স্বাগতম

আসুন আমাদের জগতে ...

37tH pOst











16 comments:

  1. aviii..ei kabita ta pratham jakhan suniechili ami kahnika ta dan er ban korechhilam....tui ph e bolecjachhili...ami chup ..chup..

    aj jakhan porchhilam..etogulo adbhut sabdya..etogulo bangla hoye otha ami khub kam dekhhechhi...tor sampurnya ekta natun vasar jolchouki achhe ...

    katadin tor sange dekhya hoi ni..kolkata gelam ..ei prathyam tor sange dekhya holo na...tabu ..tabu..oi je

    vaggis amar phul guloke kau er ator bole dakbe na....

    siggir dekhya habe......

    ReplyDelete
  2. abarer post er Protita lekhai akok bhabe bhalo.

    Indranil er - "gachke tease korche sobuj, amon drisshe- ami rang na likhe kothay jai"- asadharon--

    Jayitar-" drissher prothom parjaye akta setu bajol-chuye thaka nodir komor bandh nite"- bah--

    avishek , shuvronil, manik r hrishikesh er kobitao besh laglo--

    souvik dar kobitay souvik dar chena gandho abar paoa gelo-besh bhalo--

    eki bhabe indranil er gaddo kobitatao indroniler nijjosso style kei aro akbar jhilik diye gelo anubhutir rupalite. khub sundor lekha

    sanghomitrar lekhao bhalo legeche- tobe ager bar er je kobitar part ta deoa hoyechilo setar baki angshotuku mane purota abare parar icche chilo--

    palash er lekha choto abong sundor--

    asole ato bhalo bhalo lekhar sotty seibhabe bhalo kharap assessment hay na sudhu kichu bhalolaga rekhe jaoa jay sangopone--

    blog agiye jak aro

    ReplyDelete
  3. অগ্রজদের কবিতা
    প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার
    মলয় রায়চৌধুরী

    ওঃ মরে যাব মরে যাব মরে যাব
    আমার চামড়ার লহমা জ্বলে যাচ্ছে অকাট্য তুরুপে
    আমি কী কোর্বো কোথায় যাব ওঃ কিছুই ভাল্লাগছে না
    সাহিত্য-ফাহিত্য লাথি মেরে চলে যাব শুভা
    শুভা আমাকে তোমার তর্মুজ-আঙরাখার ভেতরে চলে যেতে দাও
    চুর্মার অন্ধকারে জাফ্রান মশারির আলুলায়িত ছায়ায়
    সমস্ত নোঙর তুলে নেবার পর শেষ নোঙর আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে
    আর আমি পার্ছিনা, অজস্র কাঁচ ভেঙে যাচ্ছে কর্টেক্সে
    আমি যানি শুভা, যোনি মেসে ধরো, শান্তি দাও
    প্রতিটি শিরা অশ্রুস্রোত বয়ে নিয়ে যাচ্ছে হৃদয়াভিগর্ভে
    শাশ্বত অসুস্থতায় পচে যাচ্ছে মগজের সংক্রামক স্ফুলিঙ্গ
    মা, তুমি আমায় কঙ্কালরূপে ভূমিষ্ঠ করলে না কেন ?
    তাহলে আমি দুকোটি আলোকবর্ষ ঈশ্বরের পোঁদে চুমু খেতুম
    কিন্তু কিছুই ভালো লাগে না আমার কিছুই ভালো লাগছে না
    একাধিক চুমো খেলে আমার গা গুলোয়
    ধর্ষণকালে নারীকে ভুলে গিয়ে শিল্পে ফিরে এসেছি কতদিন
    কবিতার আদিত্যবর্ণা মুত্রাশয়ে
    এসব কী হচ্ছে জানি না তবু বুকের মধ্যে ঘটে যাচ্ছে অহরহ
    সব ভেঙে চুরমার করে দেব শালা
    ছিন্নভিন্ন করে দেব তোমাদের পাঁজরাবদ্ধ উত্সব
    শুভাকে হিঁচড়ে উঠিয়ে নিয়ে যাব আমার ক্ষুধায়
    দিতেই হবে শুভাকে
    ওঃ মলয়
    কোল্কাতাকে আর্দ্র ও পিচ্ছিল বরাঙ্গের মিছিল মনে হচ্ছে আজ
    কিন্তু আমাকে নিয়ে কী কোর্বো বুঝতে পার্ছিনা
    P-1

    ReplyDelete
  4. আমার স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে
    আমাকে মৃত্যুর দিকে যেতে দাও একা
    আমাকে ধর্ষণ ও মরে যাওয়া শিখে নিতে হয়নি
    প্রস্রাবের পর শেষ ফোঁটা ঝাড়ার দায়িত্ব আমায় শিখতে হয়নি
    অন্ধকারে শুভার পাশে গিয়ে শুয়ে পড়া শিখতে হয়নি
    শিখতে হয়নি নন্দিতার বুকের ওপর শুয়ে ফরাসি চামড়ার ব্যবহার
    অথচ আমি চেয়েছিলুম আলেয়ার নতুন জবার মতো যোনির সুস্থতা
    যোনিকেশরে কাঁচের টুকরোর মতো ঘামের সুস্থতা
    আজ আমি মগজের শরণাপন্ন বিপর্যয়ের দিকে চলে এলুম
    আমি বুঝতে পার্ছিনা কী জন্য আমি বেঁচে থাকতে চাইছি
    আমার পূর্বপুরুষ লম্পট সাবর্ণ চৌধুরীদের কথা আমি ভাবছি
    আমাকে নতুন ও ভিন্নতর কিছু কোর্তে হবে
    শুভার স্তনের ত্বকের মতো বিছানায় শেষবার ঘুমোতে দাও আমাকে
    জন্মমুহুর্তের তীব্রচ্ছটা সূর্যজখম মনে পড়ছে
    আমি আমার নিজের মৃত্যু দেখে যেতে চাই
    মলয় রায়চৌধুরীর প্রয়োজন পৃথিবীর ছিল না
    তোমার তীব্র রূপালি য়ুটেরাসে ঘুমোতে দাও কিছুকাল শুভা
    শান্তি দাও, শুভা শান্তি দাও
    তোমার ঋতুস্রাবে ধুয়ে যেতে দাও আমার পাততাড়িত কঙ্কাল
    আমাকে তোমার গর্ভে আমারি শুক্র থেকে জন্ম নিতে দাও
    আমার বাবা-মা অন্য হলেও কি আমি এরকম হতুম ?
    সম্পূর্ণ ভিন্ন এক শুক্র থেকে মলয় ওর্ফে আমি হতে পার্তুম ?
    আমার বাবার অন্য নারীর গর্ভে ঢুকেও কি মলয় হতুম ?
    শুভা না থাকলে আমি কি পেশাদার ভালোলোক হতুম মৃত ভায়ের
    ওঃ বলুক কেউ এসবের জবাবদিহি করুক
    শুভা, ওঃ শুভা
    তোমার সেলোফেন সতিচ্ছদের মধ্যে দিয়ে পৃথিবীটা দেখতে দাও
    পুনরায় সবুজ তোশকের উপর চলে এসো শুভা
    যেমন ক্যাথোড রশ্মিকে তীক্ষ্ণধী চুম্বকের আঁচ মেরে তুলতে হয়
    ১৯৫৬ সালের সেই হেস্তনেস্তকারী চিঠি মনে পড়ছে
    তখন ভাল্লুকের ছাল দিয়ে সাজানো হচ্ছিল তোমার ক্লিটোরিসের আশপাশ
    পাঁজর নিকুচি-করা ঝুরি তখন তোমার স্তনে নামছে
    হুঁশাহুঁশহীন গাফিলতির বর্ত্মে স্ফীত হয়ে উঠছে নির্বোধ আত্মীয়তা
    আ আ আ আ আ আ আ আ আ আঃ
    মরে যাব কিনা বুঝতে পার্ছিনা
    তুল্কালাম হয়ে যাচ্ছে বুকের ভেতরকার সমগ্র অসহায়তায়
    সব কিছু ভেঙে তছনছ করে দিয়ে যাব
    শিল্পের জন্যে সক্কোলকে ভেঙে খান-খান করে দোব
    কবিতার জন্য আত্মহত্যা ছাড়া স্বাভাবিকতা নেই
    P-2

    ReplyDelete
  5. শুভা
    আমাকে তোমরা ল্যাবিয়া ম্যাজোরার স্মরণাতীত অসংযমে প্রবেশ কোর্তে দাও
    দুঃখহীন আয়াসের অসম্ভাব্যতায় যেতে দাও
    বেসামাল হৃদয়বত্তার স্বর্ণসবুজে
    কেন আমি হারিয়ে যাইনি আমার মায়ের যোনিবর্ত্মে
    কেন আমি পিতার আত্মমৈথুনের পর তাঁ পেচেছাপে বয়ে যাইনি
    কেন আমি রজঃস্রাবে মিশে যাইনি শ্লেষ্মায়
    অথচ আমার নিচে চিত আধবোজা অবস্থায়
    আরাম গ্রহণকারিনী শুভাকে দেখে ভীষণ কষ্ট হয়েছে আমার
    এরকম অসহায় চেহারা ফুটিয়েও নারী বিশ্বাসঘাতিনী হয়
    আজ মনে হয় নারী ও শিল্পের মতো বিশ্বাসঘাতিনী কিছু নেই
    এখন আমার হিংস্র হৃৎপিণ্ড অসম্ভব মৃত্যুর দিকে যাচ্ছে
    মাটি ফুঁড়ে জলের ঘূর্ণি আমার গলা ওব্দি উঠে আসছে
    আমি মরে যাব
    ওঃ এ সমস্ত কী ঘটছে আমার মধ্যে
    আমি আমার হাত হাতের চেটো খুঁজে পাচ্ছি না
    পায়জামার শুকিয়ে যাওয়া বীর্য থেকে ডানা মেলছে
    ৩০০০০০ শিশু উড়ে যাচ্ছে শুভার স্তনমণ্ডলীর দিকে
    ঝাঁকে ঝাঁকে ছুঁচ ছুটে যাচ্ছে রক্ত থেকে কবিতায়
    এখন আমার জেদি ঠ্যাঙের চোরাচালান সেঁদোতে চাইছে
    হিপ্নোটিক শব্দরাজ্য থেকে ফাঁসানো মৃত্যুভেদী যৌন-পর্চুলায়
    ঘরের প্রত্যেকটা দেয়ালে মার্মুখী আয়না লাগিয়ে আমি দেখছি
    কয়েকটা ন্যাংটো মলয়কে ছেড়ে দিয়ে তার অপ্রতিষ্ঠ খেয়োখেয়ি

    ReplyDelete
  6. anupam MukhopadhyaySaturday, June 12, 2010

    malay roychoudhury-r ekti saxatkaar niechhi somproti . kabisammelan potrika-e jawma diechhi . hoeto pujo sankhya-e berobe .

    dekhaa jaak paathok ki bolen .

    ReplyDelete
  7. anupam MukhopadhyaySaturday, June 12, 2010

    মলয় রায়চৌধুরী ১৯৬১ সালে দাদা সমীর রায়চৌধুরী, শক্তি চট্টোপাধ্যায় এবং হারাধন ধাড়ার (দেবী রায় ) সঙ্গে হাংরি আন্দোলন আরম্ভ করে আবির্ভাবেই সাড়া ফেলে দেন । তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতায় প্রায় চল্লিশজন কবি, লেখক ও চিত্রশিল্পী এই আন্দোলনে যোগ দেন, যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বিনয় মযুমদার, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, উৎপলকুমার বসু, সুবিমল বসাক, বাসুদেব দাশগুপ্ত, ফালগুনী রায়, অনিল করঞ্জাই, রবীন্দ্র গুহ প্রমুখ । এই আন্দোলনের মুখপত্র হিসাবে এক পাতার বুলেটিন প্রকাশ করা হতো । ১০৮টি বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছিল, যার মাত্র কয়েকটি 'লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি' এবং ঢাকা বাংলা একাডেমিতে সংরক্ষণ করা গেছে । ১৯৬৫ পর্যন্ত এই আন্দোলন পুরোদমে চলেছিল; বিখ্যাত হাংরি মকদ্দমার পর তা ভেঙে যায় ।

    ১৯৬৪ সালে হাংরি বুলেটিনে প্রকাশিত 'প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার' কবিতাটির জন্য মলয় অশ্লীলতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন এবং ৩৫ মাসব্যাপী কোর্ট কেস চলে । কলকাতার নিম্ন আদালতে সাজা ঘোষণা হলেও, ১৯৬৭ সালে উচ্চ আদালতে অভিযোগমুক্ত হন । মলায়ের পক্ষে সাক্ষী ছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, তরুন সান্যাল, জ্যোতির্ময় দত্ত এবং সত্রাজিত দত্ত । মলয়ের বিরুদ্ধে সাক্ষী ছিলেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়, শৈলেশ্বর ঘোষ, সুভাষ ঘোষ, পবিত্র বল্লভ, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় এবং উৎপলকুমার বসু । মকদ্দমা চলাকালীন মলয়ের খ্যাতি আমেরিকা ও ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে, এবং বিভিন্ন ভাষায় এই কবিতাটি অনুদিত হয় । ৪৫ বছর পরও কবিতাটি নিয়ে বিতর্ক কবিতাটিকে জীবন্ত রেখেছে, এবং এম ফিল ও পি এইচ ডি গবেষণার বিষয়বস্তু হয়েছে । গবেষণা করেছেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যাপক কুমারবিষ্ণু দে ও রবীন্দ্রভারতী থেকে অধ্যাপিকা স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায় । ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত 'Modern And Postmodern Poetry Of The Millenium' সংকলনে দক্ষিণ এশিয়া থেকে অন্তর্ভূক্ত এইটিই একমাত্র কবিতা বলে ভূমিকায় জানিয়েছেন সম্পাদক জেরোম রোদেনবার্গ।

    মলয় রায়চৌধুরীর প্রথম কাব্যগ্রন্হ শয়তানের মুখ ১৯৬৩ সালে কৃত্তিবাস প্রকাশনী ধেকে প্রকাশিত হয়েছিল । পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণে গ্রন্হটিকে একটি জলবিভাজক বলে মনে করা হয় । মলয় তাঁর প্রতিটি কাব্যগ্রন্হে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন এবং একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারার কবিতার জনকরূপে বাংলা সাহিত্যে একটি বিশেষ স্হান করে নিয়েছেন । তাঁর কবিতা বাংলাসাহিত্যের সনাতন ঐতিহ্যকে, নিয়মানুবর্তিতাকে, আমূল নাড়া দিয়েছিল । কবিতার ভাষায়, ছন্দে, অলংকারে, চিত্রকল্পে তুমূল ভাংচুর পাঠকের অভ্যস্ত চোখ ও কানকে বিব্রত করেছিল । যৌনতার সংগে তিনি এনেছিলেন ব্যঙ্গ, আত্মপরিহাস ও অসহায় মানুষের নিষগফলতার যন্ত্রণা । উপন্যাস ও ছোটগল্পে তিনি নিজস্ব গদ্য সৃষ্টি করেছেন, এবং তাঁর প্রবন্ধকে আপোষহীন বলে মনে করা হয় । তাঁর নাটক তিনটিকে বলা হয়েছে উত্তরাধুনিক, যদিও সেগুলি হাংরি আন্দোলন-এর সময়ে লেখা । তাঁর প্রবন্ধ ও পোলেমিক্সগুলি থেকে স্পষ্ট হয় কেন তাঁকে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার জনক বলা হয় । মলব যাঁদের কাজ অনুবাদ করেছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন উইলিয়াম ব্লেক, জাঁ ককতো, সালভাদোর দালি, পল গঁগা, ব্লাইজি সঁদরা, ত্রিস্তান জারা, অ্যালেন গিন্সবার্গ, লরেন্স ফেরলিংঘেট্টি, পাবলো নেরুদা এবং ফেদেরিকো গারথিয়া লোরকা ।

    ReplyDelete
  8. anupam MukhopadhyaySaturday, June 12, 2010

    ebaar nijeder kobita nie katha bolaa jaak .

    ReplyDelete
  9. অগ্রজদের কবিতা

    ধুয়ে দিই
    বিনয় মজুমদার

    সম্মত জলের কাছে বসে বসে তারপর চলে গেল একটি কবিতা
    সেই হেতু লতা বাড়ে পুষ্পে পল্লবে স্নিগ্ধ, কবিতার পদাঙ্ক আকার
    লতাটির পাতাগুলি; বালি তাও ফোটে যায় আরো ছোট বালুকনা হয়
    সাগর সৈকতে, আহা, জলের নিকটে থেকে। ফলে অসদ্ভাব হয়
    জলে ও বালুতে।
    কাব্যের ক্ষমতা এত, মর্মরমূর্তিটি জানে, এক্ষেত্রে কবিতা নদী হয়।
    তবু পাথরের পায়ে হৃদয় দিয়েছে যারা প্রস্তরে রুপান্তরিত তারাই করেছে
    কবিতাকে ধীরে ধীরে( মাঝে মাঝে পরস্পর দেখাশোনা হয় বলে
    এ প্রকার হয়)
    যেন শত শতাব্দী সে মৃত্তিকার নীচে ছিল সব গুনাবলীসহ প্রেমিকসমূহ
    সঙ্গে নিয়ে, তার মানে বায়ুই মৃত্তিকা আজ তার কাছে, এ প্রকার হয়।
    আমার নিকটে এসো- জল কবিতাকে ডাকে-ধুয়ে দিই সকল কালিমা।

    ReplyDelete
  10. মলয় রায়চৌধুরীর কবিতা 'ঘুণপোকার সিংহাসন'

    ওগো স্তন্যপায়ী ভাষা পিপীলিকাভূক মুখচোরা
    ভূচর খেচর জলচর দাম্পত্যজীবনে তুষ্ট একশিঙা
    নীলগাই বারাশিঙা চোরাকিশোরীর হাতে মূল্যবান প্রাণী
    স্হলে বিচরণকারী উদবিড়াল গন্ধগোকুল বিনোদিনী
    শব্দগহ্বর খেয়ে নোকরশাহির রাজ্য এনেছো এদেশে ।
    ২ ভাদ্র ১৩৯২

    ReplyDelete
  11. Lekhok-ra jokhon pathak hon
    Pakhok-ra jokhon kotha kon
    "Baak-37" tokhon aamader nir-baak kore den.
    Osonkhyo dhonyobad ----

    ReplyDelete
  12. মলয় রায়চৌধুরীর apna k selam ;Kobi Anupam Mukhopadhyay apni sudhu akjn shoktishali lekhok non shudhu..aapni je aapnr projonmo o bangla kobita niye chinta koren...apnr je akta chinta o bhabna aachee...tar porichow ae "baak" ; aami akjn pathok ; aamr khub bhalo legeche...ae blogTi aapnr kobitar moto e bhalo o shikhonio....

    aapnr kachee aamra sobai chiro kritogya thakbo

    mrittika sengupto

    ReplyDelete
  13. অগ্রজদের কবিতা

    আমি চুপ করে থাকলে
    দেবী রায়

    নখ কাটতে গিয়ে আমার আঙ্গুলে ব্লেড গেঁথে যায়
    অনেক দূর ডিপ হয়ে
    আমি অপেক্ষা করি--- রক্তের দেখা নেই
    দারুন ভয় আমাকে চিৎ করে ফ্যালে, আমি ঢোঁক গিলি
    এই ভয় - বিষম অন্তরঙ্গ কোনো মৃত্যুরই সমান অবিশ্বাস্য
    বাস ট্রাম আমার বহু সময় গিলে নেয় কোনো কোনো
    বন্ধুর ফ্ল্যাটে যেতে----
    এক পায়ে খাড়া হয়ে কড়া নাড়ি দরজায় বহুক্ষন এক
    নাগাড়ে
    হাত ভরে যায় ‘বাড়ি নেই’ অপরিচিত----বিদেশী স্বরে
    বলে ওঠে কেউ কেউ
    অথবা সরব হুক খোলার শব্দে দাড়ি কামানোর পর প্রথম
    আয়নায় নিজের মুখ দেখার সমানই আমি
    হুড খোলা কার.............
    ছুটি, রেড রোড ধরে ফাঁকা রাস্তায়
    বন্ধু স্ত্রী বা ঠেসে পরিচিত হতে চায় ফ্যাপাসে হেসে
    দারুন খিদেয় আমি অস্থির হয়ে উঠি---- দারুন খিদেয়
    আমি
    এখন বাস ট্রাম অবধি খেয়ে ফেলতে পারি--- বেথানিয়া
    থেকে---- আসার সময় যীশু অবধি এমনি ক্ষুধার্ত হয়ে
    পড়েছিলো
    আমি চুপ করে থাকলে রাস্তার পাথর অবধি চিৎকার করে
    ওঠে
    মানুষের মুখের দিকে চেয়ে আমি বুঝি নপুংসক হয়ে
    জন্মায়
    কেউ---- মানুষের হাতে----- রাজনৈতিক নপুংসক হয়েছে কেউ
    কবিতাকে ধর্মের সমান দেখতে চেয়ে
    নিজেকে নপুংসক করেছে

    ReplyDelete
  14. অগ্রজদের কবিতা

    বুধুয়ার পাখি
    অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত

    জানো এটা কার বাড়ি? শহুরে বাবুরা ছিল কাল,
    ভীষণ শ্যাওলা এসে আজ তার জানালা দেয়াল
    ঢেকে গেছে, যেন ওর ভয়ানক বেড়ে গেছে দেনা,
    তাই কোনো পাখিও বসে না!
    এর চেয়ে আমাদের কুঁড়েঘর ঢের ভালো, ঢের
    দলে-দলে নীল পাখি নিকোনো নরম উঠোনের
    ধান খায়, ধান খেয়ে যাবে---
    বুধুয়া অবাক হয়ে ভাবে |

    এবার রিখিয়া ছেড়ে বাবুডির মাঠে
    বুধুয়া অবাক হয়ে হাঁটে,
    দেহাতি পথের নাম ভুলে
    হঠাৎ পাহাড়ে উঠে পাহাড়ের মতো মুখ তুলে
    ভাবে : ওটা কার বাড়ি, কার অত নীল,
    আমার ঘরের চেয়ে আরো ভালো, আরো
    নিকোনো উঠোন তার, পাখিবসা বিরাট পাঁচিল!
    ওখানে আমিও যাব, কে আমায় নিয়ে যেতে পারো?

    এইভাবে প্রতিদিন বুধুয়ার ডাকে
    কানায় কানায় আলো পথের কলসে ভরা থাকে,
    ঝাঁকে-ঝাঁকে পাখি আসে, কেউ তার দিদি, কেউ মাসি,
    রুপোলি ডানায় যারা নিয়ে যায় বুধুয়ার হাসি ||

    ReplyDelete
  15. অগ্রজদের কবিতা

    যা নেবে এখনি নাও
    পবিত্র মুখোপাধ্যায়

    যা নেবে, এখনি নাও। নিঃস্ব করো, কিংবা দাও ভরে;
    নেই অফুরন্ত দিন, দিগন্তবিস্তারী পরমায়ু;
    মাঝে মাঝে কেঁপে উঠি দূর থেকে আসা কার স্বরে।
    মূহূর্তে শীতার্ত করে। যদিও চৈত্রের জলবায়ু
    এখন উন্মাদ, রোদে উদভাসিত আমার পৃথিবী;
    কোথাও দৈন্যের ছায়া পড়েনি, শিথিল নয় স্নায়ু
    এখনো; মৃত্যুর কাছে দাঁড়াইনি হয়ে ভিক্ষাজীবী;
    আজো অবসন্নতায় গ্রস্ত হয়নি পরমায়ু

    এসো, যা নেবার নাও; নিঃস্ব করো, কিংবা নাও ভরে।
    নির্ভার, অথবা ভারবহনের যথার্থ পুরুষ
    হতে গিয়ে আজ দেখি- শূণ্যতা জেগেছে চরাচরে;
    পরমান্ন নেই; মাঠে পথে কিছু পড়ে আছে তুষ।
    ‘যদিও এ স্বচ্ছ দিন, রৌদ্রকরোজ্জ্বল, তবু ঝড়
    ওড়াবে তোমার ঘর।‘- বলে ওঠে দৈবী কন্ঠস্বর।

    ReplyDelete
  16. ei porjaye bhalo laglo indranil ghosh, avishek, manik saha, souvik bondhyopadhayaer kobita , aro oneker lekhai bhalo legeche...eguli alada kore bollam.

    ramiter 'agrojoder kobita ' porlam, jothariti bhalo laglo,sudhu ekta onurodh ei ogrojoder , apnara 'onujo' der lekha jothesto monojog die porun, janla khule rekhe ebong bohudin dhore kobita chorchaye gore otha manosik protibondhokotake dure rekhe .mone hoy ekhane ekta ovab roye gyache .

    dhristota marjona korben .

    ReplyDelete