে হয় না । মানে জুম , কাট , ত্রলি , ক্রেন ... এই সব থকতে পারে না ।
সিনেমা কবিকে দিতে পারে experience এবং memory ... কী করে একটা মন্তজ তিনি বানাবেন তার মানস , মেজাজ , ধাত ... এবং উদ্দীপনা । সকলের কথা বলার হক আমার নেই । আমি আমার কবিতায় ওইভাবেই সিনেমাকে দেখতে পাই ।
সৌভিক ... সৌভিক ... প্রিয় সৌভিক ... কে আর হৃদয় খুঁড়ে sarcasm জাগাতে ভালোবাসে ... বিশেষ করে তোমার প্রতি ? বাকের জন্মলগ্ন থেকে লিখছ তুমি । বাকের আত্মজন । সঙ্গে থেকো ।
Vincent Van Gogh ... একটা ছবি আছে ... তাঁর সবচেয়ে পরিণত কালপর্বের না ... the potato eaters ... আলুখেকোরা ... একটি কৃষক পরিবার রাতের খাবার কাচ্ছে ... শুধু আলু খাচ্ছে ... চরম দারিদ্রে , পরম শান্তিতে এবং পারস্পরিক নির্ভরতায় ... মাথার উপর একটি বাতি ... তার হলুদে ঈশ্বরের রঙ ...
একটি কমব্যসী মেয়ের পিছনে আলো লেগে আছে ... সেই আলো ওই বাতি থেকে আসছে না ... ওই আলোর উৎস ওই বাতি হতেই পারে না ...
তাহলে ওই আলো কথা থেকে এল ?
ওটাও কি ঈশ্বরের থেকে ?
Van Gogh সেটাই হয়তো বলবেন ... বলতে ভালো লাগবে তাঁর ...
কিন্তু আমার কাছে ওটা মানবতার আলো ... যার কোনো নির্ধারিত উৎস নেই । আর ... ওই the potato eaters-কে যদি এইভাবে দেখি ... নিছক দৃশ্যগুণ পেরিয়ে ... তা কবিতা হয় না , তবে কাব্যগুণ লাগে তার গায়ে ... তারপর হয় তার সেই আশ্চর্য রস ... সে ছুটে পেরিয়ে যায় আমাদের হৃদয়ের কালভার্টগুলোকে ...
আরেকবার বাক এল আপনাদের সামনে । আপনাদের উপভোগের আশা সে রাখে ।
ReplyDeleteবাকে শুরু করা হল ‘এই মাসের কবি’ বিভাগ । অনেক ওয়েব্জিন এটা সাফল্যের সঙ্গে করছেন । দেখাদেখি আমরাও করতে চাই । সম্পাদনা করবেন নীলাব্জ চক্রবর্তী । এই প্রথম পোস্টটিতে রাখা হল আর্যনীল মুখোপাধ্যায়কে ... তাঁর ‘স্মৃতিলেখা’-র একটি অংশ ।
এছাড়া এবার থাকছে উপরের কবিতাগুলি । কিছু নতুন মুখ এবারও দেখা দিয়েছেন । মেসবা আলম অর্ঘ্য এই প্রথম বাকে লিখলেন ।
মলয় রায়চৌধুরী অনুবাদ করলেন হীরা বানসোডে ( মারাঠি ভাষার দলিত মহিলা কবি - জন্ম ১৯৩৯ )। রমিত দে এবার তুলে এনেছেন প্রয়াত কবি মঞ্জুষ দাশগুপ্ত-র একগুচ্ছ কবিতা । প্রশান্ত গুহ মজুমদার লিখেছেন একটি অসাধারণ কবিতা বিষয়ক গদ্য । অর্ক চট্টোপাধ্যায় গল্পনা বিভাগে অনুবাদ করেছে হ্যারল্ড পিন্টারের একটি অপঠিত গল্প ।পাঠম্যানিয়ার পেরিস্কোপে এবার সব্যসাচী হাজরা আলোচনা করেছেন নীলাব্জ চক্রবর্তীর কাব্যগ্রন্থ ‘পীত কোলাজের নীলাব্জ’ নিয়ে । কালিমাটির প্রাণপুরুষ কাজল সেনের সাক্ষাতকার থাকল । দৃশ্যত বিভাগের সম্পাদক অমিত বিশ্বাস বেছে নিয়েছেন কয়েকজন শিল্পীর দুরন্ত প্রয়াস । এই ছবিগুলো অনেক কবিতার জন্ম দেবে আশা রাখি ।
থাকল ইন্দ্রনীল ঘোষের ধারাবাহিকের চতুর্থ পর্ব । রাজর্ষি চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসের তৃতীয় পর্ব ।
প্রতিটি বিভাগ এবার দুরন্ত হয়েছে ... সম্পাদক হিসেবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বলতে পারি ।
প্রধান পাতার কবিতাগুলি কম্পোজ করার বেশ কিছুটা ভার নিয়েছিলেন সব্যসাচী হাজরা । এবং বেশ কিছু যান্ত্রিক সমস্যা সামলে দিয়েছেন ইন্দ্রনীল ঘোষ । এঁরা না থাকলে এবারের বাক নিয়ে মুশকিলে পড়তে হত , মানে বাকের যতটুকু আমার নিজের হাতে আছে সেটা করে উঠতে ।
অতনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের প্রচ্ছদশিল্পী । বাকের প্রচ্ছদগুলো যাতে হারিয়ে না যায় , তা নিয়ে ভাবার সময় এসে পড়ছে ধীরে ধীরে ।
আবার বলছি ... বাকের ঘোষিত কবিতা-সংকলনের কাজ এগিয়ে চলেছে । সানন্দে ভার নিয়েছেন নীলাব্জ চক্রবর্তী এবং সব্যসাচী হাজরা । ৬০তম পোস্ট অবধি প্রকাশিত কবিতাগুলির মধ্যে ওঁরা বেছে নেবেন । আমার কাজ হিসেবে আমি শুধু ভূমিকা লেখাটুকুই রেখেছি । এমনকি আমারও একটা কবিতা ওঁরা বেছে নেবেন কিনা ... সময় বলবে । বলতে চাইছি : এই সংকলনের কবিতা নির্বাচনে আমার কোনো হাত নেই । কেউ যোগাযোগ করতে চাইলে নীলাব্জ ও সব্যসাচীর সংগে করবেন ।
সিনেমা এবং কবিতা ... এই নিয়ে কিছু কথা হোক ।
ReplyDeleteস্বপনদা , গত কয়েক বছরে আমি নিজে একাধিক গদ্যে বিভিন্ন প্রসঙ্গে নিজের মতো এলোমেলো করেই বারবার বলতে চেয়েছি এই সময়ের কবিতায় সিনেমা এবং যে কোনো দৃশ্যশিল্পের সঙ্গে কবিতার অবশ্যম্ভাবী আত্মীয়তার এবং অবিচ্ছেদ্যতার কথা । তাই ... যখন দেখছি আমাদের প্রিয় কবি স্বপন রায় আজ সরাসরি ‘সিনেমা সিনেমা’ সিরিজ লিখছেন , আনন্দ হচ্ছে , এবং মনে হচ্ছে আমরা এই প্রবণতাকে সঠিকভাবেই চিহ্নিত করতে চলেছি । আপনাদের ‘নতুন কবিতা’ পত্রিকা সিনেমা-কবিতা নিয়ে আশু সংখ্যা করছে ... আমি তো ৩ মাস আগেই আপনাকে লেখা পাঠিয়ে বসে আছি ... কিন্তু বাকের পাতায় এবার কিছু কথা হোক ... বাক কেন ওই রসে বঞ্চিত থাকে !
সিনেমার সঙ্গে আপনার একটা পুরনো সম্পর্ক আছে আমরা জানিই অনেকে । কিন্তু এই বিশেষ সংখ্যার উদ্যোগ আপনার মাথায় কী করে এল ? কেন হঠাৎ শুরু করলেন ‘সিনেমা সিনেমা’ সিরিজ লেখা ? আগ্রহ গোপন করছি না ... কথা শুরু করুন ।
অনুপম , কবিতা সিনেমা নয়,সিনেমা কবিতা নয়।কিন্তু সচেতন অনেক কবির কবিতায় সিনেমার চোরাস্রোত দেখতে পাই।কবি বারীন ঘোষালের 'গিনিপিগ একটি তথ্যচিত্র' বাংলা কবিতায় প্রথম সিনেমাকে ব্যবহার করলো কাব্যিক উপাদান হিসেবে।আরো কিছু কবির কবিতায় সিনেমার প্রভাব আছে,যেমন ধীমান চক্রবর্তী বা তোমার কবিতা কিন্তু গিনিপিগ একটি তথ্যচিত্র পড়লে বোঝা যায় প্রভাব নয় এ একটি নতুন আঙ্গিকের কবিতা যা আগে বাংলা কবিতায় ছিলোনা।আমি নিজের কবিতা নিয়ে কখনো নিজের লেখায় বলিনা বা আমার কবিতায় সিনেমার প্রভাব এ সব নিয়ে কোন project বানানো আমার উদ্দিষ্ট নয়!আমার মনে হচ্ছিলো কবিতা ধারার একটি নতুন form এ ভাবে পাওয়া যেতে পারে।নতুন কবিতা এর ফলে আর একটি অভিযানে বেরিয়ে পড়তে পারবে এমনই ভেবেছিলাম আমি!তাই কবিদের বলেছিলাম আমি জানিনা কি ভাবে সিনেমা এবং কবিতাকে তাঁরা মেলাবেন,আমি তাঁদের বলেছিলাম বন্ধু রুকস্যাক তুলে নাও,পা রাখো জুতোর বাইরে!আর আনন্দের সঙ্গে জানাই যে কবিদের এই স্বাধীনতা থাকায় তাঁরা কত অনাস্বাদিত লেখাই না দিচ্ছেন!কত বিচিত্র সে সব লেখা এবং অবশ্যই নীরস একাডেমিক্সের বাইরে গিয়ে কবিরা লিখেছেন,এই আনন্দ সবাই উপভোগ করবেন বলেই আমার মনে হচ্ছে!
ReplyDeleteস্বপন রায়।
স্বপনদা, এই প্র্যাকটিসটা খুব জরুরী ছিল আমাদের কাছে। নতুন কবিতা লিখিয়ে নেয়াতে খুব সুবিধা হল। জুতোর বাইরে পা রাখায় একটা তাতাথৈ থাকে যেটা কবিতা ও কবিকে বাঁচিয়ে রাখবে।
DeleteSwapan da ke amio dhonyobad janai notun kobitar poroborti sonkhay ei alochonar abokash rakhar jonyo... :)
DeleteAnupam, amar mone hoy kobitar kobita hoye otha-tai sesh kotha. Se kobitay kono chora srot thakle kobitar sree-briddhi hoy. Natun Kobita r agami sonkhyar jonyo Swapan jokhon likhte bolechilo ebong or oi cinematography r kotha-ta amar mathay dhokeni. Tai barbar proshno kore ja bujhlam ta holo chora shrot noy, kobitar ekta notun aangik er khoj, bichitrotar khoj chaiche Swapan jekhane kobita-tai sesh kotha, aar srot-tuku Kobir swadhinota. BarinDa r Guinea Pig ami porechi. Amar mone hoy asombhob dokkhota na thakle oi lekha sombhob noy. Thought process ke oi jaygay niye jaoar khomota sokoler thake na. Tobe eta mantei hobe je Swapan-er ei bhabna ta oneker lekhay onek boichitro eneche. Kichudin aage Jamshedpur a BarinDa r barite bose Swapan er lekha ta shunlam. Ek kothay - ami mugdho. Asha korbo sonkhya-ti bhalo hobe.
Deleteসিনেমা এবং কবিতার সম্পর্ক নিয়ে আমি তো প্রবল উৎসাহ দেখিয়ে আসছি সেই ২০০৬ থেকে যখন ‘যার নাম অপরাজিতা , সেও কিন্তু নামকরণে হেরে যায়’ (২০০৭ , কলকাতা বইমেলা , কবিতা ক্যাম্পাস প্রকাশনা এবং ক্রোড়পত্র ) লিখতে শুরু করেছিলাম । ওই বইয়ে আমি সরাসরি সিনেমা দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছিলাম নিজেকে । লিডর চিহ্নের ওই বহুল ব্যবহার ঐ জন্যেই করেছিলাম । গোদারের জাম্পকাট ... আমাকে ওই চিহ্ন দিয়েছিল । বিভিন্ন সিনেমার allusion-ও রেখেছিলাম সরাসরি ... যেমন সোনার কেল্লা । সমীর রায়চৌধুরী বইটির দীর্ঘ আলোচনা করেছিলেন ‘কবিসম্মেলন’ পত্রিকায় । তাতে তিনি ওই গুণ বিশেষভাবে উল্লেখ করেছিলেন । বইটির প্রচ্ছদশিল্পী হিসেবে বুদ্ধ্বদেব দাশগুপ্তর উপস্থিতি সমীরদার কাছে বেশ বাঙময় মনে হয়েছিল । আর্যনীল মুখোপাধ্যায়-ও ওই বইয়ে চলচ্চিত্রের reference-গুলোকে সনাক্ত করেছিলেন । সম্প্রতি ‘কবিসম্মেলন’-এ ওঁর চমৎকার একটি গদ্য পড়লাম ‘সিনেকবিতা বনাম কবিতাচিত্র ১’ নামে ।
ReplyDeleteআমি আরো কয়েকজনকে এই আলোচনায় আমন্ত্রণ জানাতে চাইছি ... বারীন ঘোষাল , রাজর্ষি চট্টোপাধ্যায় , ইন্দ্রনীল ঘোষ , নীলাব্জ চক্রবর্তী , নবেন্দু বিকাশ রায় , অর্ক চট্টোপাধ্যায় , সব্যসাচী হাজরা , এবং ... আর্যনীল মুখোপাধ্যায় ।
এবং অবশ্যই অন্য কেউ যদি কথা বলতে চান ... প্লিজ আসুন ...
কবিতা ও চলচ্চিত্রঃ এই নিয়ে খুব বিশেষ জানা আমার নেই , চলচ্চিত্র বলতে আমি বুঝি কতগুলো স্থির চিত্রকে পরপর সাজানো। সময়ের ট্র্যাকে তাদের ফেলে দেওয়া ও রেলগাড়ির কামরার মতো হাতে হাত ধরে চলা। গতিশীল চিত্রমালা , নাম চলচ্চিত্র।
ReplyDeleteএখন পাঠক মনে কবিতার উপকরণ থেকে ফ্রেম তৈরী করার অবস্থা কি রকম? এর বহু রূপভেদ ধরা পড়ে। বাহ্যিক
দৃষ্টি্র স্থায়িত্বের সাথে কবিতা পাঠকের অনুভবের চোখ কি সামঞ্জস্য রাখে? মনে সদ্য তৈরী হওয়া দৃশ্যগুলো পরপর একই ভাবে এক পরিমান রেশ রেখে যায়?(ছবিকে আলাদা ভাবে অনুভব করতে মিনিমাম সময় গ্যাপ)নাকি পাঠকের ক্ষমতায় সেই বিরতি একতি দৃশ্যে থমকে থাকতে পারে অনেকক্ষণ পরের উৎসকে সরিয়ে রেখে?
e prosonge duto cinema mone porche. tatkhanikvabe. 1. knife in the water; 2. electra. tomader alochona porte porte abeg-e likhe fellam, ar bodh hoy interrupt korlam. sorry!-prashanta guhamajumder
Deleteknife in the water ... Roman Polanski ... An attractive young woman, Christine, takes the wheel of a car belonging to her partner Andrzej, a sports columnist. While he criticizes her driving skills, a reckless student leaps out in front of the car. Andrzej gives the student a ride and invites him to accompany them on their yacht trip. Attracted to Christine, the student becomes increasingly clumsy. He spends his time jabbing the point of a pocket knife rapidly between the fingers of his other hand. Andrzek argues with the student, who topples overboard, vanishing into the lake. Andrzej dives in to save him, though he fails to find the student and swims ashore. Despite an earlier claim that he couldn't swim, the student manages to hide behind the nearest buoy...
Deletebesh hochhe,alochona choluk!kobita bhibhag valo,ananyo bibhago tai!jai hok baaker!swapan roy
ReplyDeleteসিনেমার সাথে কবিতার যোগসূত্র কোনো স্থূল কোণ থেকে ধরতে চাইলে ব্যাপারটা একটা ভ্রান্ত দিকে চলে যাবার ঝোঁক থেকে যাবে। সিনেমা-শিল্পের উপকরণ, শৈলী ও তার নিজস্ব ভাষা-ভঙ্গী আছে। সেই সবের খুব মেধাবী adoption কবিতার শরীরে করার বিষয়ে চিন্তাভাবনার ক্ষেত্র সদাই প্রস্তুত।
ReplyDeleteআবার উঁচু মানের প্রায় সব শিল্পেরই কিছু কমন ল্যাঙ্গুয়েজ আছে। মাধ্যম নিবির্শেষে। যা সাহিত্য (কবিতা,উপন্যাস,গল্প যাই হোক), সিনেমা, নাচ, গান ইত্যাদিকে শেষ অবধি ‘শিল্পে’ পরিণত করে। যে কোনো মাধ্যমের ‘উপযুক্ত’ টেকনিক যে কোনো মাধ্যম সঠিক ভাবে গ্রহণ করতে পারলেই তা পাতে দেওয়ার মতো হতে পারে। অভিনব, অসচরাচর হতে পারে।
ব্যক্তি শিল্পীর ক্ষমতা অনেক কিছু বদলে দিতে পারে।
দল বেঁধে যা হয় তার একটা সীমা আছে। ‘দলের’ গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু ব্যক্তিশিল্পী কে একক ভাবে, তার পরও বহুদূর এগিয়ে যেতে হয়। তা হলেই সব ‘পরীক্ষার’ ‘ফল’গুলো সামনে আসে। সেই ফল মিষ্টিও হতে পারে, তেতোও হতে পারে।
Sanjeeb Neogi , apni onyo bhabe neben na , Kon dikta sthulo jodi ektu bujhiye bolen , tahole sukhhotar porimap korte subidhe hoy.
Delete'গিনিপিগ একটি তথ্যচিত্র' ... স্বপনদা , আপনি আলাদা করে এই বইটি সম্পর্কে কিছু বললে ভাল হয় ।
ReplyDeleteসঞ্জীব নিয়োগীর কথাটা দারুণ। এই adoption খুব জরুরী একটা বিষয় হয়ে পড়ছে দিন কে দিন। সারা বিশ্বেই কবিতার সাথে গান, ছবি, মুভী ও অন্যান্য আঙ্গিকের ফিউশন করা হচ্ছে এইসময়। কবিতাকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে এটা করতেই হবে। cinemaর একটা সুবিধা আছে, সে প্রথমেই চোখ আর কানের কাছে আবেদন করে। তাই তার penetration ও acceptability অনেক বেশী। কবিতার পুরোটাই মেধার বাতানুকুল ঘুঙুর। সুতরাং কবিতায় cinematic element আনাটা আসলে কল্পদৃশ্য বা কল্পশ্রুতিকেই refer করবে। এর উল্টোদিকে একটা কাজ করা যেতে পারে। cinematic elementগুলোকে কবিতার ভাষায় অনুবাদ বা Trans-creation. ধরুন, জাম্পকাটকে আমরা ব্যবহার করতে পারি শব্দের পারমুটেশন দিয়ে। বা movement কে লেখার জ্যামিতি দিয়ে দেখা যেতেই পারে। এবার এগুলোর তো কোন ফরমুলা নেই। তাই এভাবে বলাটা হয়তো ঠিক হচ্ছে না। যেটা মূলত বলতে চাইছি তা হল, কবিতার খোপে সিনেমা আর সিনেমার খোপে কবিতা বসালে কি রকম দেখতে হবে? তাদের মাধ্যমের বৈশিষ্ট্যের জন্য অনেক element পরিবর্তিত হবে, হতেই হবে। আমরা একটা নতুন ধরণের লেখা পাবো। তবে নির্বাচন এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে। মানে কোনটাকে কতটুকু কিভাবে কেন দেখবো আমরা। এই বিচারের দায় কবির।
ReplyDeleteঅনুপম
ReplyDeleteগিনিপিগ একটি তথ্যচিত্র নিয়ে আমি রিমি দের কাগজ পদ্যতে আলোচনা করেছি।যাঁরা বইটা পড়তে চান তাঁরা কৌরব দপ্তরে খোঁজ করুন,পায়ে যাবেন।বইটির ইংরেজি অনুবাদও আছে।আমার নিজের কাছে বইটির গুরুত্ত্ব এ কারণেও যে কবি স্বদেশ সেন অতিক্রম করার কথা(তাঁর প্রভাব থেকে বেরোন অর্থে)আমরা ভেবেছিলাম সে সময়ে যে যার মতো।গিনিপিগ সেটি করেছিলো।সবাই বইটি পড়ুন।এ রকম নিরীক্ষা বাংলা কবিতায় আগে হয়নি।পরেও হয়নি।
স্বপন রায়।
Ei alochona choluk ,prochur bolar ache. tobe sobar age jodi ei post niye kichu bola jay. Anek sundor upokorone sajano ak osadharon jogot. Baak sotti proti muhurte bodle nichhe tar chehara. Aschi anek kothay.
ReplyDeleteঅসম্ভব সুন্দর প্রয়াস । বড়ো ভালো লাগল সমীর রায়চৌধুরী , অমিতাভ মৈত্র , অলোক বিশ্বাস , স্বপন রায় , মেসবা আলম অর্ঘ্য , এবং পত্রিকার সম্পাদকটির কবিতা । মনে পড়ে গেল কলেজ জীবনের স্মৃতি । বন্ধুরা কত হইচই করতাম গোদার , ত্রুফো , পাসোলিনিদের নিয়ে । সেইসব দিন আজ বড়ো দূরে চলে গেছে । এই সুদূর কানাডায় বসে মনে হচ্ছে আপনাদের পত্রিকাটি আমার যৌবন ফিরিয়ে দিল । ধন্যবাদ ।
ReplyDeleteঅসাধারন সব কবিতা ও আলোচনা , পড়ছি
ReplyDeleteABARO ASADHARAN EKTI SANKHYA.....BAAKRUDDHHO KORE DEBAR MATOI BAAK EBARO.....PRATITI KABITAI VALO LEGECHHE.....SAMPURNA SANKHYA TI VALO KORE PORAR JONYO ARO SAMAY NICHHI....ANUPAM O BAAK ER SATHE JUKTO SAKALKE AVIBADAN...KURNISH....
ReplyDeleteGache gache pata asay nogno nari deho ki nijer kapoR khu(n)je pelo. Besh laglo lekhata. :)
ReplyDeleteLuludi o Dulu dar golpo asamanyo , ki smartness , ami ei flow boRo bhalobasi , lekhata mone rakhbo. Akta complete lekha.
ReplyDeleteসত্যি ... উদয়ন চমকে দিয়েছে এই লেখাটায় ।
DeleteLuludi O dulu di -- কবিতার সারা শরীর জুড়ে natural sign.কোথাও থেমে যায়নি লেখাটা
Deleteখুব ভালো হয়েছে...
হারানো কবিতা নিয়ে যে সুন্দর কাজ হচ্ছে সেই বিভাগে যদি কবি শ্যামল সিংহ কে নিয়ে কাজ হয় তাহলে খুব খুশি হব।
ReplyDeleteAtanu da prochhod khana khasa!!!
Deletechesta korchi atanu da shaymal singha ke niye kaj ta jodi kara jay..
Deleteসমীর রায়চৌধুরী একেবারে অন্যরকম লেখা দিয়েছেন এই পোস্টে । এই লোকটি আমাকে অবাক করে দেন । এতগুলো দশক পেরিয়েও উনি নিজেকে কোনো নির্ধারিত অবস্থানে দেখতে চান না । এই লেখা যথারীতি ভাষাকে explore করা হয়েছে । সেই সঙ্গে আশ্চর্য একটা বিদ্রূপ ছুঁইয়ে আছে । এবং ... মানবিকতার বিষন্নতম তলটিও উদ্ভাসিত হল । আমার দারুন লেগেছে ।
ReplyDeleteভাষা থেকে পরিভাষা-দৃশ্যের যেহুতু একটা এক্সপ্রেসিভ উপাদান রয়েছে যেখানে দর্শনেন্দ্রিয়ের একটা সাহজিক ধারনক্ষমতা রয়েছে যা অনেক বেশী স্বননশীল অনেক বেশী দর্শক ওরিয়েন্টেড কিন্তু সাথে সাথেই তার একটা আরব্রিটারি দিকও আছে বা একটা তন্ময় পরীক্ষন, ঠিক যেখানে দাঁড়িয়েই অর্ন্তনিহিত আধার অন্বেষনের কাজ শুরু হয়। সিনে ল্যাঙুয়েজ বলতে যা বোঝানো হয় আসলে তা একটা বৈপরীত্যের জোড়, যেখানে দৃশ্যের আভিধানিক, ক্রমিক দৃশ্যরুপের সাথে সাথে কোথাও অঘোষিত স্নায়ব অনুনাদেরও সংযোগ থাকে।সময়ের সাথে সাথে সিনেমা যেন তার নিজের মধ্যেই ভাষাগত এই ফ্লুয়েন্সিটা রপ্ত করে নেয়............. To treat film as an absolutely non-verbal art is impossible.
ReplyDelete্কবিতাগুলো অসামান্য মনে হল। এত ভালো সব কবিতা পড়ে পুলকিত হলাম। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে কৃষ্ণেন্দুর কবিতা -- জীবন। আহা! এত মিনিংফুল কবিতা চট করে চোখে পড়ে না।
ReplyDeleteইন্দ্রনীলের গদ্যটা আমার আগেই পড়া।বড় ভালো লিখেছে ইন্দ্র।আনি তো রপ্ত করে ফেলেছিঃ "বোকাচোদা--অশিক্ষিত--গান্ডু"।
সিনেমা যখন নাবালক ছিল তখন স্টিল ছবি(চিত্র), জুড়ে সব্যসাচীর কথামত, চলচিত্র বানানো হতো। সাবালক হবার পর সিনেমা নিজের ভাষা তৈরি করলো। তাতে মেশানো হল কবিতা, সঙ্গীত, পেইন্টিং, ভাস্কর্য, নাচ, কোরিওগ্রাফ, আর্কিটেকচার, কোয়ান্টাম মেকানিক্স, পয়েন্টিলিজম, ড্রিম, ইনস্য্যানিটি, বিষয় বা গল্পকে ঘেঁটে দিয়ে তৈরি হল সিনেমা। কবিতা তার নাবালক পদ্যভূমি থেকে কবিতায় উত্তীর্ণ হবার পর কালে কালে সেই সব এলিমেন্টগুলো, যা ওপরে সিনেমা নিয়ে বলেছি, গ্রহণ করেছে। এখন সিনেমা আর কবিতার মধ্যে তাই কোন তারতম্য হয়না ভাষাগত দিক ছাড়া। তাই নয় কি?
বাকি কথা পরে হবে।
বন্ধুরা বাকে একটি নতুন ধরনের যোগাযোগে আগ্রহী ...যেটি আগে ছাপা ক্ষুদ্র পত্রিকায় বহুবার করা হয়েছে...কবি বন্ধুদের কাছে আবেদন আপনারা শিল্পী বন্ধুদের ছটি কবিতা দিন ...আমরা তার মূল আবেগের দৃশ্যরূপ দিতে চাই (অলংকরণ নয়)... প্রমাণ করি আবেগ একই ভাষাটি কেবল আলাদা...
ReplyDeleteদারুণ... এই ধরণের interactive session হলে খুব ভালো হয়। কবিতা থেকে ছবি আবার ছবি থেকে কবিতা দুটোই একসাথে থাকলে কীরকম হয়?
Deleteবাহ! বেশ তো... হতেই পারে... - উদয়ন
Deleteআমি আমার কবিতাটি দিলাম । আমি চাই আপনি আঁকুন ।
ReplyDeleteBah chomotkar byapar , eta besh onyo kaaj hobe. Painting aar kobita niye amra akta boRo kaj kori borong. Amader alochona hok akta , ei niye kichu kaj egok,
Deleteকে বেশ একজন বলেছিলেন, যে কোনও শিল্পচর্চার জন্যই কবিতা সম্পর্কে একটা প্রাথমিক ধারণা থাকা উচিত-- তাহলে বাকি সব শিল্পের ক্ষেত্রেই উপকার হয়। ইদানীং ঠিক এক কথা আমার সিনেমা নিয়ে মনে হয়, কবিতা লেখার আগে অন্তত যে সিনেমাই দেখছি খুব মন দিয়ে observe করা প্রয়োজন, এটা সামগ্রীক একটা development ঘটায় শিল্পবোধের। তাহলে কে কার আগে এলো, সিনেমা না কবিতা?
ReplyDeleteকবিতায় সিনেমা আর সিনেমায় কবিতা আজকের নয়। মিথ্যে কথা বইটা মনে পড়ছে। কি চূড়ান্ত ড্রামা ব্যবহার... সেই ড্রামা কিন্তু যাত্রাপালার নয়, একেবারেই সিনেমার... খুনী ফিরে আসছে, সিগ্রেটের ধোঁয়া জমাট ঘর... গাছে গাছে লাশের মতোই রিসিভার ঝুলছে। আবার পাশাপাশি গিনিপিগ একটি তথ্যচিত্র। Cinematic approach... কিন্তু এবার আসছে documentary-র ঠান্ডা নিস্পৃহ যুক্তিবোধ। যা তৈরি ক'রে দিচ্ছে এক নতুন মাত্রার polemics...
আরও কথা হোক। কথায় কথা বাড়ুক।
ঠান্ডা নিস্পৃহ যুক্তিবোধ ... শুধু কবিতা আর সিনেমার সম্পর্ক কেন ... সামগ্রিক বাংলা কবিতায় তার প্রসার ঘটছে ... কিন্তু এটা কি পরিসরের দাবি , নাকি বিদেশি প্রভাব ?
ReplyDeleteকথা হোক ...
আর্যনীলের কবিতা পড়লাম। এটি সাধারণ কবিতা নয়। একে পরিবিষয়ী কবিতা বলা যাবে। দুঃখের কথা, আর্যনীল নিজে বাক-এর পাতায় কবিতাটি পড়তে পারেনি। নীলাব্জ, তুমি ওকে হেলপ কর। প্রশান্ত কবিতার ওপর কবন্ধ(কবিতা+প্রবন্ধ) লিখেছে যার ভাষাটাও কাব্যিক লাগলো।
ReplyDeleteবিদেশের কথায় মনে পড়ল ... অর্কর অনুবাদ করা হ্যারল্ড পিন্টারকে একটু তাকিয়ে দেখুন । কবিতা এবং গল্পের সীমানা ভেঙ্গে গেছে ... আর ... অনুবাদ বলেই মনে হচ্ছে না ... যেন পিন্টারই অর্ককে অনুবাদ করেছেন কোথাও ...
ReplyDeletekrishnendu-r "!" - ei ekti jotichinhe oneker pata-pata kobita bhese gyalo...
ReplyDeleteEbarer 'Search Korechhen Debanjan' bhalo laglo. Kobitao bhalo laglo praye shob. tobey shobcheye boRo kobita Krishnendu-r 'Jibon'. aytota expanse vaba jayna. Print-e kota potrika eta chhapabey shondeho achey, aar shetai aamar afsosh.
ReplyDeletekrishnendu r lekhata bhalo laglo-- mone porlo corso r "BOMB" lekhatar katha
ReplyDeletejodio corso r kobita sankolone je BOMB lekhata peyechi seta dirgha kobita ar Net e BOMB namer kobitata oi sunno space deoa...
ha souvik da, atai afsosh er print media ekhono a jatio kobitake accept korte parlo na...
খুব ভাল বলেছ রমিত । গ্রেগরি করসোর BOMB আমি অমৃতলোকে অনুবাদ করেছিলাম । সম্পাদক সমীরণ মজুমদার একটা পুরো কবিতার স্পেস ফাঁকা রেখেছিলেন । প্রায় একটি পুরো পাতা ।
ReplyDeleteএকটু interrupt করছি। বিষয়টা আসলে কিছু বুঝতে পারছি না। এই শূন্যস্থানের কবিতাটা কোথায় পাওয়া যায়? যে কবিতাটা পড়েছি সেটা তো শূন্যস্থান নয়, বরং রমিত যে দীর্ঘ লেখাটার কথা বললো, সেটাই। একটা বোম ফাটার ধোঁয়ার shape-এ সাজানো। কোনও টেকনিকাল গন্ডোগোলের জন্য এই শূন্যস্থান নয় তো? জানি না। একটু আলোকপাত করুক কেউ।
Deletehttp://www.litkicks.com/Texts/Bomb.html
"...
"Bomb" (a "concrete poem" formatted in typed paper slips of verse, arranged in the shape of a mushroom cloud..."
[http://en.wikipedia.org/wiki/Gregory_Corso]
SHAMOLKANTI DASER KABITA DARUN LAGLO .
ReplyDeleteamritolok er oi sankhya ta ami porechi anupam--:)
ReplyDeleter indranil jeta bollo ata niye ami bistar khonjakhunji korechilam aksomay
in fact corso r pray somosto kobitai amar kache ache abong duto bhinno boi e BOMB kobitata oi dirgha kobita hisebei ache-- thik jemon indranil bollo BOMB er dhoyar anurupe tar form ta script kora.... abong ota dirgha kabita
ai kebol space deoa BOMB kobitata poemhunter i sudhu peyechi-- onar kabita sangroho ba onno kothao ota payni
poemhunter dekhlaam. khub samvab oTaa technical mistake-er kaaronei hoyechhe. lakkhya kar kobitaar naamTaa obdhi nei.
Deleteসব্বোনাশ ! এ তো গোলমাল করে বসে আছি !
Deleteসমীরণদাকে জানিয়ে দিলাম । অটা সংশোধন করতে হবে । তবে একটা ব্যাপার হল ... ওটা এবার আমার কবিতা । :P আমি 'বম্ব' নামে কোনো কবিতা লিখলে ওই অকথ্য শূন্যতাই দেব ...
ReplyDeleteবোমা
অনুপম মুখোপাধ্যায়
.
Simahin akashe akta uRonto kichu k express korte , drishyo porisorer end e tar obosthan bujhte bishal chart paper majhe pencil diye '.' dile jamon hobe Krishnendu r lekhata serokomi jibon k akta character e tule dhora. Besh.
ReplyDeleteO atokhhon bade bujhlam uporer space ta bomar jonyo rakha. :)
ReplyDeleteকিন্তু এবার তোমার পালা । খুব তো সাউন্ডস্কেপ নিয়ে মেতে আছ ... ধ্বনিগুণ নিয়ে ... একটা কবিতা এখানে পোস্ট করো তো দেখি , যার নাম হবে 'বোমা' ... অপেক্ষায় রইলাম ...
DeleteAmi ki likhi? Achha 2 to line.
Deleteব ও ম-এর গ্যাপে ভ-এ ঠোঁট কাঁপছে
বাবা ও মা-এর মাঝে তেমন ছিলোনা
brilliant !
Deleteবর্গের সঙ্গে আতংককে যুক্ত করা হল । ব ... ব ... ম ... সব আসছে 'প' বর্গ থেকে ... এবং জন্ম-মৃত্যু মিলে গেল ...
ভগ ... ভগবান ... ভগবতী ... ভ-য় ঠোঁট কাঁপানো মুখের কথা নয় ... অন্য কোনো কথা ...
DeleteThank u... :-)
DeleteKrishnendu babur 'jibon' kotha tar uttore '!' chinho ti besh chomokito korlo...sundor sanketik representation..
ReplyDeleteete naki jibon niye lekha pata pata kobita dhope tiklo na..
amar kache prosno toiri holo, tahole kobita ki kichu ekta baro jinis ke sanketik bhabe prokash kora?
'times of india' paper er supplementary te roj erakam ekta kore okkhor thake ba chinho thake ityadi, tar pashe lekha thake decipher the meaning... tar answer o dewa thake o tar byakhya hoy... tahole ki ogulo ekta kore kobita dewa thake roj?
Biliti lokera likhe kiss dite X chinho ti byabohar kore... kiss er hazar ta broader view achhe amader jibone.. onek mane niye biraj kore.. jodi erakam likhi..
KISS
____
X
eta ki kobita hobe?? ba eita
UNIVERSE
--------
ထ
X mark on the spot ... এই স্থলে হত্যা সংঘটিত হইয়াছিল ... চুম্বনের দ্বারা ?
Deleteশরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় লুফে নিতেন 'চিড়িয়াখানা' লেখার সময় এই ধারণা পেলে ...
Sesh kobita(??!!)ti eirakam(universe= infinity),
DeleteUNIVERSE
--------
∞
CRITICISM
Delete_______________
:)
Besh valo hoyeche Bak'er ei sonkhya.pore anondo pelam,samriddho holam.Amar ovinondon grohon korun.
ReplyDeleteএই অংশটা পড়ে রাজর্ষির পাঠবস্তুটার জঁর স্পষ্ট হল। এতকাল বিভিন্ন জঁর তাদের মধ্যেকার জাতিপ্রথা বজায় রেখেছিল । রাজর্ষি সাহিত্য থেকে সেটা একেবারে বিদায় করে দিচ্ছেন। সম্পূর্ণ রচনাটা প্রকাশিত হলে জলবিভাজকটাকে টের পাবো ।
ReplyDeleteঅনুপম
ReplyDeleteআরেকটা কথা লিখব ভেবেছিলুম। তোমার বাক-এ একটা অডিও জানলা খুলতে পারো। বিভিন্ন কবি-লেখকদের কন্ঠস্বর শোনা যাবে । মৃগাঙ্ক জানে টেকনিকটা ।
মৃগাঙ্ক চাইলে সাক্ষাতকার বিভাগে এটা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করতে পারে । কতজন পাঠকের এতে আগ্রহ হবে জানি না মলয়দা । তবে একটা অভিনব উদ্যোগ অবশ্যই হবে ।
Deleteeta korte kichhu technical somosya achhe. audio record system to amar kachhe nei.
Deletehello Sabyasachi, ei sankhyaTaa aamaar kaachhe eto special kore deoaar janya anek dhanyabaad. 'Peet collage-e nilabja' niye eto sundar aalochanaar janya... ---Nilabja
ReplyDeleteaar bisheshh kore dhanyabaad Aryanil daa aar Mesbah Alam Arghya ke. Ei pratham Baak-e onaader lekhaa... DaaruN bhaalo laagchhe. --- Nilabja
ReplyDeleteAryanil mukhopdhayay darun laglo..
ReplyDeleteঋতবীণা পড়লাম। বেশ ঝরঝরে লাগলো। চরিত্রদের বিজড়ণ ছাড়া উপন্যাস কি করে এগোয়, সেটাই দেখার। অর্ক'র গল্পনা ভালো লাগলো। মঞ্জুষ দাশগুপ্ত'র কবিতা আমার স্মৃতির ওপর দিয়ে বয়ে গেল, রমিতকে ধন্যবাদ। তোমার নেয়া কাজল সেনের সাক্ষাতকার খুব ম্যাড়মেড়ে হয়েছে অনুপম। বাক চলুক। আমার শুভেচ্ছা।
ReplyDelete"Ritabinaa" 3 Te part ese gelo... ebaar Rajarshi daar kaachh theke ei sambandhe kichhu jaante ichchhe korchhe... kabir pratham uponyas... se nije jodi ekTu kichhu bole...
ReplyDelete--- Nilabja
হ্যাঁ । এই এপিসোডে রাজর্ষিদার ভাষাটা আরো গতিশীল হয়েছে । গল্প নেই । শুধু ঘটনার আদল দিয়ে ও কোথায় পৌঁছয় ... কৌতুহল তো জেগে আছেই ।
ReplyDeleteঅনুপম,
ReplyDeleteতোমার বাক-৬০ দেখলাম। পরিসরে অনেকটা ছড়িয়ে দিতে পেরেছো দেখে ভালো লাগছে। তোমার প্রচেষ্টা ও শ্রম তুমি রেখেছ যথাস্থানে।
‘বাক’-এ কবিতায় ছবি ও সিনেমার প্রভাব নিয়ে ইদানীং আলোচনা দেখছি, এটা উৎসাহ নিয়ে পড়লাম। কৌরবেরও আগামী কোনও সংখ্যায় এই নিয়ে পরিকল্পনা করা আছে, আর্যনীল জানিয়েছিল। কৌরবে ক্যাম্পের দিনগুলোয় আমরা এইসব বিষয় নিয়ে খুব মনোযোগ দিয়ে কাজ করেছিলাম, ৮০-র দশকের শুরুতে। পেন্টিং, ফটোগ্রাফি এবং সিনেমা, -তিনটে বিষয়েই। ইন্টারনেটহীন সেই যুগে খুব সময় ও শ্রম দিতে হয়েছিলো। এর তথ্যগুলো নিয়ে কখনো আমি বিস্তারিত লিখবো। আমার কিছু কিছু লেখায় যেমন, বন্ধু রুমাল বইয়ে ‘বরাহ’ নামে কবিতার মূল সুত্রে ছিলো একজন বিখ্যাত পেন্টারের আঁকা একটা ইঙ্ক স্কেচ, -সম্ভবত উইলিয়াম হগার্থ। ওই ছবি ছাড়া ওই কবিতাটা আমি লিখতে পারতাম না। ছবিটা খুঁজে পেলে কবিতার পাশাপাশি একসঙ্গে ব্লগে দেব। আর সিনেমার ভাষা নিয়ে, তার জাম্প কাট ও মন্তাজ নিয়েও কাজ আছে কিছু। তখন আইজেনস্টাইন ও আর্থার নাইট প’ড়ে আর ব্যাটলশিপ পটেমকিন দেখে সিনেমায় আমার হাতেখড়ি। - আমার ‘জলের শব্দ ও ধাবমান টাট্টু’ নামের দীর্ঘ কবিতায় (কৌরব-৩৮, ১৯৮৩) সিনেমার কিছুটা সচেতন প্রয়োগ আছে। তিরিশ বছর আগে লেখা ওই কবিতাটা অনেকেই আগে পড়েনি। কমল চক্রবর্তীর দীর্ঘ কবিতাতেও সিনেম্যাটিক কিছুটা আছে। তবে এগুলো গলা বাড়িয়ে বলার কথা নয়, কারণ এগুলো কবিতার ব্যাকগ্রাউন্ডের ব্যাপার; -ইন্সপিরেশান এবং টেকনিক সম্বন্ধীয়। আসল বিচার কবিতাটা। অনেকে মনে করে কবিতায় কোনও অ্যানিমেটেড ছবি থাকলেই সেটা সিনেমার প্রভাব, তা ঠিক নয়। কবিতায় সিনেমাটোগ্রাফির ভাষার প্রয়োগটাই আমি লক্ষ করতে চেয়েছি। -কৌরবের সেই স্বর্ণযুগে অনেক কাজেরই নি:শব্দে সূচনা হয়েছিলো যার প্রভাব ক্রমে ছড়িয়েছে, কিন্তু এখনকার মতো প্রচারের মাধ্যমগুলো তখন ছিলো না। এগুলো তাই তোমার মতো উৎসাহী তরুণ গবেষকদের জন্য লিখলাম।
আমার তো মনে পড়ে যাচ্ছে Musee Des Beaux Arts (W.H. Auden) । ১৯৩৮-এ লেখা হয় যতদূর মনে পড়ছে । অডেন গিয়েছিলেন ব্রুসেলসে । সেখানকার চিত্রশালা ঘুরে দেখেন , এবং BRUGHELS-এর আঁকা ছবি দেখেন । উনি বেঁচে ছিলেন ১৫২০ থেকে ১৫৬৯ অবধি । BRUGHELS-এর আঁকা ছবি Icarus থেকে জন্ম নিল এই কবিতা ...
ReplyDeleteAbout suffering they were never wrong,
The Old Masters: how well they understood
Its human position; how it takes place
While someone else is eating or opening a window or just walking dully along;
How, when the aged are reverently, passionately waiting
For the miraculous birth, there always must be
Children who did not specially want it to happen, skating
On a pond at the edge of the wood:
They never forgot
That even the dreadful martyrdom must run its course
Anyhow in a corner, some untidy spot
Where the dogs go on with their doggy life and the torturer's horse
Scratches its innocent behind on a tree.
In Brueghel's Icarus for instance: how everything turns away
Quite leisurely from the disaster; the ploughman may
Have heard the splash, the forsaken cry,
But for him it was not an important failure; the sun shone
As it had to on the white legs disappearing into the green
Water; and the expensive delicate ship that must have seen
Something amazing, a boy falling out of the sky,
Had somewhere to get to and sailed calmly on.
brughels ... ঠিক লিখলাম কি ? brueghels হবে সম্ভবত ...
Deletebrueghels-এর ওই ছবি ... নীল আকাশ থেকে এক কিশোর খসে পড়ল তার অদ্ভুত দুই ডানা নিয়ে ... সমুদ্রে ... একটা আবছা আওয়াজ বুঝি এল ...
Deleteএকটা জাহাজ নির্বিকার চলে যাচ্ছে ... ওই আশ্চর্য ঘটনায় তার কোনো হেলদোল নেই ...
ক্যানভাসে আঁকা ... কিন্তু ... so cinematic ! ছবি -সিনেমা - কবিতা সব একাকার করে ফেললেন অডেন ।
বলতে পারি না । পথের পাঁচালী sound বন্ধ করে একরকম , with sound আরেকরকম , slow motion-এ আরেকরকম , without sound subtitle থাকলে আরেকরকম । পথের পাঁচালী কালারে হলে কী হত ? চরস ফুঁকে পথের পাঁচালী দেখলে কী হত ?
ReplyDeleteBaritey remotey hatey, single screeney samner seatey, multiplexey costliest seatey ki hoto Pather Panchalir effect. Tai aami ekhonkar Visual Poetry niyeo kichhu likhtey pari na. Aamar anek Europen friend Visulal Poetry likhey tag koren. Comment kortey pari na
ReplyDeleteআমার মন্তব্যের পরেই মলয়দা-র যে মন্তব্য ... বাংলা এবং english-এ ... সেটাও যে দৃশ্যগুণ উপস্থিত করছে , যে ভ্রমাত্মক অবকাশ রাখছে ... তা-ও কি একরকম চলচ্ছবি নয় ?
ReplyDeleteAkta kobita pathok moneo tar jr continuous drishyo uposthapona toiri kore amar mote seta mul duto bishoye nirbhorsil 1. Sei kobita kotota drishyo gune utsarito 2. Pathok mon sekhan theke kotota jarito kore nay. Dutotei kom besi tartomyo thake. Akhon akroikhik uposthaponar khetre se boRoi nirdishto , kobir chalika bhongite pathok chalito(sudhu drishyer kothai bolchi) , bodhe ba orthe sekhane parthokyo aste pare . Kintu je kobita kono porisfuto chitrer jonmo dichhe na sekhane onubhob ki hobe? Ei niye prochur kotha bola jay.
ReplyDeleteAnek khetre nirdishto bhabe na holeo amar biswas protyek kobir lekhay anek somoy ei sob bishoye swabhabik bhabe ese poRe , eta khub boRo bishoy kichu noy. Prochur lekha sudhu painting kano , sudhu cinema kano , sthapotyo theke suru akta che(n)Ra kagoje lekha shobdo thekeo spark pay , prokriti ke sthir ebong cholo duto reference frame e(n)ke kobita toiri kora , sob kobiri swabhabik kormer modhey poRe.
Anek somoy bhije deoale sa(n)t sate daag manush ke bhabay , othoba marble mejhe te joler daag , ebong illusion o anek chitrer jonmo day. je manush je bhabe take dhore.
ReplyDeleteAkhon prokritir modhey , akashe sobsomoy ja hoye choleche akjon kobi take khatay dhorun ,ami take bolbo? Prokritir modhey ghote jaoa cholochhitro theke akta kobita likhlam , ja jantrik movie noy , prakritik movie. Ei diktao amar kache khub boRo mone hoy.
cholochhitro manei je take somoyer nirikhe cinema hote hobe se songya jothartho noy , ami biswas kori aspase ghote jaoa sokol cholochhitroi lekhar utso prerona.
অনুপম, 'Bruegel' হয়তো কারেক্ট স্পেলিং (Landscape with the Fall of Icarus by Pieter Bruegel)। মলয়দার কথাও বুঝলাম। একই জিনিষ (সিনেমা, কবিতা, আর যা যা কিছু) ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে মাধ্যমে ও প্রেক্ষিতে,আলাদা আলাদা আবেদন নিয়ে আসতেই পারে। একটা কবিতা ব্রেলে লিখে একজন অন্ধ মানুষকে পড়ালে তার কি একই অনুভব হবে ? -ভাবা যায় না। তবে রবীন্দ্রগানে বঙ্গ আর স্যাক্সফোন বাজিয়ে আলাদা একটা ভিন্নতা হয়তো কেউ আনতেও পারেন। আমি গদারের ছবির অ্যানালিটিকাল ভার্শানও দেখেছি, তাতে পুরো ছবিটার সাথে সাথে একটা আলাদা ট্র্যাকে তার অ্যানালিটিক কমেন্ট্রি শুনতে পেয়েছি। সেও এক ধরনের অনুভব। তবে 'ভিশ্যুয়াল পোয়েট্রি'র টাইপ সেট দিয়ে বানানো জিনিষটা আমার পছন্দের নয়। ওগুলো পশ্চিমের গিমিক,বহু পুরনো,আজও কেউ কেউ করছে! কেন করছে জানিনা। না জেনেই করছে ? ভিয়েতনামের জঙ্গলে এখনও কোনও আমেরিকান সৈন্য থাকতেই পারে যে জানেনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেমে গেছে। এরকম কবিতাতেও হয়। তবে টু-ডির পরে থ্রি-ডি, এবং তার পরে হলোগ্রাফিকাল এফেক্ট নিয়েও কবিতার ইন্টারেস্টিং ভিশ্যুয়াল কাজ করা যেতে পারে,আমি জানি। এমন তুবড়ি বানানো যেতে পারে যেটা আকাশে শব্দ করে অক্ষরের রঙিন আলোকমালায় কবিতাকে শূন্যে অঙ্কিত করে দেবে কয়েকটা ফ্লীটিং মূহুর্তের জন্যে। সেও একটা ব্যাপার হবে তাহলে। কিন্তু অক্ষরে লেখা আর বাক্য দিয়ে ধরা কবিতার স্বাদই অন্য। - আমি শুরুতে যে কথাটা বলেছিলাম,সেটা কবিতার নির্মাণে সিনেমাটোগ্রাফির ও পেন্টিং-এর প্রভাবের কথা। ডিলান টমাসের 'আন্ডার মিল্কউড' সিনেমা দেখেছিলাম, সেটা ছিলো কবিতা নিয়ে সিনেমা। কবিতা নিয়ে সিনেমা বানানো খুব শক্ত কাজ। বরং কবিতায় সিনেমাভাষার ব্যাপারটা কাজে লাগান যায়,-তবে খুব সতর্কভাবে,জবরদস্তি না করে।
ReplyDeleteখুব সহজ একটা উদাহরণ ... বেশ অতিব্যবহৃত ... চ্যাপলিনের 'city lights' সিনেমার সেই শেষ ফ্রেম ... সেই হাসি ... মুখে হাত চাপা দিয়ে এবং না দিয়ে ... পাশে একটা ফুলকে রেখে ...
ReplyDeleteওটা ব্যঞ্জনার নিরিখে কবিতা ... চ্যাপলিন নিজেও জানতেন কি ওটা অভিনব নয় ... শুধুমাত্র শাশ্বত ...
আর গদার যখন every man for himself সিনেমায় ... যার অন্য নাম slow motion ... নায়িকার বাইসাইকেল চালিয়ে নিসর্গকে পেরিয়ে যেতে থাকাকে slow motion-এ ধরেন ...
কবিতা ... কারন রহস্য এবং ... দর্শনের শেষ ...
আচ্ছা তোমাদের কি মনে হয়? আজ থেকে একশ বছর পরে মানুষ আর শাদা পাতায় কবিতা লিখবে বা পড়বে? আমার তো মনে হয় সে ইলেকট্রনিক স্ক্রিনেই তার যাবত পড়াশোনা চালাবে। প্রিন্টেড ফর্মে এখন যা লেখা হচ্ছে তা সব চলে যাবে মিউজিয়ামে। সিনেমা বলতে তখন 3Dই বুঝবে সবাই। তখন একটা ডিজিটাল স্ক্রিনে লেখা, ছবি, ভিডিও সব মিলেমিশে অন্য এক শিল্প-ধারার জন্ম হতেই পারে। আমার তো মনে হয়, সেটা হওয়াটাই খুব স্বাভাবিক আর লজিক্যাল। এটা কি খুব naive ভাবনা হয়ে যাচ্ছে? আমি এরকমটা ভাবতে কিন্তু বেশ পছন্দ করি।
ReplyDeleteশঙ্করদার কথাটা দারুণ, "কবিতা নিয়ে সিনেমা বানানো খুব শক্ত কাজ। বরং কবিতায় সিনেমাভাষার ব্যাপারটা কাজে লাগান যায়,-তবে খুব সতর্কভাবে,জবরদস্তি না করে।"সিনেমায় কবিতা ঢুকে পড়ছে এরকমটা আমরা দেখেছি, সেটা নতুন কিছু নয়। কিন্তু একটা কবিতাকে যদি আমরা সিনেমা ফর্মে ভাবতে চাই তাহলে কাজটা খুব শক্ত। ভিডিও নয় কিন্তু, সিনেমা। যেখানে দর্শককে অন্তত দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রাখতেই হবে। কাজেই কাহিনী চাই। ন্যারেটিভের কায়দা বদলায় কিন্তু তাকে পরিহার করা যায় না সম্ভবত এইই কারণে। কবিতায় গল্প বলার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। তাই এখনকার কবিতাকে সিনেমায় আনাটা বেশ কঠিন। এক যদি কোন গাথা হয়, যেমন ফাউস্ট বা রামায়ণ বা ত্রিস্তান-জারা।
তবে শঙ্করদা কেন ভিসুয়াল পোয়েট্রিকে পশ্চিমের গিমিক বললেন সেটা বুঝতে পারলাম না। এটা নিয়ে শকরদা আরও কিছু বলুন না? আমরা শুনতে চাই।
নবেন্দু, ভিশুয়াল পোয়েট্রির ইতিহাস সভ্যতার সেই গুহাচিত্রের সময় থেকেই বলা হয়। বহু শতাব্দী ধরে এর বিবর্তন হয়ে এসেছে। শিলালিপি, উডকাট, ক্যানভাস প্রিন্টিং, পেপার প্রিন্টিং, -সব মাধ্যমের মধ্যে দিয়েই সভ্যতার নানান প্রযুক্তি ও ব্যবস্থার সুত্র ধরে তার ক্রমবিকাশের কথা শোনা যায়। মূলত:পশ্চিম ইউরোপের ইটালী, ফ্রান্স,এবং আলাদা ভাবে রাশিয়ায় তার মাতামাতির নমুনা রয়েছে বিংশ শতাব্দীতে। চীন জাপান এবং প্রাচীন ভারতেও সাহিত্য ও চিত্রকলার মিশ্রণে ভিশুয়াল পোয়েট্রির অজস্র উদাহরণ রয়েছে। আছে গত শতাব্দীতে মালার্মে ও আপোলিনীয়ারের ভিশ্যুয়াল কাজের কথা । তবে আমি 'টাইপসেট' ভিত্তিক কাজের কথাই বলেছি। যেটা নিয়ে এক সময় এদেশেও অনেক খেলাধুলো হয়েছে,যেগুলো শেষে চমক হারিয়ে অনাবশ্যক ও মুল্যহীন হয়ে পড়ে। আমার মনে হয় হলোগ্রাফিক্স সহজতর হলে,আবার হয়তো একটা নতুন চেষ্টা হবে। এই বিষয়ের ইতিহাস নিয়ে অনেক লেখা পাবে,তার মধ্যে সংক্ষেপে কার্ল কেম্পটনের ভালো আলোচনা আছে।
ReplyDeleteআসলে কবিতা আর সিনেমার মধ্যে যে সুক্ষতর অর্ন্তবর্তীতা রয়েছে তা একটা অন্বেষন একটা সম্বনয় একটা ট্রান্সিটরি প্রসিড। সিস্টেম অফ গেসচেরাল সাইন বা ওরাল কম্যুউনিকেশনের ওপর জোর দিয়েছিলেন পাসোলিনি। যেখানে , একই শব্দ বা একই lin-sign ভিন্ন ফেসিয়াল এক্সপ্রেশনে ভিন্ন বোধের জন্ম দেয়, ভিন্ন দৃশ্যনান্দনিকতার, এবং ফিল্ম সিকোয়েন্সে এই সিকোয়েন্স অফ লিন-সাইন বা ল্যাংগুয়েজ সাইনের রিকন্সস্ট্রাকশনই লক্ষ্য করা যায়। আলো-ছায়া-ইমেজ বিভিন্ন ফ্লিমিক ক্রুড এলিমেন্ট বা কোডের মাধ্যমে যে ভিজ্যুয়াল কম্যুইনিকেশন গড়ে ওঠে সিনেমার মধ্যে দিয়ে তার মূলে আসলে পোয়েটিক কেওস, কাব্যিক ইন্টেলেকচ্যুয়ালিজম। ছবি নির্মাতার কাছে কোন অভিধান নেই , কেবল সম্ভাবনা আছে , পসিবিলিটিস আছে। যেখানে একজন কবির কাছে একজন সাহিত্যিকের কাছে বিষয়ের অভিধানস্বরুপ রয়েছে তার স্বপ্ন তার স্মৃতি তার পরিবেশ তার গেচচারসের মত একাধিক মরফোলজিকাল সাইন । চলচ্চিত্রকারের গন্তব্য যেন এসমস্ত লিংগ্যুইস্টিক ইনভেনশন থেকে ক্রমাগত আরও এক এ্যাসথেটিক্স ইনভেনশনে যাওয়া। আর ঠিক এ জায়গা থেকেই ইকেনবাম বা মেটসের মত ত্বাত্তিকরা একবাক্যে বলতে পারেন 'film viewing is accompanied by a continual process of internal speech.... To treat film as an absolutely non-verbal art is impossible.তাই কবিতার মধ্যে যে ফ্রি-ইনডাইরেক্ট-পয়েন্ট-অফ-ভিউ থট থাকে তাকে কেন্দ্র করেই বোধহয় সম্পূর্ন গল্প বলা সম্ভবা বলেই মনে হয়, অবশ্যই সেখানে ন্যারেটোলজি থেকে বেরিয়ে এসে অ্যাবস্ট্রাকটিজমই বিন্যাসের আকারগত দ্যোতক হিসেবে প্রাধান্য পায়। তাই পথের পাঁচালীর থেকেও কোথাও বুনুয়েল এর An Andalusian Dog এ চেতনার এই কাব্যিক সিগনিফিকেশানগুলো বেশী করে প্রকট হয়। আমার নিজের মনে হয় চলচ্চিত্রের সম্পূর্ন imaginary signifier ই আদতে একটা পরিপূর্ণ কবিতা....
ReplyDelete“ফিল্মে কে উদ্দিষ্ট চরিত্র, কোথায় সে যাচ্ছে, কাকে ভালোবাসছে অথবা কার কাছে সে বিশ্বাসঘাতক এসব কেবলমাত্র ধ্বনি ও চিত্রকল্পেই আভাসিত হচ্ছে তা নয়, প্লটের দিক থেকেও আলো এসে পড়ছে। আর এভাবেই চলচ্চিত্রে ছড়িয়ে পড়ে কবিতার সৌরভ। চিত্রভাষা আলোচনায় যার জন্য ফিল্মতাত্ত্বিক পিটার ওলেন ও বলেন ‘to uncover the codes exploited in films in producing the sort of poetry that films can produce’…”
১। কল্পনা যে কোনো সর্জনের সারবস্তু । এখানে কোনো হেরফের চলে না । চালাকি চলে না । যার কল্পনা নেই , সে পাথর । তবে কল্পনা পাথরকেও রেহাই দেয় না । by the way ... উদয়শংকরের 'কল্পনা' নামক সিনেমাটি আজ কজন দেখেছেন জানতে সাধ হয় ।
ReplyDelete২। কসমস বলি আর কেওস বলি ... কল্পনা ছাড়া এদের কোনোটিই নেই ।
৩। কবিতায় intellectualism চলে না । ধোপে টেকে না । তবে কবিতার বাইরে ... বাহির কি কিছু আছে আদৌ ...
৪। কবিকে আমি সাহিত্যিক মনে করি না । শিল্পী মনে করি না । সমাজের বাইরে উপযোগিতার বাইরে শিল্প সাহিত্য থাকে না । কবিতার কোনো কেজো উপযোগিতা নেই । কবিতা কাজে লাগে না । আনন্দে লাগে । being and becoming-এ লাগে । doing-এ লাগে না । কবিতা ফাটিয়ে মানুষ মারা যায় না । কবিতা ফুটিয়ে মানুষ বাঁচানো যায় না । কবিতা যখন সমাজের দ্বারা ব্যবহৃত হতে থাকে , গণিকালয় স্ফীত হয় ।
৫। স্মৃতি ... বড়ো বেশি করে সিনেমায় বাঁচতে চায় । সিনেমাকে গড়ে তোলাই হয় স্মৃতিবস্তু হিসেবে । এটাও আমার মত । তাত্ত্বিকরা কী বলবেন জানি না । কবিতায় কাজ করে প্রত্নস্মৃতি । সিনেমা ব্যক্তিস্মৃতিকে প্রাধান্য দেয় । পরিচালকের স্মৃতি ... The Mirror অথবা Nostalghia ... Tarkovosky ... (Nostalghia নিয়ে আমি একটা কবিতা লিখেছিলাম । নামও ওটাই ছিল ... )
৬। ভাষা একটা বাড়ি , যার মধ্যে আমরা বাস করি ... “language is the house we live in;” ... Godard বলেছিলেন ... বড্ড সাহেবি মনে হয় কথাটা ... :P ... আমার তো মনে হয় একজন লোক তার ভাষাটা ছাড়া আর কেউ নয় কিছু নয় ...
৭। আমি কে ? আমি আমার ভাষা । আমার ভাষা দিয়ে আমি আমাকে কল্পনা করি । তুমি তোমার ভাষা দিয়ে আমাকে গড়ো । সেটা আমার আমি নই । সমীর রায়চৌধুরীর কবিতাটি যেমন এই পোস্টে ...
রমিতের মন্তব্য খুব ভাল লাগল । এতগুলো কথা পরপর এসে পড়ল তাই মনে ।
কল্পনা করলাম কি ? may be ...
তবে কবিতার উপযোগিতার প্রশ্নে কেউ যদি ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে নজরুল ইসলামে বা নকশাল মুভমেন্টে সুকান্ত ভট্টাচার্যর কবিতার প্রসঙ্গ তোলেন , তাহলে ভিন্ন আলোচনার অবতারণা করতে হবে ...
ReplyDeleteAnti-War Poetry; protibaad-protirodh-er kobita ; local, national, international sphere-e ghotey jawa rajnoitik-shamajik-awrthonoitik bNak-bodol dhortey chay je kobita ebong jaa hoyto michhiley nemey jaye, jaakey awnek shomoyei 'reportage'-er tokma eNtey dewa hoye...eshob-er 'upjogita' niye ektu kawtha holey bhalo hoy. Ar Anupam 'Gonika-loy sfito' holey aamader khoti-ta koto-ta ?...:)
ReplyDeleteঅনুপম, তোমার ও রমিতের কথাগুলো সুন্দর; তবে তাদের তাত্ত্বিক জটিলতাগুলোর পাশ কাটিয়ে আমার মনে যেটা বেজে উঠলো, সেটা একটা আফসোস। আফসোস এই যে, বুনুয়েলের 'আন্দালুসিয়ান ডগ' ছবিটাতো আজও দেখা হয়নি, রমিত যার উল্লেখ করেছে। এবং 'কল্পনা' ছবিটাও অনেক বছর আগে দেখেছি যা এখন স্মৃতিতে অস্পষ্ট। আর তোমাকে বলি,-এমনিতে আমি পন্ডিতদের থেকে দূরে থাকি,তাতে চিন্তার স্বচ্ছতা বজায় থাকে দেখেছি,এবং তুমিও হয়তো দেখবে অনেক দার্শনিকের বিস্তর আলোচনার পরে যে নিচোড় বেরিয়ে আসে তা দেখে মনে হতেই পারে,ওমা,এটাতো আমি কবেই জেনেছি। জীবনে ফর্মাল শিক্ষার শুধু ওইটুকুই উপযোগী, যা আমাদের নিজে নিজে শেখার ভাবনার উপযোগী করে তোলে। সেভাবে সাহিত্য শিল্প কবিতা সবকিছুরই উপযোগীতা আছে,এবং পাথরেরও আছে । দেখলে আছে,আবার না দেখলে নেই। গদারের 'ভাষা' নিয়ে ওই কথাটা আমারও ভালো লেগেছিল,আমার ব্লগে ওই ছবিটার ক্লিপ আছে । তবে ওটা একটা সরলীকরণ। 'আই থিঙ্ক,সো আই অ্যাম'-না বলে, বলা যেতে পারে 'আই ইম্যাজিন,সো আই অ্যাম'। এবং এই কল্পনার কথাই তো বলছ তুমি। গদারের ওই কথাটা একটা সরলীকরণ, -এইজন্যে যে ভাষা নামক ঘরটায় থাকার জায়গা খুব কম,আমাদের তাতে কুলায় না। আমাদের কল্পনাকে তা আড়াল করে, বিপথে চালিত করে,বেড়ে উঠতে দেয়না । ভাষার উপযোগিতার মধ্যেই নিহিত আছে তার অগাধ লিমিটেশান। এক্সপ্রেশানের চিহ্নভিত্তিক ভাষা দিয়ে চিন্তার বা ইমাজিনেশানের কাজ কত অসহায়ভাবে অসম্পূর্ণ থেকে যায়। -এই বিষয় নিয়েও অনেক কাজ হয়েছে, অনেক বিজ্ঞান-গবেষণা আর অনেক পন্ডিত।
ReplyDeleteসুন্দর বলেছেন । একটা কথা বলি , 'আন্দালুসিয়ান ডগ' কিন্তু খুব সহজেই দেখে নিতে পারেন শংকরদা । ওটা you tube-এ আছে । 15 বা 20 MB মাপের একটা ছোট বায়োস্কোপ ।
Deletedarun bolechen sankar da...pandit der theke dure thakai bhalo...
Deleteদেখো সৌভিক , রাখালিয়া বাঁশি একপ্রকার সঙ্গীত , আবার রণদামামা-ও একপ্রকারের , আবার পুজোর ঢাক আরেকপ্রকার বাদ্যি । সুভাষ , হোসে মার্তি , পাবলো নেরুদা , লোরকাও কবিতা লিখেছেন । তা মানুষের প্রাণকে উদ্দীপিত করে । কিন্তু ব্যবহৃত হয় না । সমবেদনার জন্য হ্যাংলামো করে না । তারা নিজেদের এমন একটা বিশুদ্ধ অবস্থানে রেখে মানুষের দিকে তাকায় , যে মনে হয় তারা মানুষকে নির্বিকার আমন্ত্রন জানাচ্ছে ঠিকই , কিন্তু মানুষকে বাধ্য করছে না বিশেষ একটি অনুভুতিতে আসার জন্য ।
ReplyDelete'দ্যাখো আমি কাঁদতে পারি ...আমার বুকে কত দরদ জমে আছে !' এটা হল ব্যাবহার করে নেওয়া । ধরো আমি লিখলাম ঃ
ওই দেখো ভিখিরী বালক
তাকিয়ে আছে বহুতলের দিকে
কেউ কি ছুঁড়ে দেবে একটা বাসি টুকরো ?
তার পাশে বসি
এসো , তার হাত ধরি আমরা
এসি বা নন এসি রুমে বসে এটাই লিখে কবি ভাবলেন যথেষ্ট সামাজিক কর্তব্য পালন করা হল । কবি হিসেবে তাঁর নির্ঘাত অক্ষয় স্বর্গবাস হবে । অহো ... কী সমাজসচেতন এবং মানবদরদী প্রাণ !
এরকম লেখা বাকের জন্য অনেক আসে । আমি বলছি না অনুভুতিটা বানিয়ে তোলা । সেটা হতে পারে । না-ও পারে । কিন্তু নিজের করুনাকে অনুভুতি হিসেবে ব্যবহার করে একটি টেক্সট লিখতে বসে কবি কি শেষ অবধি কবিতাকেই ব্যবহার করতে চাইলেন না ? যেমন লোকে ঢাকঢোল পিটিয়ে দানধর্ম পালন করে ...
কবিতার কোনো প্রভাব যদি সমাজে পড়তো ... রবীন্দ্রনাথের দেশের মানুষ এই রাজনীতির এবং দুর্নীতির ডাকাতিয়া পরিসরটাকে সহ্য করত কি ? এই দেশে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন , সমাজের দিকে আওুল দেখিয়ে প্রমাণ করতে পারবে ?
মাত্র সত্তর বছর আগে রবীন্দ্রনাথ বেঁচেছেন আমাদের মধ্যে ...
কবিতা লিখেছেন ...
Ami ebyapare tomar sathe ekmot ami chirokali mone korechi je kobir kono day nei... kobitar kono bishoy hoyna...cinemar kintu sedik theke day theke jay.. ekta na ekta jaygay... ei je amra bake kobita likhchi tate amader ki soho monoskota chara r kichu sotyi paoar ache... kobi commerce r lok non..e chara ami mone kori cinemar ekta technical dik ache...sotyi kotha bolte ki kobitar technical dik to neyi uporontu kobita lekhar kono technique ache boleo ami mone korina.. hyan ami sikar korchi je kobitar onek class tlass hoy kintu tate ki sotyi kichu sekha jay.. kobitar ki kono institute ache.. kobita ki sekhar byapar?...
Deleteহ্যাঁ । তবে স্ব-শিক্ষার একটা খেলা তো চলতেই থাকে , তাই না ? বাংলা কবিতা এবং আন্তর্জাতিক কবিতায় কী হয়েছে কী হচ্ছে সেটাও মনের ভিতর ক্রমাগত ফিসফাস কি দেবে না ? বিধিবদ্ধ্ব ছন্দ -অলংকার ... প্রয়োগ করি না করি , জেনে রাখতে হয় । অবশ্য সেটা আমার মত । তুমি আলাদা কিছু ভাবতেই পারো ।
DeleteThis comment has been removed by the author.
Deleteশিক্ষা ... আমার কাছে lesson নয় । শিক্ষা = অধ্যয়ন , আক্কেল , দন্ড , অভিজ্ঞতা । ক্লাসরুমের বাইরে । মাস্টারের ছড়ির আওতার বাইরে । কবির তো মাস্টারমষাই থাকে না , রুটিন থাকে না , মানে বইও থাকে না , ব্ল্যাকবোর্ড বা ছাত্রবন্ধুও না ... তবে কবির গুরু থাকে । সেটা একলব্যের ব্যাপার ।
Deleteপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত 'কবি' ... হে হে ... মিডিয়ায় তো তাঁরাই করে খাচ্ছেন ভাই ...
Ki bhabe deleted holo bujhlam na . jai hok amar proshno ta chilo , swosikhha chaRa keu prokrito sikhhito hote pare na , otai sikhhar ostro. Kintu kobir ki prothagoto prosikhhon sombhob , ei niye brihot orthe alochona , ki bolo Anupam da? Krishnendur proshno ta ekhetre besh alochyo.
DeleteAbar tomar kothay aschi.
Amio tai biswas kori kono purbosurir srishti anek somoy uttorsurir lekhar modhey be(n)che thake. Jug jug dhore anek khetre ta dakhao gache. Sekhane akolobyo r kotha sotyo. Alochona choluk.
DeleteKobita-r kono provaab-i jodi shomajer opor na poRey taholey kono art-form-eri hoyto poRena / poRbena, at least in the longer term. sheta amar kachhey kichhuta durvaggyojonok-i mon-e hoy. Awbosshoi kobita-r hoyto kono shamajik daybodhhota nei, tobu kobita-r macro-level-e konokichu influence korar khomotai nei, eta vaba-ta besh depressing. eta 'awntormukhinota' bonaam 'chitkaar' ei dhoroner debate noye. rono-damama na hoyeo influence korar khomota thaktey paarey, abar hoyto kokhono rono-damamar-o kichhuta proyojon achey. kobita closed-door mombaati hishebey shuru koreo chaitey paarey mombaati-r alo chhoRiye poRuk kichhuta. nirjonota-r modhhye je shwarthoporota ebong ahomika lukiye thaakey taa taake byabohrito hotey badha ditey paarey, kintu byabohrito howa aar byabohar kora-r modhhey akashpaatal tofat achey boley mon-e korina. Kichhu kichhu protibaad-er gaan bhalo kobita, aamra shei gaan niye lafiyeochi / lafai. Diinbodol-er shopno dyakha kobitaa-r awdhikaar-er modhheo poRtey paarey.
ReplyDeleteমূল আলোচনায় আসা যাক ...
ReplyDeleteএকটা কথা বলি ? একটা সিনেমা আমাদের কবিতা লিখতে ট্রিগার করতে পারে । কিন্তু সেই কবিতাটা কবিতাই হবে । তাতে সেই সিনেমার সংকেত থাকতে পারে । কোড থাকতে পারে । কিন্তু কারিগরি কোনো সাদৃশ্য আদৌ সম্ভব বলে তো মনে হয় না । মানে জুম , কাট , ত্রলি , ক্রেন ... এই সব থকতে পারে না ।
সিনেমা কবিকে দিতে পারে experience এবং memory ... কী করে একটা মন্তজ তিনি বানাবেন তার মানস , মেজাজ , ধাত ... এবং উদ্দীপনা । সকলের কথা বলার হক আমার নেই । আমি আমার কবিতায় ওইভাবেই সিনেমাকে দেখতে পাই ।
arey Anupam tomar sarcasm-ta kothay gyalo, maaney comment-ta ?...:)
ReplyDeleteসৌভিক ... সৌভিক ... প্রিয় সৌভিক ... কে আর হৃদয় খুঁড়ে sarcasm জাগাতে ভালোবাসে ... বিশেষ করে তোমার প্রতি ? বাকের জন্মলগ্ন থেকে লিখছ তুমি । বাকের আত্মজন । সঙ্গে থেকো ।
ReplyDelete:)) ta bawtey. jodio hRidoy khnuRey sarcasm jagaley taa teji hoy beshi. Baak-er jonmologno ...kobey thik mon-e poRena..tobey awnek, awnek diin agey mon-e hoy jyano, abohomaan...:)
ReplyDeleteVincent Van Gogh ... একটা ছবি আছে ... তাঁর সবচেয়ে পরিণত কালপর্বের না ... the potato eaters ... আলুখেকোরা ... একটি কৃষক পরিবার রাতের খাবার কাচ্ছে ... শুধু আলু খাচ্ছে ... চরম দারিদ্রে , পরম শান্তিতে এবং পারস্পরিক নির্ভরতায় ... মাথার উপর একটি বাতি ... তার হলুদে ঈশ্বরের রঙ ...
ReplyDeleteএকটি কমব্যসী মেয়ের পিছনে আলো লেগে আছে ... সেই আলো ওই বাতি থেকে আসছে না ... ওই আলোর উৎস ওই বাতি হতেই পারে না ...
তাহলে ওই আলো কথা থেকে এল ?
ওটাও কি ঈশ্বরের থেকে ?
Van Gogh সেটাই হয়তো বলবেন ... বলতে ভালো লাগবে তাঁর ...
কিন্তু আমার কাছে ওটা মানবতার আলো ... যার কোনো নির্ধারিত উৎস নেই । আর ... ওই the potato eaters-কে যদি এইভাবে দেখি ... নিছক দৃশ্যগুণ পেরিয়ে ... তা কবিতা হয় না , তবে কাব্যগুণ লাগে তার গায়ে ... তারপর হয় তার সেই আশ্চর্য রস ... সে ছুটে পেরিয়ে যায় আমাদের হৃদয়ের কালভার্টগুলোকে ...
baak ei issue bhalo legeche ! Shyamalkantir kobitati r ek matra eneche...shyamalke ph korbo...amitava maitra borabor bhalo lekhe...dhonyobaad, ei issuetir jonyo...
ReplyDeleteসিনেমা সোশ্যাল আর্ট , কবিতা একটা মানুষের সাধনা । সিনেমার আয়োজন পাবলিক স্পেসে , কবিতার লক্ষ্য ব্রহ্ম সত্য ... সিনেমার ঝাঁকপ্রাণী মানুষের মায়াজগত ।
ReplyDeleteBah...
Deleteইন্ডাস্ট্রি ... আর কাজের ঘর
ReplyDeleteহেবি হচ্ছে অনুপমদা...
ReplyDelete