স্বাগতম

আসুন আমাদের জগতে ...

38th pOst : it's better to run out than to fade away










16 comments:

  1. অগ্রজদের কবিতা

    এপিটাফ
    ভাস্কর চক্রবর্ত্তী

    ও গাছ গাছের পাতা
    আকাশে নিশ্চুপ যত তারা
    মহাকাশ মহাকাল
    প্রানী যত
    ও জল নদীর জল তোমরা শোনো
    এখানে ছিলাম আমি
    আমার মাথাটা ছিল প্রজাপতি
    হাজার আলোকবর্ষ উড়ে এসে
    শহরের প্রেত আমি শহরে জন্মিয়ে
    শহরেই পচে মরে গেছি।

    ReplyDelete
  2. Jayitar lekha bhalo laglo--tobe aj porshu gatokal oi sabdogulo na dileo bodhhay hoto--kichu sabdo bises kore bhabay--

    indranil er kathyachar-- khub i bhalo laglo--tobe amar thik mone porche na[ bhul o hote pare]- uralpool webzine e sambhabato arakomi kobita porechilam-- jatodur mone hocche indranil er i-- tobe amar ai indranil ghosh ar bakshi ta baro guliye jay [:)] tai mone korte parchi na thik--khub bhalo lekha

    shamik er lekha --adhunikata ke lokkho rekhe --tobe amar nijer mone hay kothao jeno anubhutihin legeche-- kebon sabdoke bosiye bayktobbo ke prokash kara--akantoi bayktigato matamot- abong somiker aro bhalo lekha ai blog ei porechi age[:)]

    subhrangsur ei lekhata amar khub bhalo laglo-- besh akta bunot tan niye dhore rekheche puro lekhatai--

    majul er lekha bhalo laglo- aro natun lekha parar appekkhay roilam.

    ReplyDelete
  3. Palash- jatno kore kando-kando gopon ebar aro aktu jhapte-- darun --khub sundor ---

    anupam er lekhao jatariti bhalo -- anupam er matoi

    asole baak er sabai sabar nij nij lekhay nijossowata rekhe jay protibar-- r protibar ase dekhe jai baaak er agiye jaaoa

    abhabei agiye choluk baak.......[:)]

    ReplyDelete
  4. অগ্রজদের কবিতা

    ধূলো
    অজিত বাইরী

    ধূলো চতুর্দিকে, রাশি রাশি ধূলো;
    ঘরের ভেতরে ধূলো, বাইরে বিশ্বভরা-
    আমাকে নত হতে দাও ঐখানে।

    ঐখানে আমাকে ভরে নিতে দাও মুঠি।
    ঐ ধূলো অশ্রুতে ভিজিয়ে দেব আমি।
    কপালে পরে নেব ধূলোর তিলক।

    ঐ আমার সাড়ে তিন হাত ভূমি;
    যেদিন দরিদ্র ছিল তাচ্ছিল্য করেছি ধূলোকে,
    আজ দারিদ্র নেই, নত হতে দাও আমাকে।

    ReplyDelete
  5. অগ্রজদের কবিতা

    পূর্ণিমার মধ্যে মৃত্যু
    নির্মলেন্দু গুণ

    একদি চাঁদ উঠবে না, সকাল দুপুরগুলো
    মৃতচিহ্নে স্থির হয়ে রবে;
    একদিন অন্ধকার সারা বেলা প্রিয় বন্ধু হবে,
    একদিন সারাদিন সূর্য উঠবে না।

    একদি চুল কাটতে যাব না সেলুনে
    একদিন নিদ্রাহীন চোখে পড়বে ধুলো।
    একদিন কালো চুলগুলো খ'সে যাবে,
    কিছুতেই গন্ধরাজ ফুল ফুটবে না।

    একদিন জনসংখ্যা কম হবে এ শহরে,
    ট্রেনের টিকিট কেটে
    একটি মানুষ কাশবনে গ্রামে ফিরবে না।
    একদিন পরাজিত হবো।

    একদিন কোথাও যাব না, শূন্যস্থানে তুমি
    কিম্বা অন্য কেউ বসে থেকে বাড়াবে বয়স।
    একদিন তোমাকে শাসন করা অসম্ভব ভেবে
    পূর্ণিমার রাত্রে মরে যাব।

    একদিন সারাদিন কোথাও যাব না।

    ReplyDelete
  6. অগ্রজদের কবিতা

    সনেট
    অজিত দত্ত


    এক বার মনে হয়, দূরে---বহু দূরে---শাল, তাল,
    তমাল, হিন্তাল আর পিয়ালের ছায়া-ম্লান দেশে
    প্রেম বুঝি নাহি টুটে, অশ্রু বুঝি কোনোদিন এসে
    আঁখি হ'তে মুছে নাহি নেয় স্বপ্ন | বুঝি এ বিশাল
    ধরণীর কোনো কোণে ফুল ফুটে রয় চিরকাল,
    বসন্ত-সন্ধ্যার মোহ দক্ষিণ বাতাসে আসে ভেসে,
    বুঝি সেথা রজনীর পরিতৃপ্ত প্রেমের আবেশে
    প্রভাত-পদ্মের ভরে কেঁপে ওঠে তারার মৃণাল |

    যদি তাই হয়, তবু সেই দেশে তুমি আর আমি
    বাহুতে জড়ায়ে বাহু নাহি যাবো শান্তির সন্ধানে
    মোদের জানালা-পথে ব'য়ে যাক পৃথিবীর স্রোত |
    সে-স্রোতে কখনো যদি ভেসে আসে নীলাভ শরৎ
    তোমার চোখের কোলে, মেঘ যদি কভু মোহ আনে,
    স-চোখে আমার পানে চেয়ো তুমি অকস্মাৎ থামি' |

    ReplyDelete
  7. অগ্রজদের কবিতা

    টাপোরি
    মলয় রায়চৌধুরী

    আমি যে-কিনা পালটিমারা তিতিরের ছররা-খাওয়া আকাশে
    জলে-ডোবা ফানুসপেট মোষের সিং থেকে জন্মেছিলুম
    অলসচোখ দুপুরে পুঁতি-ঝলমলে নিমগাছটার তলায়
    থাবা তুলতুলে আদর খাচ্ছিলুম ভুরু-ফুরফুরে শ্যামাঙ্গী গৌরীর
    হাতখোঁপায় গোঁজা বৃষ্টির কাছে নতশির স্বর্ণচাঁপার কোলে

    আমি যে-কিনা গ্রীল বসানো সকাল মেঠো দিগন্তে দাঁড়িয়ে
    মাঁড়ানো ঘাসের পদচিহ্ন আঁকা শোকাচ্ছন্ন রোদের সোঁদাভূমিতে
    শেষ গড়াগড়ির বিছানায় কাঠকীটের রাতঘ্যাঙোর শুনেছি
    ভাবছিলুম উদ্দেশ্য প্রণোদিত হলেই খারাপ হতে যাবে কেন রে
    পদ অলঙ্কৃত-করা গতরের ঘামে কি খাটুনির লবণকলা নেই

    আমি যে-কিনা ডাহুককে জিজ্ঞেস করেছি প্রজাপতির ডানায় কি স্বাদ পাস
    কানপটিতে খুরধ্বনি সেঁটে চিপকো খেলার তেজবরে কনের আদলে
    জাহাজ-এড়ানো লাইটহাউসের আলোয় এক করাতদেঁতো হাঙর
    যামিনী রায়ের আঁকা স্তনের কেরাণির সঙ্গে মহাকরণের খাঁচালিফ্ টে
    হেঁকেছিলাম আরোহী-ফেলা পুংঘোড়ার লাগামছেঁড়া হ্রেষা

    আমি যে-কিনা উচ্চিংরেরে স্বরলিপিতে গাওয়া ফুসফাসুরের গানে
    বেড়াজালের হাজার যোনি মেলে ধরে রেখেছি ইল্ শেঝাঁকের বর্ণালী
    স্বদেশি আন্দোলনের লাশঝোলা স্মৃতির গাবগাছের পাশের ঝোপে
    শুয়োপোকায় কুঁড়ে খাওয়া লেবুপাতার পারফিউমড কিনার বরাবর
    পাথরকুচি কারখানা-মালিকের ঘাড়কামানো পাহাড় থেকে উড়ছি

    ReplyDelete
  8. অগ্রজদের কবিতা

    মোমবাতি
    শামীম ফারুক

    পায়ের অনন্ত ইতিহাস
    ঘরের মেঝেটাই জানলো না শুধু,
    তারপর কত নতুন নতুন ভাড়াটে এসে
    অধ্যুষিত করেছে
    মাদুরের নিচে ধূলো হয়ে পড়ে থাকা
    আমারই পায়ের ছাপ।
    চোখের সমস্যা গোছাতে গোছাতে
    জানালাকে গ্রীলের হাত তুলে দিয়ে
    টেবিলের ক্ষীন মোমের মাথায়
    আমি গোলমাল থামাতে গেছি নিজে।

    ReplyDelete
  9. kabita niye katha kam hachhe.athachha ei sankhata satti karer darun sab kabitai varpur

    ReplyDelete
  10. SOUVIK BANDYOPADHYAYSaturday, June 26, 2010

    Khub bhalo post. Bhalo kobitay bhora. Indranil Bakshi, Majul Hassan, Ramit, Palash, Anupam bhalo laglo

    ReplyDelete
  11. অগ্রজদের কবিতা

    কথোপকথন-৬
    পূর্নেন্দু পত্রী

    কালকে এলে না, আজ চলে গেল দিন
    এখন মেঘলা, বৃষ্টি অনতিদূরে।
    ভয়াল বৃষ্টি, কলকাতা ডুবে যাবে।
    এখনও কি তুমি খুঁজছো নেলপালিশ?

    শাড়ী পরা ছিল? তাহলে এলেনা কেন?
    জুতো ছেঁড়া ছিল? জুতো ছেঁড়া ছিল নাতো?
    কাজল ছিল না? কি হবে কাজল পরে!
    তোমার চোখের হরিনকে আমি চিনি।

    কালকে এলে না, আজ চলে গেল দিন
    এখন গোধূলি, এখুনি বোরখা পরে
    কলকাতা ডুবে যাবে গাঢ়তর হিমে
    এখনো কি তুমি খুঁজছো সেফটিপিন?

    ReplyDelete
  12. অগ্রজদের কবিতা

    সংঘহীনতার গান
    বারীন ঘোষাল

    হলুদ পাতার কাছে প্রার্থনা
    দুঃখদানি হে বন্ধু
    তোমার কাছে প্রার্থনা
    ভেঙে পড়ার আগে
    হাটে হাটে গুড়িয়ে যাবার আগে
    একটা পুরো চাঁদ গুঁজ়ে দিতে দাও গাছতোড়ায়
    জতুমায়া দাও, পয়োধর, যদি দাও তোমার চশমা
    আর পৈতে খুলে নেবার আগে বনমর্মরে
    পোষা বারুদের ভ্রমে কি গাওয়া গান!
    দিনের পরে মরীচিকাময় আলো করো হলুদ
    আসতে দাও আরো আস্তে হাওয়া
    রাখো চিতার কাছে সহসা এক চৈত্র।
    যে বৌল একটু পরে ভেঙে যাবে
    সবুজ সখ্যতার শেষে, একবার
    বিজন হোক গোপন দুঃখগুলি
    প্রভা-নামক শব্দগুলি ঝরে পড়ুক।

    ReplyDelete
  13. বক
    রঙ্গীত মিত্র

    বালতিতে জল আছে । আমি দূর থেকে বুঝি না
    পোড়া পোড়া গন্ধ আসে
    আমার বাড়ির ও রোল নম্বর আছে
    সল্ট লেকে ঢুকে আমি
    একটা স্টিম ইঞ্জিনের স্বপ্ন দেখি

    ঐ-র উপর দিয়ে বক উড়ে
    যায় ।

    ReplyDelete
  14. অগ্রজদের কবিতা

    ঘণ্টাগুলি
    আলোক সরকার

    কেবল গোলাপ দুটি মনে আছে। আর কোনো ফুল
    মনেই পড়ে না। সেদিন বাগানে
    কতরকমের ফুল ছিল!
    আমি সর্বক্ষন ভাবি নির্নিমেষ। এখন আমার
    বাগানে ফেরার দিন শেষ হয়ে গেছে। এখন আমার
    সারাদিন কেবল ভাবনা।

    শিউলি গাছটা ছল কোনদিকে, ডালিমগাছটা?
    আমি কেন শিউলিফুলের কথা ভাবতে পারি না? আমি কেন
    করবী ফুলের কথা ভাবতে পারি না?

    বাগানে ফেরার দিন শেষ হয়ে গেছে। এখন আমার
    কেবল গোলাপ দুটি- আর কিছু নয়।
    কেবল গোলাপ দুটি আর ম্লান নত ঘণ্টাগুলি।

    ReplyDelete
  15. অগ্রজদের কবিতা

    ওক্লাহোমা
    অমিয় চক্রবর্ত্তী

    সাক্ষাত্ সন্ধান পেয়েছ কি ৩-টে ২৫-শে?
    বিকেলের উইলো বনে রেড্ এরো ট্রেনের হুইসিল
    শব্দ শেষ ছুঁয়ে গাঁথে দূর শূণ্যে দ্রুত ধোঁয়া নীল ;
    মার্কিন ডাঙার বুকে ঝোড়ো অবসান গেলো মিশে ||
    অবসান গেল মিশে ||

    মাথা নাড়ে 'জানি' 'জানি' ক্যাথলিক গির্জাচুড়া স্থির,
    পুরোনো রোদ্দুরে ওড়া কাকের কাকলি পাখা ভিড় ;
    অন্যমনস্ক মস্ত শহরে হঠাত্ কুয়াশায়
    ইস্পাতি রেলের ধারে হুহু শীত-হাওয়া ট'লে যায়||
    শীত হাওয়া ট'লে যায় ||

    হৃত্পিণ্ডে রক্তের ধ্বনিযেখানে মনের শিরা ছিঁড়ে
    যাত্রী চ'লে গেল পথে কোটি ওক্লাহোমা পারে লীন,
    রক্ত ক্রুশে বিদ্ধ ক্ষণে গির্জে জ্বলে রাঙা সে-তিমিরে---
    বিচ্ছেদের কল্পান্তরে প্রশ্ন ফিরে আসে চিরদিন ||
    ফিরে আসে চির দিন ||

    ReplyDelete
  16. অগ্রজদের কবিতা

    ধান
    প্রণব পাল

    মাথার বাইরে এলো রোদ!
    আনবাড়ির দিকে টলে
    দুপেগের পদমর্যাদা।
    পৃথিবীর আনাচে কানাচে
    চাঁদে, জ্যোৎস্নায়
    ডিম পাড়ে রোদশেডিং।

    আন্ডাবাচ্চা কোলে
    অ্যাক্রোব্যাটিক দেখছে একটা যুগ।
    কে কাকে ছুঃমন্তর দিচ্ছে
    আর ট্রাম লাইন জুড়ে
    কবিতা নিভে যাচ্ছে মহাকাশের শেষ সীমানায়

    দুধ ফোটানো মাই সমেত শরীর ঝুঁকে পড়ছে
    আলের বাইরে।
    জামায় জামায় কেমিক্যাল গুঞ্জন।

    সূর্যাস্তের বাজার বসেছে ভোরের জন্মদিনে।
    ধান লজ্জা পাচ্ছে ধানের স্ট্যাচুতে।
    দুধ ফোটানো গান উঠছে তার,
    গোটা শরীর ঝুঁকে পড়ছে নতুনের সন্ধানে।

    ReplyDelete