বাক্ বাংলা কবিতার প্রথম ব্লগজিন । বাক্ বাংলা কবিতার মুক্ত অবস্থান । ব্যক্তিগত পছন্দের সীমানা এবং বাজারের বাইরে আকাঙ্ক্ষা ও প্রভার সন্ধান
তার ঘোষিত ব্রত । পাঠ্য ও অপাঠ্যর মধ্যবর্তীটি ছাড়া কোনো ভেদরেখাই
মান্য নয় । কথা বলুন 8436419575 , লেখা পাঠান : anupam_gtl@yahoo.co.in এবং konnagar : ghatal : paschim medinipur 721212, west bengal, India । লেখা পাঠান 'অভ্র'-তে টাইপ করে ওয়ার্ড ফাইলে । পি ডি এফ ফাইল আমন্ত্রিত লেখা ছাড়া গ্রাহ্য হবে না । অনুগ্রহ করে ফেসবুক বা আন্তর্জালে প্রকাশিত লেখা পাঠাবেন না ।
উপরের দুরন্ত সব কবিতা , সব্যসাচী হাজরার কবিতা বিষয়ক গদ্য , সমীর রায়চৌধুরীর বিস্ফোরক সাক্ষাতকার , প্রণব পালের একগুচ্ছ কবিতা এই মাসের কবি হিসেবে , রাণা আলমের গল্পনা নিয়ে এবারের বাক ৬৬ । অরূপ রতন ঘোষের কাব্যগ্রন্থ ‘লং ড্রাইভ’ নিয়ে লিখলেন সাঁঝবাতি ।
বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রমিতের বিভাগে থাকছে কবি মণীন্দ্র গুপ্তের একরাশ কবিতা ।
তার সাথে 'দৃশ্যত' বিভাগের একগুচ্ছ ছবি । ইন্দ্রনীল এবং রাজর্ষির ধারাবাহিক ।
আর ... আর ... আর ... শূন্য দশকের সাতজন কবির কাব্যগ্রন্থ e-book হিসেবে । অনলাইনে কবিতার বই পড়ার একটা সুযোগ করে দিচ্ছে 'বাক' । শুরু হল 'বাক'-এর নতুন বিভাগ 'বইপত্তর' । সম্পাদক ইন্দ্রনীল ঘোষ । ইন্দ্র জানাচ্ছে,’ এককালে ওয়েবম্যাগ করতে গিয়ে অভিযোগ শুনতে হয়েছিল, ইন্টারনেটে পড়ার সময় পাতা ওল্টানোর 'ফিলিং' আসে না। চেষ্টা করেছিলাম, কিছুটা সেভাবেই বইয়ের মতো ডিজাইন করতে। অবাক হয়ে ভাবতাম, বাঃ বেশ তো পাতা ওল্টাচ্ছে, আর ঠিক তখনই নিন্দুকরা তালি মেরে বলতো, "উঁহু ইন্দির... সবই ঠিকাছে তবে সেই ৎ কই? আমাদের ভাঁওতা দিওনি? এ' ওলটানো ঠিক সে ওলটানো নয়..."
আজ, বাক অনলাইন লাইব্রেরির কাজ করতে গিয়ে এই কথাগুলো খুব মনে পড়ছিল, পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে কখন সময় নিজেই উলটে গেছে... স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখলাম, গোটা একটা বই কম্প্যুর মধ্যে -- flipbook... মাউস দিয়ে টেনে টেনে বা ক্লিক ক'রে যেমন ভাবে ইচ্ছে ওলটানো যায়... নিন্দুকেরা আজও বলবেন, "সবই হলো, কিন্তু... বই যদি তবে তার নরম ছোঁয়া কই?"... তাঁদের জন্য সশ্রদ্ধ helpline -- মাউসের পাশে দয়া ক'রে শিউলি ফুল রাখুন :D... ।‘
একটা ব্যাপার খারাপ লাগছে । এবার বেশ কিছু নির্বাচিত কবিতা বাদ দিতে হল । কিছু জনের কাছে কবিতা চেয়ে নিয়েও ৬৬তম পোস্টে রাখতে পারলাম না । পরবর্তী পোস্ট অবধি তুলে রাখা হল তাঁদের লেখা ।
প্রায় সবকটি কবিতাই ভাল লাগলো । বিশেষত নবীন কবিদের লেখা ।বাংলা কবিতার নতুন ধারাটিকে বাঁক এবার আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। শুধু মন্দাক্রান্তা সেনের কবিতাটি অনাবশ্যক দীর্ঘ মনে হয়েছে।
সমীর রায়চৌধুরীর সাক্ষাৎকারটি তাঁর কবিতা ও প্রবন্ধের সমপর্যায়ের ; উচ্চমানের । তাঁর অকপট বক্তব্য পড়ে ভালো লাগল । তাঁর বয়সী সাহিত্যিক বাংলা-বাজারে প্রচুর, কিন্তু তাঁরা পুরস্কারের লোভে সোজাসাপটা বক্তব্য রাখেন না । শঙ্খ ঘোষের নাম তিনি উচ্চারণ করেননি । দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত শঙ্খ ঘোষের প্রবন্ধটি নিঃসন্দেহে একটি ভিমরতি ; তিনি প্রবন্ধটি কেবল সুনীল-কেন্দ্রিক রাখলে তাঁর আত্মসন্মান বজায় থাকত । আমিও মনে করি মন্দাক্রান্তা সেনের কবিতাটি অহেতুক দীর্ঘ ; অতগুলি লাইনের প্রয়োজন ছিল না । আপনাদের ওয়েব-পত্রিকাটি সম্প্রতি আমার গোচরে এসেছে বলে লজ্জিত বোধ করছি । পুরানো ইশ্যুগুলি পড়ে আনন্দ হল । ধন্যবাদান্তে শংকর সেন
সমীর রায়চৌধুরী র সাক্ষাতকারটিকে অনুপম বলেছেন বিস্ফোরক। পাঠক হিসেবে আমার কাছে খুব স্বাভাবিক এবং মার্জিত সাক্ষাৎকার বলে মনে হোল। সুনীল, শৈলেশ্বর এবং ৫০এর একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় কবি সম্পর্কে উনি সত্যটুকু জানালেন। আমরা তো এটাই চেয়েছিলাম।
একটা মৃদু বিস্ফোরণ তো অবশ্যই ... হা হা হা ... এই সাক্ষাতকার নিয়ে গত এক মাস ধরে ওনার সাথে কথা চলেছে । অনেক পরিবর্তনের ইতিহাস আছে এই টেক্সটের । উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে উনি বেশ কিছু অংশ পরে বাদ দিয়েছেন । ৫০-এর প্রধান ও সর্বজনশ্রদ্ধেয় কবির নাম বাদ গেছে শেষ মুহূর্তে । বাদ গেছে তাঁর সম্পর্কে বেশ কিছু উক্তি । সেগুলো থাকলে এটা একটা বোমা হয়ে উঠতে পারত । উনি এবং আমরা সেটা চাইনি ।
সঠিক কাজ হয়েছে । বিস্ফোরণে সবকিছু ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ।এখানে তা হয়নি ।শুধু সত্যের প্রকাশ ঘটেছে। উল্কা,ঋষি সৌরক কে এই উন্মোচনের জন্য অভিনন্দন। আর বাঁক এবার আরও বাঙময় ।
সব্যসাচী হাজরার গদ্য পড়লাম। ওর অকপট কবিতা ভাবনাকে ছুঁতে পারলাম। কবিতার ভাষা সম্পর্কে ওর ভাবনাকে আমার সমর্থন। "আপাত দুর্বোধ্য কবিকে অনেক পরীক্ষা দিতে হয়। " - ওর এই উক্তি আমাকে আনন্দ দিয়েছে।
kabi Samir roychowdhuri-r interview ti porlam. sanger chabiti-te aei bar Samir O Sunil-er sange Kabi Shanti Lahiri uposthit. Sakhahatkar ti chamatkar.. Ak tane porlam.. Ruddhhoswas ..Antorik O antorango Kathopokathan..Dwitio Kisti-teo jano kam theke galo .. sesh holo na aei na thama katha.. Ulka O sourik ke dhnnyobad!
Sakhaatkarti porte porte (O hangri-r Prasongikata-r katha porte porte) hathat-i 1 ti katha mone holo. Baak -er pathakder ke janai..
gato 10/12 din aage aami Ouponyasik , Galpokar Subimal Basak-er barite giyechilam. Bridhho Subimal-er galpo sunlam. Chomke uthlam..Matha nato hoe elo oi Galpoti sune . Akhono aei PATNAI-YA DAWAI.. BANGLA-I uposthit ! Subimal dar pray 70/80 pata-r 1 ti boi hote pare amon akti pandulipi tiri aache, Galper. Kintu prakashak nei, jante parlam.
1 Ti 70/80 Patar Agune galper boi hote pare ... Subimal Basak .. Prakshak nei...
এই বইটি কি আমি প্রকাশ করতে পারি? হুডিনির তাঁবুর পক্ষ থেকে??? আমাকে হেল্প কোরো একটু... যোগাযোগ করিয়ে দিও একটু... আমি রিসেন্টলি সুবিমলের দুরুক্ষী গলি নামে একটি উপন্যাস পড়লাম... এবং অন্যান্য বারের মতই ম্যাড হয়ে গেলাম...
কমেন্ট প'ড়ে দারুণ লাগলো নীলাব্জ। কতটা দারুণ ঠিক বোঝাতে পারবো না। নেশা করার পর সব সময় আরেক নেশারুকেই খুঁজতে থাকে লোকে, না পেলে নিজেকেই অন্য বানাতে হয়, আয়নায় ছবি দেখে দাড়িতে হাম্পিও খেয়েছি এভাবে কতদিন। ঠোঁটকে কনভিন্স করেছি, "আহা... ওটা তো আমার নয় আয়নার দাড়ি"
কিন্তু যেদিন সৌভাগ্যে আরেক নেশা-বিলাস পাই, গেলাসের গায়ে থমকে থাকা আঙুল বলে, "মন চল নিজ নিকেতনে"
সমীর রায়চৌধুরীর কাব্যগ্রন্হ কোথায় পাব ? তাঁকে শঙ্খ ঘোষ-সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সমবয়সী মনে হয় না । উনি কি আপনাদের সবায়ের চেয়ে বয়সে বড়ো ? যাঁদের কবিতা এই পৃষ্ঠায় গত দুই দিন পড়লাম, তাঁদের তুলনায় গভীর । তাঁর সাক্ষাৎকার দুটি পড়ে মনে হল এই বিষয়ে একটি বিস্তারিত সাক্ষাৎকার কোনো লিটল ম্যাগাজিনের পৃষ্ঠায় আমাদের প্রাপ্য । ভালো কাজ করছেন আপনারা ।
সমীর রায়চৌধুরী সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়দের বন্ধু । আবার উনিই সুনীলের প্রথম কাব্যগ্রন্থের প্রকাশক । উনি মলয় রায়চৌধুরীর দাদা । সমীর হাংরি আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন ৬০-এর দশকে । বাংলা কবিতার অধুনান্তিক ধারার অন্যতম দিশারীও উনি । 'হাওয়া ৪৯' পত্রিকার সম্পাদক । কবিতার পাশাপাশি অসামান্য এক গল্পকার এবং প্রবন্ধ রচয়িতা ।
ওঁর কোনো কাব্যগ্রন্থ বাজারে উপলব্ধ বলে মনে হয় না । তবে ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন । ফোন নাম্বার (০৩৩) ২৪১০ ৪৩১৫
আগামী কলকাতা বইমেলায় 'কবিতা ক্যাম্পাস'-এ এবং 'কবিতা ক্যাম্পাস' থেকে প্রকাশিত একটি বইয়ে আমার ১০০টির মতো কবিতা থাকছে । বইটির নাম 'অপূর্বময়ী স্মৃতি বিদ্যালয়' । অপূর্বময়ী আমার ঠাকুমার নাম । উনি সম্পর্কে ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের বোন । এনং তিনি বিশ্বাস করতেন কবিরা মেয়েদের মনের কথা বুঝতে পারে । তাই রবীন্দ্রনাথের বজরা যখন উত্তরপাড়ায আসত , তখন ঠাকুমা আর পাড়ার অন্যান্য যুবতী ঠাকুমারা স্নান করতেন পালকিতে গিয়ে । পালকি ৩ বার চুবিয়ে নিলেই স্নান হয়ে যেত । যাতে কবির মনের দর্পণে তাঁদের সুন্দর মুখ ধরা না পড়ে যায় ।
দৃশ্যত বিভাগটা আগে দেখলাম। অমিত আর সুধীরঞ্জন-এর ড্রইং ভাল লাগলো। তার পর পড়লাম আমার প্রিয় কবি প্রণব পাল-এর কবিতা। নীলাব্জকে ধন্যবাদ প্রণবের অসাধারণ সব নতুন কবিতা সংগ্রহ করার জন্য। আমার মনে পড়ে যাচ্ছে নব্বই দশকে কবিতা ক্যাম্পাসের কবিতার ওয়ার্কশপে তার কবিতার বাঁকবদলের দিনগুলো। প্রণব আজও অননুকরণীয়।
নবেমদু, নীলাব্জদা, সৌরকদা, উদয়নদা - কাকে ছেড়ে কাকে ধরি। প্রত্যেকের কবিতাই সংগ্রহযোগ্য ! নিয়মিত-য় এখনো যাইনি, তার আগেই প্রচুর আগুন ছড়িয়ে নিলাম নিজেকে-র উপর। মন্দাদি-র কবিতা একটি প্রাপ্তি। অস্বীকার্য্য নয়, দীর্ঘদিন পরে তার কবিতায় চোখ পড়ল, যদিও কবি প্রায় নিয়মিত লেখেন। সমীরদা যথারীতি অসাধারণ - এক প্রস্থের লেখা, বহুপ্রস্থের বই ! সবচেয়ে আকর্ষণীয় অবশ্য-ই - বই বিভাগ। হ্যাট্স অফ ইন্দ্রদা। রাত্রে ডেকো না, প্লিজ-এর অপেক্ষায় থাকলাম। এছাড়া আমার আরো একটি আবদার রইল। অরূপ ঘোষের "হাওয়া" যদি ফ্লিপবুক ক'রা যায় ।
তারপর পড়লাম সমীরদার সাক্ষাৎকারটি। ঋষি আর উল্কাকে ধন্যবাদ তারা উত্তেজনার বশে সমীরদার কথাবার্তায় অযথা রঙ লাগায়নি বলে। আমার সংশয় ছিল অনুপমের বিস্ফোরণের ঘোষণায়। সাক্ষাৎকারটি যথেষ্ট মার্জিত ও সংক্ষিপ্ত হয়েছে যা সমীরদার বর্তমান বয়সে সুনীলদার একদা বন্ধু হিসেবে সঠিকভাবে মানায়। হাংরি আন্দোলনের শরিক হিসেবে তদানীন্তন গল্পগুলি তিনি একেবারে ঠিক বলেছেন। শৈলেশ্বর ঘোষের ভুমিকাও ঠিক বলেছেন। হাংরি আন্দোলনের সময়কালে সমাজে সাহিত্যে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের মধ্যে সম্ভাবিত সম্ব্রমহানির চিন্তায় সন্ত্রস্তদের মধ্যে মাননীয় শংখ ঘোষও উদ্বিগ্ন ছিলেন বলে সুনীলদার মৃত্যু পরবর্তী প্রবন্ধে ধান ভাঙতে শিবের গীত গেয়েছিলেন। ঋষি আর উল্কা কমবয়সী হওয়ায় নামটি চেপে গিয়েছিল। তাই না উল্কা ? অনুপম, তোমার বিস্ফোরণ শেষ পর্যন্ত সুন্দর ফানুস হল। বেশ।
সব্যসাচীর গদ্যটি বেশ লাগল। এটি নতুন ভঙ্গীতে লেখা। বলা যায় সব্যসাচী অন সব্যসাচী। কেউ যেন সব্যসাচীর কথা বলছে। তার ভাবনাগুলো, বিস্ময়গুলো, কবিতার পথ বিপথ বিষয়ে, বিজ্ঞান অবিজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন, সন্দেহ, খোঁজ, আবিষ্কার -- এইসব খুব ভাল ভাবে প্রকাশ করেছে সে। অরূপের কবিতার বই নিয়ে সাঁঝবাতি তার মতো করে চমৎকার লিখেছে পাঠম্যানিয়ার পেরিস্কোপে। দেবাঞ্জন সার্চ করছেন-এ ইন্দ্রনীল একটা নতুন চ্যাপটার খুলেছে কবিতার হাইপারলিংক বিষয়ে। লোকটা এখনো পাখী ওড়া নিয়ে বলছে। একঝাঁক পাখি একসাথে উড়ে আকাশের বিভিন্ন লেয়ারে বিভিন্ন পজিশনে থাকে। এবার পাখিকে যদি শব্দদিয়ে রিপ্লেস করা যায় তাহলে তাদের গ্রাফিক্যাল প্রেজেন্টেশন কেমন হবে তার ভার্চুয়াল প্লটিং করলে যে চিত্র ফুটবে সেটা উড়ন্ত পাখিদের মতো সুন্দর কবিতা হবে না কেন ? হতেই পারে। এ নিয়ে গভীর ভাবনা চিন্তার প্রয়োজন আছে আমার মনে হয়। ইন্দ্রনীল কি বলে শোনা যাক।
'সার্চ করছেন, দেবাঞ্জন............' লেখাটার ব্যাপারে আমি একটা তথ্যগত উল্লেখ করছি..................যদিও জানি ইন্দ্রনীল এ তথ্যের কথা জানেন..........Tristan Tzara নামের এক ভদ্রলোক "How to make dadaist poem" প্রবন্ধে প্রায় এই রকম ভাবেই কবিতা লেখার কথা বলেছিলেন..................আমি এর থেকে এই অর্থ করছি না যে এই লেখা মৌলিক নয়........................অন্তত আমার কাছে এ লেখা মৌলিক...............আমি স্রেফ তথ্যের খাতিরেই এটা জানালাম
খুব ভালো লাগল । ধন্যবাদ। এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলার মানুষ খুব কম পাওয়া যায়।
আপনি ঠিকই বলেছেন, Tristan Tzara এই পদ্ধতির কথা বলেন। যা থেকে পরবর্তীকালে William Burroughs-এর কাট আপ মেশিন। এমনকি পুরোপুরি না হলেও Oulipo-ও কিছুটা এই টেকনিকের কাছে ঋনী। এই কাট আপ টেকনিক থেকেই ধীরে ধীরে আসে ম্যাট্রিক্স কবিতার কনসেপ্ট।
১৯৬০-এর পর থেকে নানা তত্বের মাধ্যমে যত বেশি ক'রে মানুষ কম্যুনিকেশনের বিভিন্ন অক্ষ দ্রাঘিমারেখাগুলোকে চিনছিল, ততই সে টের পাচ্ছিল, একদল শব্দের প্রায় যে কোনও arrangement-ই শ্রোতার মাথায় একটা কম্যুনিকেশন তৈরি করতে পারে। Degree of reading difficulty = Degree of freedom বা vice versa। যেহেতু কবিতা অন্যতম ফাইনেস্ট মিডিয়াম, তাই তার কম্যুনিকেশন নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলতে থাকে সবচেয়ে বেশি।
আমার ভাবনাটা একটু আলাদা ছিল। এর আগের সংখ্যায় আরও ডিটেলে বলা আছে... আমি চাইছিলাম, কবির তরফ থেকে কোনও ফিনিশড কবিতাই না যাক, কেন তা নিয়ে অনেক আলোচনা রয়েছে আগের ইস্যুতে, এখানে সেটা রিপিট করলাম না। লক্ষ্য করবেন, লেখাটার শেষ অবধি শব্দগুলো না জুড়ে খোলা ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে পাঠক তাকে জুড়ে নিজের কবিতা তৈরি করেন... এটাই আমার মূল বক্তব্য। কবিতাকে কঙ্ক্রিটাইজড না ক'রে তোলা। ওপেন রাখা। উলিপো বা বারোজ কাট-আপের কাছে এ' ঋণী বইকি? কিন্তু এ' আর তাদের মতো ওই পদ্ধতি দিয়ে তৈরি কবিতা দিতে চাইছে না পাঠককে, বরং খোলা কিছু শব্দ দিয়ে পাঠকের হাতেই পদ্ধতিটা তুলে দিতে চাইছে।
প্রথমেই আমার অজ্ঞতার জন্য ক্ষমা চেয়ে নি। কারণ এই বারেই আমি প্রথম বাক পড়ছি। সময়ে পেলে আগের সংখ্যাগুলো পড়ব।
আপনার ওপেন কবিতার প্রসঙ্গে আমার নিজের একটা আইডিয়ার কথা জানাচ্ছি। আইডিয়াটা হলো- এমন একটা পত্রিকা যেখানে সবাই অন্যের কবিতার ওপরে কলম চালাবে অর্থাৎ একজন একটা কবিতা লিখবে কিন্তু সেটা তার থাকবে না, অন্যের পূর্ণ অধিকার তাকবে সেটার ওপর। কিংবা এমন বই যার কোন সত্ত্ব নেই খালি একটা শর্ত আছে বই এর ভেতরের কবিতার ওপর যা খুশি করতে পারো কিন্তু বইএর নাম বদল করতে পারবে না, বই নিজের নামে বার করতে পারবে কিন্তু নাম বদল নয়।
কয়েক দিন আগে আর্যনীল মুখোপাধ্যায় ও শান্তনু লাহিড়ির একটা কথোপকথন পড়ছিলাম, সেখানে এক জায়গায় আর্যনীল মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন তাঁর মনে হচ্ছে কবিতা আবার সেই পুরাকালের আবৃত্তির যুগে ফিরে যাচ্ছে। আমার মনে আপনার ওপেন কবিতা কবিতাকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে পারবে যেখানে কবিতা একার নয়............... ততক্ষণ এই মহাশূণ্যের যতিহীন কবিতার জন্য, যা অনুপমদার ভাষায় বললে মহাযতির কবিতা তার জন্য রইল অজস্র শুভেচ্ছা। পরিশেষে একটা সন্দেহের প্রশ্ন তুলে এ লেখা শেষ করি। আমার মনে হয় মানুষের জ্ঞানজনিত একটা সংস্কার আছে আর এর জন্য হয়তো ওপেন কবিতা কিছুটা বাধা পাবে। আপনি নিজেও বলেছেন একবার কালপুরুষকে চিনিয়ে দেওয়ার পর আর আপনি অন্য কালপুরুষদের খুঁজে পান নি।
যে সন্দেহের কথা তুমি বলেছ, তা আমারও... এর আগের লেখায় উল্লেখও আছে। মানুষকে তার সংস্কারের বাইরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, তবু চেষ্টাটুকু রেখে যাওয়া, এই আর কি! কেউ কখনও যদি কিছু পায় এখান থেকে... সে বিশ্বাস হারাবো কেন?
সবথেকে মজার ব্যাপার burroughs এর যে কাট আপ থিওরি তা কিন্তু প্রাথমিক ভাবে দৃশ্যভিত্তিক,এবং দৃশ্য থেকেই উৎসারিত; ছবির কোলাজ থেকেই কিন্তু তার কম্পোজিশন; যা শেষ অব্দি শব্দের বিচ্ছিন্ন উপদ্বীপগুলোর এক নবতর প্রমিতি; ছবির ভেতর পিক্সেল্গুলোর স্থানাংক নিয়ে খেলা অনেক আগেই হয়েছিল; আসলে রঙের ভেতরই মিশে যাওয়ার প্রথম পিপাসাগুলো যে রয়েছে,তাই লিংগ্যুয়িস্টকে যদি ডায়নামিক ইমোশনাল পিকচার এ বদল ঘটানো যায় তবেই এই ওপেন এন্ড জার্নিটা আমরা পেয়ে যাব;এই কাট আপ সিস্টেমটার একটা খুব সুন্দর ব্যবহার আছে মিলিটারি সিস্টেমে; random প্রসেসের মাধ্যমে স্ট্রাটেজিকে চেঞ্জ করতে করতে বিপক্ষকে একটা ভুলভুলাইয়ার মধ্যে ফেলে দেওয়া, কবির কৃতিত্বটা সেখানেই যেখানে সে সিঁড়ি না বানিয়েই ছাদ বানিয়ে আসবে—আর রয়ে যাবে ছাদে যাওয়ার একটা অনন্ত আবহাওয়া । আসলে কোথাও প্রায় প্রতিটা কবিতাই এক একটা কাট আপ; burroughs এর অনেক আগেই কিন্তু এলিয়ট wasteland লেখেন যাতেও এই ভিস্যুয়াল কোলাজ রয়ে গেছে, ভিজিট অফ মেমোরিজ রয়ে গেছে—আসলে সন্দীপন যে ফোল্ড ইনের কথা বলল-“একজন একটা কবিতা লিখবে কিন্তু সেটা তার থাকবে না, অন্যের পূর্ণ অধিকার তাকবে সেটার ওপর।“- তাতে একটাই প্রশ্ন থেকে যাবে সেক্ষেত্রে অনুসন্ধানের চরমতম লক্ষ্য বলে তো সেখানে কিছু থাকবেনা অথচ কবির রয়ে যাবে ব্যক্তিগত পিপাসা ক্ষুধা-সেক্ষেত্রে সৃষ্টির সদর্থে কবিতাটির ঘনত্ব কে ঠিক করবে! কবি তো কিছু চায়-গাছের বোঁটায় ফল পাকুক, ভারী ও টনটনে হয়ে উঠুক অচেতন শাঁস; কবিতাতো চলে যাবে মৌলিক বিশুদ্ধতায় পূর্নতাকে অস্বীকার করতে করতে; কবিতা যা অস্বীকার করবে কবি কতটা তাকে স্বীকার করতে পারবে !---
আরে এতো আয়োজন!সাবাশ অনুপম!আর প্রণবের সঙ্কলন,খুব বড় কাজ!দেখলাম ত্রিস্তান জারা বা বারোজকে নিয়ে কবিদের ভাবনাগুলি!বাঃ!!দেখা যাক প্রতীকবাদ যেভাবে ১০০ বছর পরে বাংলা কবিতায় এসেছিলো সে ভাবে কিছু আসে কিনা!পুরানো সেই দিনের কথা...এর বাইরে কত যে বাঁক দেখলাম তরুণ কবিদের কবিতায়,বাক ধন্যবাদ!আরো পড়ি,জানাবো!স্বপন রায়
তোমার দেখাগুলো বরাবরই মূল্যবান... এ'টুকুতে মন ভরে? নিচের থেকে তিন চারটে কমেন্ট বাদে, আর কী কী দেখলে সে সব নিয়েও যদি একটু বলো, বাকের কবিতা বা অন্যান্য বিভাগ...
তুমি জানিয়েছিলে চোখের সমস্যার জন্য গদ্য বিভাগগুলো পড়তে পারো না, এখন কেমন আছো? কখনও সময় পেলে 'সার্চ করছেন দেবাঞ্জন' প'ড়ো, জানিও... যদিও লেখাটা টানা দশমাস চলছে, এখন পড়তে শুরু করলে অনেকটা সময় লাগবে হয়ত, তবু জুনিয়ারদের জন্য ওটুকু সময় তুমি তো বরাবরই দিয়ে এসেছ
আমায় hard copy পাঠিয়ে দে,বড় লেখা এখানে enjoy করতে পারিনা,আমারই দোষ!সব্যসাচীর লেখা আজ পড়লাম আর সমীরদার সাক্ষাতকার,দারুণ!কবিতা নিয়ে এটাই বলার যে কবিতা থেমে নেই,তবে কবিতা শিক্ষা-নিরপেক্ষ হলে অসাধারণ হয়ে ওঠে কারণ নিজেদের শিক্ষার বাইরে যাওয়াই বড় কবিদের কাজ,এই অভাববোধ ত যাওয়ার নয়!স্বপন রায়
রাজর্ষির ঋতবীণা পড়ছিলাম। উপন্যাস না অবন্যাস এটা ? আগেকার তার যা কিছু লেখা তার একযোগ হচ্ছে না। প্রায় ভুলেই গেছি। এখন রাজ-এর লেখার রস একেবারে খাসা, তাৎক্ষনিক, উইটি, পড়তে এত ভাল লাগছিল যে সে কেন শেষ করলো -- মনে হল, এই তো চাই গদ্যকারের কাছে, মজার গড়ে ওঠা। আমার অভিনন্দন।
রানা আলম-এর গল্পনা চমৎকার হয়েছে। গল্প গড়ে উঠতে গিয়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে, প্রসঙ্গ বদলাচ্ছে, সমাজ আর সময়টা বলছে কিন্তু মনে হচ্ছে সে কিছু বলতে চায়নি। অভিনিন্দন, রানা, তোমাকে।
সত্তরের শ্যামল আজো সরল কবিতা লেখে। কখনো তত্ত্ব, ইওরোপ, আন্দোলনে দেখিনি তাকে। সরল কবিতা লেখার কঠিন কাজটি সে অবলীলায় করে আজো। তাই তো "তারা" নামের কবিতা লিখতে পারে সে। প্রশান্ত অনেকদিন পর লিটারালি কবিতা থেকে গল্প আর কথাকে বার করে দিচ্ছে আর ঝকমক করে উঠছে কবিতা। এই বার করাটাও সে দেখিয়ে দিচ্ছে কেমন। বাঃ ! আর রমিত, তোর "মার্জিনের কাকাতুয়া" আমার অসাধারণ লেগেছে। এরকম কবিতা নিশ্চয়ই আরো লিখেছিস বই করবি বলে। আমি একটা বুক করলাম।
বারীন দা, তুমি লেখা পড়লে সবসময়ই ভালো লাগে---ঃ) ভীষন ভালো লাগল আমি খুব চেষ্টা করছি যদি বইমেলার সময় ছুটি পেয়ে একদিন অন্তত যাওয়া যায় তোমার বই আমি ওখানেই দেব কেমন...
কাট আপ কায়দায় লেখা মলয় রায়চৌধুরীর ( হাংরি জেনারেশানের বাবা ) কবিতা 'কল্পক্রম' ওনার 'শয়তানের মুখ' কাব্যগ্রন্হে আছে ; শিলচরের একটি পত্রিকায় কুমারবিষ্ণু দে কৃত সেটির 'বিনির্মাণ' পড়ে জেনেছিলাম কয়েকবছর আগে । বিষ্ণুবাবু, যতদূর জানি, মলয়বাবুর কবিতা নিয়ে পিএচডি করেছেন । বিষ্ণুবাবুর মতে মলয়বাবু কাটআপ কাঁচি চালিয়েছিলেন ব্রায়ান জিসিন নামে কোনো মার্কিন লেখককে অনু(ক)সরণ করে । বিষ্ণুবাবু জানিয়েছেন যে 'শয়তানের মুখ' বইটির প্রকাশক ছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় !!! সমীর রায়চৌধুরীর সাক্ষাৎকার পড়ে মনে হচ্ছে সুনীল নামের মহাশয়ের এক থেকে এগারো পর্যন্ত বেশ কয়েকটা সপ্লিট পারসোনালিটি ছিল । সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়কে আয়ওয়া থেকে উনি যে চিঠিটি লিখেছিলেন তা অতি উপাদেয় । যাঁরা পড়েননি তাঁরা নেট গুগলিয়ে নিতে পারেন । শঙ্খবাবু সম্পর্কে সমীর রায়চৌধুরীর বক্তব্য ইতিহাসের স্বার্থে কী প্রয়োজনীয় নয় ? কার কোন নৌকায় কোন পা কীভাবে রাখা তা জানার ইচ্ছা রয়ে গেল । আরেকটি উল্কাপাতের অপেক্ষায়, আপনাদের গুণগ্রাহী একজন কবিতাকীট
আজ আবার কবিতায়। সাঁঝবাতি ভাল কবিতা লিখেছে। কিন্তু তার নামটি আমার ছদ্মনাম মনে হয়। কবিতাও ছদ্ম না হয়ে যায়, অর্থাৎ প্রতিকবিতা। শঙ্খশুভ্র খুব ভাল কবিতা আমাদের উপহার দিলো। "নদী" -- এই মেটাফরটি পুরো কবিতার কেন্দ্রে আছে, জীবন্ত। বাঃ ! শুভঙ্করের কবিতায় -- দরিয়া তুই আর বিবি নইস -- শুধু কথার কথা নয়। স্বপন রায়ের কবিতা নিয়ে বলার কিছু নেই। ভাবি মা -- এই উক্তি পুরো কবিতাটাকে বিস্ফোরিত করলো, কমপোজিশনকে ছাড়খার করে দিয়েছে। তন্ময় অভাবিত শব্দসজ্জায় কবিতাটিকে পাঠে ভাল লাগিয়েছে, তবে কথার বাইরে বেরোতে পারেনি। অনুপম, তোমার কবিতা আমাকে শান্তি দিলো না। কবিতা নিয়ে আর কিছু বলার নেই। বাক-এর এই বিশাল কর্মকান্ডে পুরো টিমকে আমার অভিনন্দন জানাই। সাবাস।
অনুপম--- আজ আবার বাক-পড়লাম।উড়িব্বাস একদম জমে গেছে।আজ নবেন্দু রমিত সাম্য আর তোমার কবিতা নোতুন ভাবে ভালো লাগলো। আর বুঝতে পারলাম মানুষজন কত কি জানে। আমিও কিছু কিছু জানলাম। এটুকুই একজন মুর্খের লাভ। আর সমীরদার কথাবার্তা ভালোই লাগ্লো।তবে সামনাসামনি আমি যা শুনেছি তার অল্পই আছে হে। ভাল থেক----ধীমান দা
lojjito atodin por baak porar jonye... sei kobe beriyeche...
amar obhyes moto prothomei gopona ta khulechilam... ossadharon golpotir seser ektu age ek jaygay ese thomke gelam... শূন্য দশকের বাংলা কবিতা যে আসলে তিরিশ এর দশকের ইউরোপীয় ধারনার অনুসরণমাত্র, তা ভেবে দুজনেই খুব হাসলাম... ebong tarpor ordhomrito soinikti guli chalacche... eta ekta maratmok imagery... tobe tirish thekeo amar gyanoto ami sunyo te '60 o tar poroborti chayai dekhte pai... jegulo nie ekhane indra da o boleche... burroughs এর কাট আপ থিওরি ebong tar poroborti bibhinnyo joner dharona... purotai amar mone howa... lekhoker keno '30 er onusoron mone holo eta ektu janale bhalo lagbe...
ইন্দ্র দা-র সার্চ এখন যেখানে সেখানে সার্চলাইট পড়াতে হেব্বী লাগল... এই ব্যাপারটা আমাকেও ভাবিয়েছে অনেক... আমি অবশ্য print নিয়ে এরকম কিছু ভাবিনি... মানে প্রিন্ট এ যে এভাবে arbitrary করে দেওয়া যায়... মানে কবি যে স্ট্রাকচারটা তৈরী করেন তার লেখাটিকে আশ্রয় দিতে... সেটাও যে এভাবে ভেঙে ফেলা যায় এইটা দারুন ব্যাপার... কিন্তু... একটা বাজে কিন্তু চাগাড় দিচ্ছে মাথায়... একটা নাম... শ্রুতি আন্দোলনের পরেশ মন্ডল... সেটার সাথে এই কবিতাগুলোর পার্থক্য হল উনি এই arbitrary করেও লেখাটাকে একটা আবছা স্ট্রাকচারে রেখেছিলেন... তাঁর একটি লেখা আমি দেখেছি... সিঁড়ির আকারে... একটি স্পাইরাল... আবার একটি just বৃষ্টির ফোঁটার মত সারা পাতা জুড়ে ছড়ানো... অর্থাৎ arbitrary করা সত্ত্বেও সেখানে পরিচিত একটা স্ট্রাকচার ঠিকই ছিল... অর্থাৎ উনি ওই শব্দগুলো দিয়ে একটি কবিতাই বলেছিলেন... whereas... ইন্দ্রদা বলছে random কবিতার কথা... যতগুলো শব্দ তার permutation combination করে যতগুলো লেখা হয়... আমি এইটা ভেবেছিলাম কম্পিউটারে লেখার ক্ষেত্রে... যেমন একটা উদাহরণ পাওয়া যাবে এখানে... http://fakeplasticsuperhero.wordpress.com/2012/11/12/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%80-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%80-%E0%A6%8F%E0%A6%95/
এই লেখাটির নাম আমি দিয়েছিলাম... স্থায়ী ভাবে অস্থায়ী একটি কবিতা…
উপরের দুরন্ত সব কবিতা , সব্যসাচী হাজরার কবিতা বিষয়ক গদ্য , সমীর রায়চৌধুরীর বিস্ফোরক সাক্ষাতকার , প্রণব পালের একগুচ্ছ কবিতা এই মাসের কবি হিসেবে , রাণা আলমের গল্পনা নিয়ে এবারের বাক ৬৬ । অরূপ রতন ঘোষের কাব্যগ্রন্থ ‘লং ড্রাইভ’ নিয়ে লিখলেন সাঁঝবাতি ।
ReplyDeleteবিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রমিতের বিভাগে থাকছে কবি মণীন্দ্র গুপ্তের একরাশ কবিতা ।
তার সাথে 'দৃশ্যত' বিভাগের একগুচ্ছ ছবি । ইন্দ্রনীল এবং রাজর্ষির ধারাবাহিক ।
আর ... আর ... আর ... শূন্য দশকের সাতজন কবির কাব্যগ্রন্থ e-book হিসেবে । অনলাইনে কবিতার বই পড়ার একটা সুযোগ করে দিচ্ছে 'বাক' । শুরু হল 'বাক'-এর নতুন বিভাগ 'বইপত্তর' । সম্পাদক ইন্দ্রনীল ঘোষ । ইন্দ্র জানাচ্ছে,’ এককালে ওয়েবম্যাগ করতে গিয়ে অভিযোগ শুনতে হয়েছিল, ইন্টারনেটে পড়ার সময় পাতা ওল্টানোর 'ফিলিং' আসে না। চেষ্টা করেছিলাম, কিছুটা সেভাবেই বইয়ের মতো ডিজাইন করতে। অবাক হয়ে ভাবতাম, বাঃ বেশ তো পাতা ওল্টাচ্ছে, আর ঠিক তখনই নিন্দুকরা তালি মেরে বলতো, "উঁহু ইন্দির... সবই ঠিকাছে তবে সেই ৎ কই? আমাদের ভাঁওতা দিওনি? এ' ওলটানো ঠিক সে ওলটানো নয়..."
আজ, বাক অনলাইন লাইব্রেরির কাজ করতে গিয়ে এই কথাগুলো খুব মনে পড়ছিল, পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে কখন সময় নিজেই উলটে গেছে... স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখলাম, গোটা একটা বই কম্প্যুর মধ্যে -- flipbook... মাউস দিয়ে টেনে টেনে বা ক্লিক ক'রে যেমন ভাবে ইচ্ছে ওলটানো যায়...
নিন্দুকেরা আজও বলবেন, "সবই হলো, কিন্তু... বই যদি তবে তার নরম ছোঁয়া কই?"... তাঁদের জন্য সশ্রদ্ধ helpline -- মাউসের পাশে দয়া ক'রে শিউলি ফুল রাখুন :D... ।‘
একটা ব্যাপার খারাপ লাগছে । এবার বেশ কিছু নির্বাচিত কবিতা বাদ দিতে হল । কিছু জনের কাছে কবিতা চেয়ে নিয়েও ৬৬তম পোস্টে রাখতে পারলাম না । পরবর্তী পোস্ট অবধি তুলে রাখা হল তাঁদের লেখা ।
বাক ৬৬ । উল্লাস !!!!!
উরিব্বাস! কী সমাবেশ !!! শীত ভরিয়ে তুলবে যে !!!!
ReplyDeleteআমার একটা ভাল লাগা জড়িয়ে থেকে এই ব্লগকে ঘিরে, প্রত্যাশাটাও অনেক,বেশ লাগ্লো......
ReplyDeleteজিও! কি করেছো!
ReplyDeleteপ্রায় সবকটি কবিতাই ভাল লাগলো । বিশেষত নবীন কবিদের লেখা ।বাংলা কবিতার নতুন ধারাটিকে বাঁক এবার আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। শুধু মন্দাক্রান্তা সেনের কবিতাটি অনাবশ্যক দীর্ঘ মনে হয়েছে।
ReplyDeleteসমীর রায়চৌধুরীর সাক্ষাৎকারটি তাঁর কবিতা ও প্রবন্ধের সমপর্যায়ের ; উচ্চমানের । তাঁর অকপট বক্তব্য পড়ে ভালো লাগল । তাঁর বয়সী সাহিত্যিক বাংলা-বাজারে প্রচুর, কিন্তু তাঁরা পুরস্কারের লোভে সোজাসাপটা বক্তব্য রাখেন না । শঙ্খ ঘোষের নাম তিনি উচ্চারণ করেননি । দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত শঙ্খ ঘোষের প্রবন্ধটি নিঃসন্দেহে একটি ভিমরতি ; তিনি প্রবন্ধটি কেবল সুনীল-কেন্দ্রিক রাখলে তাঁর আত্মসন্মান বজায় থাকত ।
ReplyDeleteআমিও মনে করি মন্দাক্রান্তা সেনের কবিতাটি অহেতুক দীর্ঘ ; অতগুলি লাইনের প্রয়োজন ছিল না ।
আপনাদের ওয়েব-পত্রিকাটি সম্প্রতি আমার গোচরে এসেছে বলে লজ্জিত বোধ করছি । পুরানো ইশ্যুগুলি পড়ে আনন্দ হল ।
ধন্যবাদান্তে
শংকর সেন
সমীর রায়চৌধুরী র সাক্ষাতকারটিকে অনুপম বলেছেন বিস্ফোরক। পাঠক হিসেবে আমার কাছে খুব স্বাভাবিক এবং মার্জিত সাক্ষাৎকার বলে মনে হোল। সুনীল, শৈলেশ্বর এবং ৫০এর একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় কবি সম্পর্কে উনি সত্যটুকু জানালেন। আমরা তো এটাই চেয়েছিলাম।
ReplyDeleteএকটা মৃদু বিস্ফোরণ তো অবশ্যই ... হা হা হা ... এই সাক্ষাতকার নিয়ে গত এক মাস ধরে ওনার সাথে কথা চলেছে । অনেক পরিবর্তনের ইতিহাস আছে এই টেক্সটের । উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে উনি বেশ কিছু অংশ পরে বাদ দিয়েছেন । ৫০-এর প্রধান ও সর্বজনশ্রদ্ধেয় কবির নাম বাদ গেছে শেষ মুহূর্তে । বাদ গেছে তাঁর সম্পর্কে বেশ কিছু উক্তি । সেগুলো থাকলে এটা একটা বোমা হয়ে উঠতে পারত । উনি এবং আমরা সেটা চাইনি ।
Deleteসঠিক কাজ হয়েছে । বিস্ফোরণে সবকিছু ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ।এখানে তা হয়নি ।শুধু সত্যের প্রকাশ ঘটেছে। উল্কা,ঋষি সৌরক কে এই উন্মোচনের জন্য অভিনন্দন। আর বাঁক এবার আরও বাঙময় ।
Deleteeta ekta asadharan kaaj ,, ami khuuub abhibhuto , kobitai mukhyo . seta aamader kachhe pouchhe diye Anupom aamar atmajon hoyechhe..Dishari Mukhopadhyay ...kobita gulo sab kotai asadharan , aar tomake khujchhi ,pete hole kobitai upojukto jayga . ekhane kono shreni bibhader kono proshnoi othe na .Anupomer jonyo anekta bhalobasa pathalam.. aabar Dishari Mukhopadhyay/Kabisava
ReplyDeleteপ্রিয় অনুপম----আগের get-upটা ভাল ছিল--পুরোটা পড়ে জানাচ্ছি----ধীমান দা
ReplyDeleteri porlam sobar age... churanto laglo...mondakranta sener lekha ektu beshi medbohul mone holo... apatoto ei duti lekha porlam... r sabyasachir godyo... or lekha na pore amar upay thakena...:P
ReplyDeleteKrishnendu...
Deleteসব্যসাচী হাজরার গদ্য পড়লাম। ওর অকপট কবিতা ভাবনাকে ছুঁতে পারলাম। কবিতার ভাষা সম্পর্কে ওর ভাবনাকে আমার সমর্থন। "আপাত দুর্বোধ্য কবিকে অনেক পরীক্ষা দিতে হয়। " - ওর এই উক্তি আমাকে আনন্দ দিয়েছে।
ReplyDeleteThank U Prabir da... 13th samna samni alap hobe...
Deletepriyo baak,
ReplyDeleteAei sankhyar kabita gulo porlam.. kato valo kabita .. Nabendu bikash, Rangeet Mitra, Prasanta Guha majumder, Anupam Mukhopadhyay, Sankha Subhra de Biswas, Sanjbati, Swapanda.. kabitai aei seet kamie feli!!
kabi Samir roychowdhuri-r interview ti porlam. sanger chabiti-te aei bar Samir O Sunil-er sange Kabi Shanti Lahiri uposthit. Sakhahatkar ti chamatkar.. Ak tane
porlam.. Ruddhhoswas ..Antorik O antorango Kathopokathan..Dwitio Kisti-teo jano kam theke galo .. sesh holo na aei na thama katha.. Ulka O sourik ke dhnnyobad!
Sakhaatkarti porte porte (O hangri-r Prasongikata-r katha porte porte) hathat-i 1 ti katha mone holo. Baak -er pathakder ke janai..
gato 10/12 din aage aami Ouponyasik , Galpokar Subimal Basak-er barite giyechilam. Bridhho Subimal-er galpo sunlam. Chomke uthlam..Matha nato hoe elo oi Galpoti sune . Akhono aei PATNAI-YA DAWAI.. BANGLA-I uposthit ! Subimal dar pray 70/80 pata-r 1 ti boi hote pare amon akti pandulipi tiri aache, Galper. Kintu prakashak nei, jante parlam.
1 Ti 70/80 Patar Agune galper boi hote pare ... Subimal Basak .. Prakshak nei...
এই বইটি কি আমি প্রকাশ করতে পারি? হুডিনির তাঁবুর পক্ষ থেকে??? আমাকে হেল্প কোরো একটু... যোগাযোগ করিয়ে দিও একটু... আমি রিসেন্টলি সুবিমলের দুরুক্ষী গলি নামে একটি উপন্যাস পড়লাম... এবং অন্যান্য বারের মতই ম্যাড হয়ে গেলাম...
Deleteসোমতীর্থ...
Binito,
ReplyDeleteArupratan Ghosh
valo laglo dada
ReplyDeleteদারুন এ্কটা উপস্থাপনা বাক এর । খুব ভালো লাগল বললেও কম বলা । কী নেই এতে ! এবঙ এত ভিন্নতা ও মাত্রা নিয়ে । কবিতায় হালকা দোলন, গদ্যে দুলুনি বাড়ে, সাক্ষাতকারে হই-রই দুলুনির চলকে পড়া । আমার অজস্র অভিনন্দন অনুপম ও সাথীদের । উমাপদ কর ।।
ReplyDeleteকবিতা গুলো পড়লাম। বাকিটা সময় নিয়ে, রয়ে সয়ে। ভালো লেগেছে। খুব ভালো। শুভেচ্ছা।
ReplyDeleteSundor Uposthapona. Bhalo Laglo. Suveccha Roilo.
ReplyDeleteপ্রিয় ইন্দ্রনীল,
ReplyDeleteআর একটু খেলতে ইচ্ছে হচ্ছে অফিস-সময় চুরি করে ... কি ভালো এবারের 'সার্চ করছেন, দেবাঞ্জন' ... মনে পড়ছে তুমি একদিন রাতে কিছুটা শুনিয়েছিলে ফোনে ফোনে ...
সমস্ত জুন আজ হাত হয়ে যাচ্ছে
কবেকার গঠন নির্মাণ উড়ে
পাশাপাশি পাখি হোলো
পাখি-মাস
দিকে দিকে শহরের চুড়ি
হওয়ার কথা
আমার এই কম্পজিসন-টা খুব একটা ভালো হোলো না। কিন্তু, নেশা হোলো আমার। ভালো থেকো ইন্দ্র। ভালোবাসা জেনো।
নীলাব্জ
কমেন্ট প'ড়ে দারুণ লাগলো নীলাব্জ। কতটা দারুণ ঠিক বোঝাতে পারবো না। নেশা করার পর সব সময় আরেক নেশারুকেই খুঁজতে থাকে লোকে, না পেলে নিজেকেই অন্য বানাতে হয়, আয়নায় ছবি দেখে দাড়িতে হাম্পিও খেয়েছি এভাবে কতদিন। ঠোঁটকে কনভিন্স করেছি, "আহা... ওটা তো আমার নয় আয়নার দাড়ি"
Deleteকিন্তু যেদিন সৌভাগ্যে আরেক নেশা-বিলাস পাই, গেলাসের গায়ে থমকে থাকা আঙুল বলে, "মন চল নিজ নিকেতনে"
তোমার ধারাবাহিকের এটাই শ্রেষ্ঠ পর্ব ইন্দ্র । অবশ্য 'শ্রেষ্ঠ' শব্দটার দিন আর নেই ।
Deleteসমীর রায়চৌধুরীর কাব্যগ্রন্হ কোথায় পাব ? তাঁকে শঙ্খ ঘোষ-সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সমবয়সী মনে হয় না । উনি কি আপনাদের সবায়ের চেয়ে বয়সে বড়ো ? যাঁদের কবিতা এই পৃষ্ঠায় গত দুই দিন পড়লাম, তাঁদের তুলনায় গভীর । তাঁর সাক্ষাৎকার দুটি পড়ে মনে হল এই বিষয়ে একটি বিস্তারিত সাক্ষাৎকার কোনো লিটল ম্যাগাজিনের পৃষ্ঠায় আমাদের প্রাপ্য ।
ReplyDeleteভালো কাজ করছেন আপনারা ।
সমীর রায়চৌধুরী সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়দের বন্ধু । আবার উনিই সুনীলের প্রথম কাব্যগ্রন্থের প্রকাশক ।
Deleteউনি মলয় রায়চৌধুরীর দাদা । সমীর হাংরি আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন ৬০-এর দশকে ।
বাংলা কবিতার অধুনান্তিক ধারার অন্যতম দিশারীও উনি । 'হাওয়া ৪৯' পত্রিকার সম্পাদক ।
কবিতার পাশাপাশি অসামান্য এক গল্পকার এবং প্রবন্ধ রচয়িতা ।
ওঁর কোনো কাব্যগ্রন্থ বাজারে উপলব্ধ বলে মনে হয় না । তবে ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন । ফোন নাম্বার (০৩৩) ২৪১০ ৪৩১৫
ghum ghum powatir pashe pistol o besh khelna,....sabbash swapanda..jio !
Deleteআগামী কলকাতা বইমেলায় 'কবিতা ক্যাম্পাস'-এ এবং 'কবিতা ক্যাম্পাস' থেকে প্রকাশিত একটি বইয়ে আমার ১০০টির মতো কবিতা থাকছে । বইটির নাম 'অপূর্বময়ী স্মৃতি বিদ্যালয়' । অপূর্বময়ী আমার ঠাকুমার নাম । উনি সম্পর্কে ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের বোন । এনং তিনি বিশ্বাস করতেন কবিরা মেয়েদের মনের কথা বুঝতে পারে । তাই রবীন্দ্রনাথের বজরা যখন উত্তরপাড়ায আসত , তখন ঠাকুমা আর পাড়ার অন্যান্য যুবতী ঠাকুমারা স্নান করতেন পালকিতে গিয়ে । পালকি ৩ বার চুবিয়ে নিলেই স্নান হয়ে যেত । যাতে কবির মনের দর্পণে তাঁদের সুন্দর মুখ ধরা না পড়ে যায় ।
Deleteআমার মোবাইল নাম্বার ০৯৮৩৫৫৪৪৬৭৫ । ভালো থাকুন ।
I think this number belongs to Poet Kajal Sen.....isn't it ?
Deleteshyamolkanti parlam..bivinna jaigai guchchho2 shymol parchhi..valo lagchhe..shymolda natunder tapke jachchhen..eta swasthokor r hingshar..pronam shymolda..dinbandhu anekdin mane thakbe..deshlai kathir mato dhikidhki lingo..ahha!
ReplyDeleteআমার বেশ ভালো লাগলো।সবার লেখাই।আর অনেকদিন বাদে আমি বাকে লিখলাম...খুব ভালো লাগলো...
ReplyDeleteরঙ্গীত মিত্র
খুব ভাল আয়োজন করেছো তোমরা, অনুপম।
ReplyDeleteদৃশ্যত বিভাগটা আগে দেখলাম। অমিত আর সুধীরঞ্জন-এর ড্রইং ভাল লাগলো। তার পর পড়লাম আমার প্রিয় কবি প্রণব পাল-এর কবিতা। নীলাব্জকে ধন্যবাদ প্রণবের অসাধারণ সব নতুন কবিতা সংগ্রহ করার জন্য। আমার মনে পড়ে যাচ্ছে নব্বই দশকে কবিতা ক্যাম্পাসের কবিতার ওয়ার্কশপে তার কবিতার বাঁকবদলের দিনগুলো। প্রণব আজও অননুকরণীয়।
ReplyDeleteনবেমদু, নীলাব্জদা, সৌরকদা, উদয়নদা - কাকে ছেড়ে কাকে ধরি। প্রত্যেকের কবিতাই সংগ্রহযোগ্য ! নিয়মিত-য় এখনো যাইনি, তার আগেই প্রচুর আগুন ছড়িয়ে নিলাম নিজেকে-র উপর। মন্দাদি-র কবিতা একটি প্রাপ্তি। অস্বীকার্য্য নয়, দীর্ঘদিন পরে তার কবিতায় চোখ পড়ল, যদিও কবি প্রায় নিয়মিত লেখেন। সমীরদা যথারীতি অসাধারণ - এক প্রস্থের লেখা, বহুপ্রস্থের বই ! সবচেয়ে আকর্ষণীয় অবশ্য-ই - বই বিভাগ। হ্যাট্স অফ ইন্দ্রদা। রাত্রে ডেকো না, প্লিজ-এর অপেক্ষায় থাকলাম। এছাড়া আমার আরো একটি আবদার রইল। অরূপ ঘোষের "হাওয়া" যদি ফ্লিপবুক ক'রা যায় ।
ReplyDeleteতারপর পড়লাম সমীরদার সাক্ষাৎকারটি। ঋষি আর উল্কাকে ধন্যবাদ তারা উত্তেজনার বশে সমীরদার কথাবার্তায় অযথা রঙ লাগায়নি বলে। আমার সংশয় ছিল অনুপমের বিস্ফোরণের ঘোষণায়। সাক্ষাৎকারটি যথেষ্ট মার্জিত ও সংক্ষিপ্ত হয়েছে যা সমীরদার বর্তমান বয়সে সুনীলদার একদা বন্ধু হিসেবে সঠিকভাবে মানায়। হাংরি আন্দোলনের শরিক হিসেবে তদানীন্তন গল্পগুলি তিনি একেবারে ঠিক বলেছেন। শৈলেশ্বর ঘোষের ভুমিকাও ঠিক বলেছেন। হাংরি আন্দোলনের সময়কালে সমাজে সাহিত্যে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের মধ্যে সম্ভাবিত সম্ব্রমহানির চিন্তায় সন্ত্রস্তদের মধ্যে মাননীয় শংখ ঘোষও উদ্বিগ্ন ছিলেন বলে সুনীলদার মৃত্যু পরবর্তী প্রবন্ধে ধান ভাঙতে শিবের গীত গেয়েছিলেন। ঋষি আর উল্কা কমবয়সী হওয়ায় নামটি চেপে গিয়েছিল। তাই না উল্কা ? অনুপম, তোমার বিস্ফোরণ শেষ পর্যন্ত সুন্দর ফানুস হল। বেশ।
ReplyDeleteহা হা হা ... সম্পাদিত ফানুস । বিজ্ঞাপিত নয় ।
Deleteনবেন্দু-র নাম ভুল লিখেছি বলে আরো একটা সুযোগ পাওয়া গেল। মলয়দাকে ওজস্র ধন্যবাদ। মিশরের কবিতা যে কোন কবিতাপাঠকের কাছে বিরাট প্রাপ্তি হতে পারে !
ReplyDeleteসব্যসাচীর গদ্যটি বেশ লাগল। এটি নতুন ভঙ্গীতে লেখা। বলা যায় সব্যসাচী অন সব্যসাচী। কেউ যেন সব্যসাচীর কথা বলছে। তার ভাবনাগুলো, বিস্ময়গুলো, কবিতার পথ বিপথ বিষয়ে, বিজ্ঞান অবিজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন, সন্দেহ, খোঁজ, আবিষ্কার -- এইসব খুব ভাল ভাবে প্রকাশ করেছে সে।
ReplyDeleteঅরূপের কবিতার বই নিয়ে সাঁঝবাতি তার মতো করে চমৎকার লিখেছে পাঠম্যানিয়ার পেরিস্কোপে।
দেবাঞ্জন সার্চ করছেন-এ ইন্দ্রনীল একটা নতুন চ্যাপটার খুলেছে কবিতার হাইপারলিংক বিষয়ে। লোকটা এখনো পাখী ওড়া নিয়ে বলছে। একঝাঁক পাখি একসাথে উড়ে আকাশের বিভিন্ন লেয়ারে বিভিন্ন পজিশনে থাকে। এবার পাখিকে যদি শব্দদিয়ে রিপ্লেস করা যায় তাহলে তাদের গ্রাফিক্যাল প্রেজেন্টেশন কেমন হবে তার ভার্চুয়াল প্লটিং করলে যে চিত্র ফুটবে সেটা উড়ন্ত পাখিদের মতো সুন্দর কবিতা হবে না কেন ? হতেই পারে। এ নিয়ে গভীর ভাবনা চিন্তার প্রয়োজন আছে আমার মনে হয়। ইন্দ্রনীল কি বলে শোনা যাক।
বাকি কথা পরে হবে। যাই।
আহা... দুরন্ত! কিন্তু কোনও একমুহূর্ত ওড়ার স্ন্যাপশট নয়। ধরো, পাখিগুলো ওইভাবে উড়তেই থাকবে, আর কবিতাটা বদলে বদলে যাবে সমস্ত সময়... কীভাবে?
DeleteThank u Barin da... Apnader bhalo lagle mone anek joR pai...
Delete'সার্চ করছেন, দেবাঞ্জন............' লেখাটার ব্যাপারে আমি একটা তথ্যগত উল্লেখ করছি..................যদিও জানি ইন্দ্রনীল এ তথ্যের কথা জানেন..........Tristan Tzara নামের এক ভদ্রলোক "How to make dadaist poem" প্রবন্ধে প্রায় এই রকম ভাবেই কবিতা লেখার কথা বলেছিলেন..................আমি এর থেকে এই অর্থ করছি না যে এই লেখা মৌলিক নয়........................অন্তত আমার কাছে এ লেখা মৌলিক...............আমি স্রেফ তথ্যের খাতিরেই এটা জানালাম
ReplyDeleteপ্রিয় সন্দীপন দাস,
Deleteখুব ভালো লাগল । ধন্যবাদ। এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলার মানুষ খুব কম পাওয়া যায়।
আপনি ঠিকই বলেছেন, Tristan Tzara এই পদ্ধতির কথা বলেন। যা থেকে পরবর্তীকালে William Burroughs-এর কাট আপ মেশিন। এমনকি পুরোপুরি না হলেও Oulipo-ও কিছুটা এই টেকনিকের কাছে ঋনী। এই কাট আপ টেকনিক থেকেই ধীরে ধীরে আসে ম্যাট্রিক্স কবিতার কনসেপ্ট।
১৯৬০-এর পর থেকে নানা তত্বের মাধ্যমে যত বেশি ক'রে মানুষ কম্যুনিকেশনের বিভিন্ন অক্ষ দ্রাঘিমারেখাগুলোকে চিনছিল, ততই সে টের পাচ্ছিল, একদল শব্দের প্রায় যে কোনও arrangement-ই শ্রোতার মাথায় একটা কম্যুনিকেশন তৈরি করতে পারে। Degree of reading difficulty = Degree of freedom বা vice versa। যেহেতু কবিতা অন্যতম ফাইনেস্ট মিডিয়াম, তাই তার কম্যুনিকেশন নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলতে থাকে সবচেয়ে বেশি।
আমার ভাবনাটা একটু আলাদা ছিল। এর আগের সংখ্যায় আরও ডিটেলে বলা আছে... আমি চাইছিলাম, কবির তরফ থেকে কোনও ফিনিশড কবিতাই না যাক, কেন তা নিয়ে অনেক আলোচনা রয়েছে আগের ইস্যুতে, এখানে সেটা রিপিট করলাম না। লক্ষ্য করবেন, লেখাটার শেষ অবধি শব্দগুলো না জুড়ে খোলা ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে পাঠক তাকে জুড়ে নিজের কবিতা তৈরি করেন... এটাই আমার মূল বক্তব্য। কবিতাকে কঙ্ক্রিটাইজড না ক'রে তোলা। ওপেন রাখা। উলিপো বা বারোজ কাট-আপের কাছে এ' ঋণী বইকি? কিন্তু এ' আর তাদের মতো ওই পদ্ধতি দিয়ে তৈরি কবিতা দিতে চাইছে না পাঠককে, বরং খোলা কিছু শব্দ দিয়ে পাঠকের হাতেই পদ্ধতিটা তুলে দিতে চাইছে।
আশা করি আরও কথা হবে।
প্রিয় ইন্দ্রনীলদা,
Deleteপ্রথমেই আমার অজ্ঞতার জন্য ক্ষমা চেয়ে নি। কারণ এই বারেই আমি প্রথম বাক পড়ছি। সময়ে পেলে আগের সংখ্যাগুলো পড়ব।
আপনার ওপেন কবিতার প্রসঙ্গে আমার নিজের একটা আইডিয়ার কথা জানাচ্ছি। আইডিয়াটা হলো- এমন একটা পত্রিকা যেখানে সবাই অন্যের কবিতার ওপরে কলম চালাবে অর্থাৎ একজন একটা কবিতা লিখবে কিন্তু সেটা তার থাকবে না, অন্যের পূর্ণ অধিকার তাকবে সেটার ওপর। কিংবা এমন বই যার কোন সত্ত্ব নেই খালি একটা শর্ত আছে বই এর ভেতরের কবিতার ওপর যা খুশি করতে পারো কিন্তু বইএর নাম বদল করতে পারবে না, বই নিজের নামে বার করতে পারবে কিন্তু নাম বদল নয়।
কয়েক দিন আগে আর্যনীল মুখোপাধ্যায় ও শান্তনু লাহিড়ির একটা কথোপকথন পড়ছিলাম, সেখানে এক জায়গায় আর্যনীল মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন তাঁর মনে হচ্ছে কবিতা আবার সেই পুরাকালের আবৃত্তির যুগে ফিরে যাচ্ছে। আমার মনে আপনার ওপেন কবিতা কবিতাকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে পারবে যেখানে কবিতা একার নয়...............
ততক্ষণ এই মহাশূণ্যের যতিহীন কবিতার জন্য, যা অনুপমদার ভাষায় বললে মহাযতির কবিতা তার জন্য রইল অজস্র শুভেচ্ছা।
পরিশেষে একটা সন্দেহের প্রশ্ন তুলে এ লেখা শেষ করি। আমার মনে হয় মানুষের জ্ঞানজনিত একটা সংস্কার আছে আর এর জন্য হয়তো ওপেন কবিতা কিছুটা বাধা পাবে। আপনি নিজেও বলেছেন একবার কালপুরুষকে চিনিয়ে দেওয়ার পর আর আপনি অন্য কালপুরুষদের খুঁজে পান নি।
আপনাকে বাকে পেয়ে ভালো লাগছে সন্দীপন । কথা বলার লোক সত্যি কম পাই । ইন্দ্র কিছু বলুক । তারপর আমার কিছু বলার থাকলে বলব ।
Deleteপ্রিয় সন্দীপন,
Delete'তুমি' ক'রে লিখলাম...
তোমার আইডিয়াটা খুবই ভালো লাগল
যে সন্দেহের কথা তুমি বলেছ, তা আমারও... এর আগের লেখায় উল্লেখও আছে। মানুষকে তার সংস্কারের বাইরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, তবু চেষ্টাটুকু রেখে যাওয়া, এই আর কি! কেউ কখনও যদি কিছু পায় এখান থেকে... সে বিশ্বাস হারাবো কেন?
darun alochona... eniye dujonkei aro kichu bolte onurodh korchi...manusher gyan jonito sonskar chara ordhogyan ba ogyan jonito songskaro ache bole amar bodh hoi...r romiter kothatao thik kobir byaktigoto pipasha khuda theke jabe boiki... etao ki tobe sei cycle hoye jabe... aste asste fer tobe ki close ended hote thakbe kobir porborti lekha... kobi ki tripti pabe...?
Deleteসবথেকে মজার ব্যাপার burroughs এর যে কাট আপ থিওরি তা কিন্তু প্রাথমিক ভাবে দৃশ্যভিত্তিক,এবং দৃশ্য থেকেই উৎসারিত; ছবির কোলাজ থেকেই কিন্তু তার কম্পোজিশন; যা শেষ অব্দি শব্দের বিচ্ছিন্ন উপদ্বীপগুলোর এক নবতর প্রমিতি; ছবির ভেতর পিক্সেল্গুলোর স্থানাংক নিয়ে খেলা অনেক আগেই হয়েছিল; আসলে রঙের ভেতরই মিশে যাওয়ার প্রথম পিপাসাগুলো যে রয়েছে,তাই লিংগ্যুয়িস্টকে যদি ডায়নামিক ইমোশনাল পিকচার এ বদল ঘটানো যায় তবেই এই ওপেন এন্ড জার্নিটা আমরা পেয়ে যাব;এই কাট আপ সিস্টেমটার একটা খুব সুন্দর ব্যবহার আছে মিলিটারি সিস্টেমে; random প্রসেসের মাধ্যমে স্ট্রাটেজিকে চেঞ্জ করতে করতে বিপক্ষকে একটা ভুলভুলাইয়ার মধ্যে ফেলে দেওয়া, কবির কৃতিত্বটা সেখানেই যেখানে সে সিঁড়ি না বানিয়েই ছাদ বানিয়ে আসবে—আর রয়ে যাবে ছাদে যাওয়ার একটা অনন্ত আবহাওয়া । আসলে কোথাও প্রায় প্রতিটা কবিতাই এক একটা কাট আপ; burroughs এর অনেক আগেই কিন্তু এলিয়ট wasteland লেখেন যাতেও এই ভিস্যুয়াল কোলাজ রয়ে গেছে, ভিজিট অফ মেমোরিজ রয়ে গেছে—আসলে সন্দীপন যে ফোল্ড ইনের কথা বলল-“একজন একটা কবিতা লিখবে কিন্তু সেটা তার থাকবে না, অন্যের পূর্ণ অধিকার তাকবে সেটার ওপর।“- তাতে একটাই প্রশ্ন থেকে যাবে সেক্ষেত্রে অনুসন্ধানের চরমতম লক্ষ্য বলে তো সেখানে কিছু থাকবেনা অথচ কবির রয়ে যাবে ব্যক্তিগত পিপাসা ক্ষুধা-সেক্ষেত্রে সৃষ্টির সদর্থে কবিতাটির ঘনত্ব কে ঠিক করবে! কবি তো কিছু চায়-গাছের বোঁটায় ফল পাকুক, ভারী ও টনটনে হয়ে উঠুক অচেতন শাঁস; কবিতাতো চলে যাবে মৌলিক বিশুদ্ধতায় পূর্নতাকে অস্বীকার করতে করতে; কবিতা যা অস্বীকার করবে কবি কতটা তাকে স্বীকার করতে পারবে !---
ReplyDeletenatun ba6ar varey uthuk gaddey paddey . baak dekh6i . samirdar sakkhatkar anek ajanar janan diye6e . tarunder parchurjamay hoye uthuk baak .
ReplyDeleteআরে এতো আয়োজন!সাবাশ অনুপম!আর প্রণবের সঙ্কলন,খুব বড় কাজ!দেখলাম ত্রিস্তান জারা বা বারোজকে নিয়ে কবিদের ভাবনাগুলি!বাঃ!!দেখা যাক প্রতীকবাদ যেভাবে ১০০ বছর পরে বাংলা কবিতায় এসেছিলো সে ভাবে কিছু আসে কিনা!পুরানো সেই দিনের কথা...এর বাইরে কত যে বাঁক দেখলাম তরুণ কবিদের কবিতায়,বাক ধন্যবাদ!আরো পড়ি,জানাবো!স্বপন রায়
ReplyDeleteতোমার দেখাগুলো বরাবরই মূল্যবান... এ'টুকুতে মন ভরে? নিচের থেকে তিন চারটে কমেন্ট বাদে, আর কী কী দেখলে সে সব নিয়েও যদি একটু বলো, বাকের কবিতা বা অন্যান্য বিভাগ...
Deleteতুমি জানিয়েছিলে চোখের সমস্যার জন্য গদ্য বিভাগগুলো পড়তে পারো না, এখন কেমন আছো? কখনও সময় পেলে 'সার্চ করছেন দেবাঞ্জন' প'ড়ো, জানিও... যদিও লেখাটা টানা দশমাস চলছে, এখন পড়তে শুরু করলে অনেকটা সময় লাগবে হয়ত, তবু জুনিয়ারদের জন্য ওটুকু সময় তুমি তো বরাবরই দিয়ে এসেছ
আমায় hard copy পাঠিয়ে দে,বড় লেখা এখানে enjoy করতে পারিনা,আমারই দোষ!সব্যসাচীর লেখা আজ পড়লাম আর সমীরদার সাক্ষাতকার,দারুণ!কবিতা নিয়ে এটাই বলার যে কবিতা থেমে নেই,তবে কবিতা শিক্ষা-নিরপেক্ষ হলে অসাধারণ হয়ে ওঠে কারণ নিজেদের শিক্ষার বাইরে যাওয়াই বড় কবিদের কাজ,এই অভাববোধ ত যাওয়ার নয়!স্বপন রায়
Deleteএক কথায় দারুন! বিষেশ ভালো লাগলো সাঁঝবাতি" ও "আত্মব্দলের কারুকার্য" এছাড়া কবিতা বিষয়ক গদ্যগুলি ।
ReplyDeleteরাজর্ষির ঋতবীণা পড়ছিলাম। উপন্যাস না অবন্যাস এটা ? আগেকার তার যা কিছু লেখা তার একযোগ হচ্ছে না। প্রায় ভুলেই গেছি। এখন রাজ-এর লেখার রস একেবারে খাসা, তাৎক্ষনিক, উইটি, পড়তে এত ভাল লাগছিল যে সে কেন শেষ করলো -- মনে হল, এই তো চাই গদ্যকারের কাছে, মজার গড়ে ওঠা। আমার অভিনন্দন।
ReplyDeleteরানা আলম-এর গল্পনা চমৎকার হয়েছে। গল্প গড়ে উঠতে গিয়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে, প্রসঙ্গ বদলাচ্ছে, সমাজ আর সময়টা বলছে কিন্তু মনে হচ্ছে সে কিছু বলতে চায়নি। অভিনিন্দন, রানা, তোমাকে।
সত্তরের শ্যামল আজো সরল কবিতা লেখে। কখনো তত্ত্ব, ইওরোপ, আন্দোলনে দেখিনি তাকে। সরল কবিতা লেখার কঠিন কাজটি সে অবলীলায় করে আজো। তাই তো "তারা" নামের কবিতা লিখতে পারে সে।
ReplyDeleteপ্রশান্ত অনেকদিন পর লিটারালি কবিতা থেকে গল্প আর কথাকে বার করে দিচ্ছে আর ঝকমক করে উঠছে কবিতা। এই বার করাটাও সে দেখিয়ে দিচ্ছে কেমন। বাঃ !
আর রমিত, তোর "মার্জিনের কাকাতুয়া" আমার অসাধারণ লেগেছে। এরকম কবিতা নিশ্চয়ই আরো লিখেছিস বই করবি বলে। আমি একটা বুক করলাম।
বারীন দা, তুমি লেখা পড়লে সবসময়ই ভালো লাগে---ঃ) ভীষন ভালো লাগল
Deleteআমি খুব চেষ্টা করছি যদি বইমেলার সময় ছুটি পেয়ে একদিন অন্তত যাওয়া যায়
তোমার বই আমি ওখানেই দেব কেমন...
Anupam, net-er jhamelar karone baak open karte parchhilamna. miss karchhilam. aaj anek kaste khulte parlam baak-er daroja. ei anandatuku janai tomake prothome. baak-e aste parar ananda. MASUDAR RAHMAN
ReplyDeleteকাট আপ কায়দায় লেখা মলয় রায়চৌধুরীর ( হাংরি জেনারেশানের বাবা ) কবিতা 'কল্পক্রম' ওনার 'শয়তানের মুখ' কাব্যগ্রন্হে আছে ; শিলচরের একটি পত্রিকায় কুমারবিষ্ণু দে কৃত সেটির 'বিনির্মাণ' পড়ে জেনেছিলাম কয়েকবছর আগে । বিষ্ণুবাবু, যতদূর জানি, মলয়বাবুর কবিতা নিয়ে পিএচডি করেছেন । বিষ্ণুবাবুর মতে মলয়বাবু কাটআপ কাঁচি চালিয়েছিলেন ব্রায়ান জিসিন নামে কোনো মার্কিন লেখককে অনু(ক)সরণ করে । বিষ্ণুবাবু জানিয়েছেন যে 'শয়তানের মুখ' বইটির প্রকাশক ছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় !!! সমীর রায়চৌধুরীর সাক্ষাৎকার পড়ে মনে হচ্ছে সুনীল নামের মহাশয়ের এক থেকে এগারো পর্যন্ত বেশ কয়েকটা সপ্লিট পারসোনালিটি ছিল । সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়কে আয়ওয়া থেকে উনি যে চিঠিটি লিখেছিলেন তা অতি উপাদেয় । যাঁরা পড়েননি তাঁরা নেট গুগলিয়ে নিতে পারেন । শঙ্খবাবু সম্পর্কে সমীর রায়চৌধুরীর বক্তব্য ইতিহাসের স্বার্থে কী প্রয়োজনীয় নয় ? কার কোন নৌকায় কোন পা কীভাবে রাখা তা জানার ইচ্ছা রয়ে গেল । আরেকটি উল্কাপাতের অপেক্ষায়, আপনাদের গুণগ্রাহী একজন কবিতাকীট
ReplyDeleteআমার কবিতায় ছায়া-ঘুমঘুম পোয়াতি হয়েছে ছায়া--ঘুমঘুম,শ্বাস নিয়ে পরলে কবিতার ভাবনায় আমি থাকছি না,জানালাম মাত্র,আর কিছু নয়!স্বপন রায়
ReplyDeleteJatnashil sampadanay ekta jhakjhake prayash. Kabitagulo khub selcted laglo. Dirgha path atikrom karum amon ahankari Bangla akhharjatra. Valo thakun Baak-er bandhura, srijane thakun.
ReplyDeleteআজ আবার কবিতায়। সাঁঝবাতি ভাল কবিতা লিখেছে। কিন্তু তার নামটি আমার ছদ্মনাম মনে হয়। কবিতাও ছদ্ম না হয়ে যায়, অর্থাৎ প্রতিকবিতা। শঙ্খশুভ্র খুব ভাল কবিতা আমাদের উপহার দিলো। "নদী" -- এই মেটাফরটি পুরো কবিতার কেন্দ্রে আছে, জীবন্ত। বাঃ ! শুভঙ্করের কবিতায় -- দরিয়া তুই আর বিবি নইস -- শুধু কথার কথা নয়। স্বপন রায়ের কবিতা নিয়ে বলার কিছু নেই। ভাবি মা -- এই উক্তি পুরো কবিতাটাকে বিস্ফোরিত করলো, কমপোজিশনকে ছাড়খার করে দিয়েছে। তন্ময় অভাবিত শব্দসজ্জায় কবিতাটিকে পাঠে ভাল লাগিয়েছে, তবে কথার বাইরে বেরোতে পারেনি। অনুপম, তোমার কবিতা আমাকে শান্তি দিলো না।
ReplyDeleteকবিতা নিয়ে আর কিছু বলার নেই। বাক-এর এই বিশাল কর্মকান্ডে পুরো টিমকে আমার অভিনন্দন জানাই। সাবাস।
অনুপম--- আজ আবার বাক-পড়লাম।উড়িব্বাস একদম জমে গেছে।আজ নবেন্দু রমিত সাম্য আর তোমার কবিতা নোতুন ভাবে ভালো লাগলো। আর বুঝতে পারলাম মানুষজন কত কি জানে। আমিও কিছু কিছু জানলাম। এটুকুই একজন মুর্খের লাভ। আর সমীরদার কথাবার্তা ভালোই লাগ্লো।তবে সামনাসামনি আমি যা শুনেছি তার অল্পই আছে হে। ভাল থেক----ধীমান দা
ReplyDeleteOnekdin por pata-ta khulechi. Ekebare moje jaoya jake bole. Sandipan-er prostab besh akarshaniyo. Pronob-er lekha valo laglo. Samirda-r interview mojadar. Anupam, mugdho hoye jacchi lekha, chobi ar alochonay. Riddho hoye othar koto upadan! Ovinandan!-Prashanta GuhaMajumder
ReplyDeletePrasanga : Ritobina
ReplyDeletebodh hoy Rajarshi kramei sei gaddya vashatar kachhe pounchhe jachhe, je vashata o' khujhchhilo. antata jatagulo parba ritobinar periye elam, ebarer tay alienation amon ak shilpitito parjay-ke sparsha korechhe, jake shudhu experimental namak locket lagiye specialised-der drawer-e dhukiye dewar sujog nei. sadharan gaddya pathakerao porte parbe ebong communicate korte parbe ektu annyarakam dakhanor prachestar sange. parikhha-nirikhhar kathhinnyo-r baire ak mukta gaddya, ja nimeshei mati-akash-nakhhatra-manusher modhhye ak samparka nirdharoner chhestay satata unmukh. chalo bunty abaro Bangladesh jai, khujte thaki Maa-vumi. valo likhchho babu. lamba hok vasha-jatra.
Pranab chakraborty
baarbaar fire aaschhi... aah Nabendu, aah Swapan daa...
ReplyDelete--- Nilabja
lojjito atodin por baak porar jonye... sei kobe beriyeche...
ReplyDeleteamar obhyes moto prothomei gopona ta khulechilam... ossadharon golpotir seser ektu age ek jaygay ese thomke gelam... শূন্য দশকের বাংলা কবিতা যে আসলে তিরিশ এর দশকের ইউরোপীয় ধারনার অনুসরণমাত্র, তা ভেবে দুজনেই খুব হাসলাম... ebong tarpor ordhomrito soinikti guli chalacche... eta ekta maratmok imagery... tobe tirish thekeo amar gyanoto ami sunyo te '60 o tar poroborti chayai dekhte pai... jegulo nie ekhane indra da o boleche... burroughs এর কাট আপ থিওরি ebong tar poroborti bibhinnyo joner dharona... purotai amar mone howa... lekhoker keno '30 er onusoron mone holo eta ektu janale bhalo lagbe...
somtirtha
ইন্দ্র দা-র সার্চ এখন যেখানে সেখানে সার্চলাইট পড়াতে হেব্বী লাগল... এই ব্যাপারটা আমাকেও ভাবিয়েছে অনেক... আমি অবশ্য print নিয়ে এরকম কিছু ভাবিনি... মানে প্রিন্ট এ যে এভাবে arbitrary করে দেওয়া যায়... মানে কবি যে স্ট্রাকচারটা তৈরী করেন তার লেখাটিকে আশ্রয় দিতে... সেটাও যে এভাবে ভেঙে ফেলা যায় এইটা দারুন ব্যাপার... কিন্তু... একটা বাজে কিন্তু চাগাড় দিচ্ছে মাথায়... একটা নাম... শ্রুতি আন্দোলনের পরেশ মন্ডল... সেটার সাথে এই কবিতাগুলোর পার্থক্য হল উনি এই arbitrary করেও লেখাটাকে একটা আবছা স্ট্রাকচারে রেখেছিলেন... তাঁর একটি লেখা আমি দেখেছি... সিঁড়ির আকারে... একটি স্পাইরাল... আবার একটি just বৃষ্টির ফোঁটার মত সারা পাতা জুড়ে ছড়ানো... অর্থাৎ arbitrary করা সত্ত্বেও সেখানে পরিচিত একটা স্ট্রাকচার ঠিকই ছিল... অর্থাৎ উনি ওই শব্দগুলো দিয়ে একটি কবিতাই বলেছিলেন... whereas... ইন্দ্রদা বলছে random কবিতার কথা... যতগুলো শব্দ তার permutation combination করে যতগুলো লেখা হয়... আমি এইটা ভেবেছিলাম কম্পিউটারে লেখার ক্ষেত্রে... যেমন একটা উদাহরণ পাওয়া যাবে এখানে... http://fakeplasticsuperhero.wordpress.com/2012/11/12/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%80-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%80-%E0%A6%8F%E0%A6%95/
ReplyDeleteএই লেখাটির নাম আমি দিয়েছিলাম... স্থায়ী ভাবে অস্থায়ী একটি কবিতা…